সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাকিস্তান-বিরোধী বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। ট্রাম্পের বক্তব্যের পর পাকিস্তান সরকার ওয়াশিংটনের বিষয়ে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছে। আর সেই অবস্থান থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় পাকিস্তান সরকার।
পাকিস্তানে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জঙ্গি ইস্যুতে পাকিস্তানের অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে। আর সেটাই যুক্তরাষ্ট্রর সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। যদি যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সহায়তা বন্ধ করে দেয় কিংবা কোন রকমের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে পুনর্বিবেচনা করতে পারে ইসলামাবাদ।
কলকাতা টুয়েন্টিফোর'র প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জতীয় নিরাপত্তার আলোকে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের ইসলামাবাদ সফরের সময় পাক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের কোনো নির্দেশনা মেনে নেবে না পাকিস্তান।
ট্রাম্প প্রশাসন যেসব চাপ সৃষ্টি করেছে তার একটিও মানবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলাবামাদ। সূত্র মতে, পাকিস্তান আরো সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প উৎসের সন্ধান করবে। পাশাপাশি চীন ও রাশিয়াসহ অন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যসহ অন্যান্য সম্পর্ক বাড়ানোর কৌশল নেবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার