যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনকে ঠেকাতে সুদানের দারফুর থেকে শিশু সৈনিকদের নিয়োগ দিচ্ছে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের লাকড়ি হিসেবে এসব শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের কয়েকটি সেনা ইউনিটের অন্তত ৪০ শতাংশ শিশুর বয়স ১৪ বছরের মতো হবে। জোটের হয়ে অন্তত ১৪ হাজার সুদানি যুদ্ধ করছেন। যাদের অধিকাংশই দারফুর থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, দারফুরে এমন কিছু পরিবার আছে, যারা ইয়েমেন যুদ্ধ তাদের সন্তানদের পাঠাতে মিলিশিয়া কর্মকর্তাদের ঘুষ দিচ্ছে। বেশ কয়েকটি ইউনিটের এক পঞ্চমাংশ সেনার বয়স ১৪ বছর হবে। দুই সেনা বলেন, এটি এসব ইউনিটের মোট সেনার ৪০ শতাংশের মতো হবে।
সৌদি আরবের এক সামরিক মুখপাত্র শিশু সৈনিক ভাড়া করার এ খবর নাকচ করে দিয়েছেন। সুদানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও এমন অভিযোগ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অস্বীকার করেছেন। সুদান কেবল আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য লড়াই করে।
সৌদির হয়ে ভাড়াখাটা সুদানি সেনারা যুদ্ধে অপচয়যোগ্য বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। সৌদি ও আমিরাত কর্মকর্তারা রেডিও হেডসেটস বা জিপিএসের মাধ্যমে তাদের নির্দেশনা দেন। এসব শিশু সেনাদের সম্মুখ সারিতে রেখে নিজেরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেন।
২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। হুতিদের বিরুদ্ধে সৌদির এ যুদ্ধ অনেকটা ভাড়াটে সৈনিকদের ওপর নির্ভরশীল। যাদের মধ্যে সাবেক মার্কিন সৈনিকরাও রয়েছেন। কিন্তু মার্কিনিরা সস্তা না হওয়ায় দারফুর থেকে সহজেই শিশুদের ভাড়া করতে পারে সৌদি জোট। তবে এসব শিশুর অধিকাংশই জানজাওয়েদ সম্প্রদায়ের। দারফুর যুদ্ধে তাদের নৃশংসতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন