চীনের পণ্যের ওপর শুল্কের হার বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চীনের পাল্টা পদক্ষেপের জবাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য সংঘাত আরও তীব্র হতে পারে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বাণিজ্য নীতির অংশ। প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, চীন ইচ্ছাকৃতভাবে সামরিক, মহাকাশ ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ব্যবহৃত গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম এবং অ্যান্টিমনির মতো উচ্চ-প্রযুক্তি উপকরণ সরবরাহ সীমিত করছে। সম্প্রতি চীন ছয়টি ভারী বিরল মৃত্তিকা ধাতু ও বিরল মৃত্তিকা চুম্বকের রপ্তানি স্থগিত করেছে। -আনাদোলু এজেন্সি
এতে গাড়ি, মহাকাশযান, সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি ও সামরিক ঠিকাদারদের জন্য কাঁচামালের সংকট তৈরি হতে পারে। প্রতিক্রিয়ায় চীনও গত শুক্রবার মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। তার আগে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়েছিলেন এবং অন্যান্য দেশের পণ্যে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, শুল্ক আরোপ সত্ত্বেও ৭৫টির বেশি দেশ নতুন বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। এ কারণে চীনের বাইরে অন্যান্য দেশ এই শুল্ক থেকে আপাতত অব্যাহতি পাবে। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, কৌশলগত সম্পদের আমদানি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা তদন্ত শুরু হয়েছে। এতে উন্নত প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য বিদেশি উপকরণের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকান শিল্প রক্ষা ও সরবরাহ চেইন সুরক্ষায় এ পদক্ষেপ তার প্রতিশ্রুতির অংশ। আনাদোলু এজেন্সি