পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন, ভারতের সামরিক বাহিনী সীমান্তরেখার বেড়া ভেঙে ফেলেছে এবং অন্তত পাঁচ জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর দিয়েছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কোরেশি বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত সামরিক অভিযানের মতো ভুল পদক্ষেপ নিতে পারে এবং বিষয়টি আগেই জাতিসংঘকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে বিশ্বের নজর ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দিতে নরেন্দ্র মোদি সরকার এই অপকৌশলের পথ বেছে নিতে পারে।
শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে এবং নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের নামে ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে আইন পাস করে গভীর সংকটে পড়েছে মোদি সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব ভারতের ঘটনাবলী দেখছে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ভারতে নয়, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীগুলোতে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার আদর্শগতভাবে যে হিন্দুত্ববাদের সরকার সারা বিশ্বের কাছে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
শাহ মেহমুদ কুরেশি আরো বলেন, ভারত কার্যত এখন দুইভাগে বিভক্ত হয়েছে। একভাগে রয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের সমর্থক; অন্যদিকে রয়েছে চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদের আদর্শ। নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই হিন্দুত্ববাদী আইন প্রবর্তনের বিরোধিতা করে তাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী চিদাম্বরম। তিনি আশা করেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই আইন বাতিল করবেন।
পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী আগামী এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে যে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হতে যাচ্ছে তা থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে কার্যকর বক্তব্য আসবে। সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক