টানা ছ’মাস চলা বিক্ষোভের ছবিটা পাল্টালো না নতুন বছরের প্রথম দিনেও। প্রতিবাদের মাধ্যমেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীরা। বুধবার নানা প্রদেশে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল গণতন্ত্রকামী সংগঠনগুলো।
অভিযোগ সেখানেই কাঁদানো গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। চলে রবার বুলেটও। পুলিশের পাল্টা অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তাদের লক্ষ্য করে অজস্র বোতল-বোমা ছুড়েছে। বুধবার সকাল থেকেই ভিক্টোরিয়া পার্কে জড়ো হয়েছিলেন শতশত মানুষ। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কালো পোশাক ও মুখোশ ছিল অনেকেরই মুখে। অনেকেই সেখানে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে শামিল হন। অনেকের হাতেই ছিল পোস্টার-ব্যানার। কোথাও লেখা, ‘হংকংকে স্বাধীন করো’ কোথাও ‘স্বাধীনতা বিনামূল্যে আসে না’।
কিন্তু গোলমাল শুরু হয় ওয়ানচাই বার প্রদেশে। একটি বহুজাতিক ব্যাংকের চত্বরে কিছু বিক্ষোভকারী জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ করে হংকং পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানেই প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে তারা। বিক্ষোভকারীদের পাল্টা অভিযোগ, আন্দোলনের জন্য চাঁদা তুলতে ওই নির্দিষ্ট ব্যাংকেরই একটি অ্যাকাউন্ট এত দিন ব্যবহার করা হচ্ছিল। কাউকে কিছু না-জানিয়ে আচমকাই সেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারই প্রতিবাদ জানানো হচ্ছিল বুধবার। ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা।
এ ঘটনায় চীনা আধিপত্যের বিরুদ্ধে আরও বড় আন্দোলনের বার্তা দিয়ে রেখেছেন সংগঠকেরাও। তবে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তায় হংকংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আরও এক বার মুখ খুলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, হংকংয়ের মানুষের সমৃদ্ধি আর এলাকার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বেইজিং বদ্ধপরিকর। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক