যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছেন, কিছু ‘শর্ত’ পূরণ হলে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। এর মধ্য দিয়ে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া আরও পেছানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেল। ইসরায়েল ও তুরস্ক সফরে গিয়ে এসব কথা বলেন দেশটির এই নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
বোল্টন বলেন, উত্তর সিরিয়ায় কুর্দিরা নিরাপদ থাকবে, তুরস্কের কাছ থেকে এ নিশ্চয়তা চান তিনি। শুধু তাই নয় সিরিয়ায় থাকা অবশিষ্ট কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদেরও পুরোপুরি নির্মূল চায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব শর্ত পূরণ হলেই দেশটি থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া হবে।
গত ১৯ ডিসেম্বর সিরিয়ায় অবস্থানরত প্রায় দু’হাজার সেনা সদস্য ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে নিজ প্রশাসনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সময় ঘোষণায় আইএস ‘হেরে গেছে’ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘তারা ফিরে আসবে এবং তারা এখনই ফিরে আসবে।’
১৯ তারিখে প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন আমেরিকান সেনাদলকে সিরিয়া ছাড়ার জন্য ৩০ দিন সময় দেয়া হয়েছে।
কিন্তু গত রোববারই মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবকাশকেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিড ত্যাগের আগেই সুর পাল্টে ফেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি আমরা অবশ্যই আমাদের সেনাদল সরিয়ে নেবো। কিন্তু খুব দ্রুত সরিয়ে নেবো তা তো বলিনি। আমরা সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছি… কিন্তু ততক্ষণ পুরোপুরি প্রত্যাহার করব না যতক্ষণ আইএস নির্মূল না হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
বোল্টন আরও বলেন, আসাদ শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের দ্বিগুণ সামরিক বাহিনীর ব্যবহার করার কারণ ছিল রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অগ্রহণযোগ্যতা। এসব থেকেও তারা শিক্ষাগ্রহণ না করে তা হলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিণতি হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন