স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করতে পারেন না স্বামী। দাম্পত্য বিবাদের একটি মামলার শুনানিতে এ কথা জানিয়েছে ভারতের গুজরাট হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের বনাসকাঁটা জেলার এক মুসলিম দম্পতির দাম্পত্য বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় এ রায় দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি জে বি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি নির্মল মেহতার বেঞ্চ এ বিষয়ে পারিবারিক আদালতের রায় খারিজ করে বলেছে, ‘স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা যায় না।’
বনাসকাঁটা জেলার এক মুসলিম দম্পতির বিবাদের ওই মামলা কয়েক বছরের পুরনো। ১৯৯৫ সালে বিয়ের পর একটি সন্তান হলেও পরে পেশার নার্স ওই মহিলা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।
অভিযোগ, তার স্বামী ইচ্ছার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যেতে চাইছেন তাকে। নারীর স্বামী বৈবাহিক অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিতে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। স্বামীর পক্ষেই রায় দেয় পারিবারিক আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানান স্ত্রী।
চলতি বছরের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, স্ত্রী কখনওই স্বামীর সম্পত্তি নন। তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা বৈবাহিক দায়িত্ব পালনে বাধ্য করা যায় না।
ইউপিএ আমলে বিচারপতি জেএস বর্মার নেতৃত্বাধীন কমিটি বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধের তালিকায় রাখার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামা দিয়ে সেই সুপারিশের বিরোধিতা করেছে।
কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, এই আইন কার্যকর হলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠান নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তৈরি হবে অস্থিরতা।
সূত্র: ইন্ডিয়ান টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন