ঠিক এক বছর আগে মার্কিন হামলায় ইরাকের বাগদাদে নিহত হয়েছিলেন ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তার হত্যার বর্ষপূর্তিতে ইরানের সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশিত হলো। দাবি করা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত সোলাইমানি হত্যার ষড়যন্ত্রে একাধিক দেশের নাম পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ইরাক, সিরিয়া, জর্জিয়ার মতো দেশ যেমন আছে তেমনই আছে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের নাম। অবশ্য এই দাবি করলেও কোনো প্রমাণ পেশ করেনি ইরানের সংবাদমাধ্যম। তারা কেবল সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করেছে। সরকারের তরফেও কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি।
ইরানের বক্তব্য, যুক্তরাজ্যের একটি নিরপাত্তা সংস্থা এই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। অন্যদিকে, আমেরিকা সোলাইমানি হত্যার জন্য দক্ষিণ পশ্চিম জার্মানির একটি এয়ারবেস ব্যবহার করেছিল। কিন্তু কীভাবে তা ব্যবহৃত হয়েছিল। কেন আমেরিকা জার্মানির এয়ারবেস ব্যবহার করল, এ সমস্ত বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ব্রিটিশ সংস্থাটি সম্পর্কেও বিশেষ কিছু জানানো হয়নি।
রবিবার বাগদাদে সোলাইমানি হত্যার বর্ষপূর্তিতে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল থেকে সোলেইমানি হত্যার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে।
বস্তুত, ইরানও জানিয়েছে, তারা ওই ঘটনার বদলা নেবে। রবিবার ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান জানান, সোলেইমানি হত্যার ঘটনা তারা ভোলেননি। ঠিক সময় এর বদলা নেওয়া হবে।
সোলাইমানি হত্যার পরে অবশ্য ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকেও হত্যা করা হয়েছে। সেই ঘটনার পেছনেও আমেরিকা ও ইসরায়েলের হাত আছে বলে জানিয়েছিল ইরান। রবিবার ইরানের প্রশাসন জানায়, সোলাইমানি হত্যার তদন্ত এখনো চলছে। তদন্ত শেষ হলে সম্পূর্ণ তথ্য সবার কাছে প্রকাশিত হবে। ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, ওই তদন্তের আংশিক রিপোর্ট থেকেই জার্মানি, যুক্তরাজ্যের যুক্ত থাকার বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ