ভারতের রাজধানী দিল্লির মুস্তাফাবাদে একটি চার তলা ভবন ধসে পড়লে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভবনটির মালিকও আটকে পড়াদের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল ভোরে ভবন ধসের এ ঘটনা ঘটে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। দিল্লির পুলিশ কর্মকর্তা সন্দীপ লাম্বা জানান, ঘটনাটি ভোররাত ৩টার দিকে ঘটে। এর পরপরই জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ), দিল্লি ফায়ার সার্ভিস এবং দিল্লি পুলিশের যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। ভবনধসের কারণ জানা যায়নি। এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে লাম্বা জানান, এটি তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি বলেন, ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। চারজন মারা গেছেন। এখনো প্রায় ৮-১০ জন ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের জিটিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন কর্মকর্তা এটিকে ‘প্যানকেক ধস’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে একের পর এক তলা একটির ওপর আরেকটি ধসে পড়ে।-এনডিটিভি
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। এমন পরিস্থিতিতে ধ্বংসস্তূপ ধীরে ধীরে সরিয়ে প্রতিটি অংশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন এনডিআরএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মহসেন শাহিদি। তিনি আরও বলেন, এমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কাজ করা চরম চ্যালেঞ্জিং। জায়গার অভাবে ধ্বংসস্তূপ সরাতে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলেও জানান শাহিদি। পাশের একটি গলির সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে মুস্তাফাবাদের ওই ভবন ধসের মুহূর্ত। ফুটেজে দেখা যায়, হঠাৎ একটি স্পার্ক হয় এবং ঘন ধুলোর মেঘে গলিটি ঢেকে যায়। এর ফলে রেকর্ডিং বন্ধ হয়ে যায়। বিভাগীয় ফায়ার অফিসার রাজেন্দ্র আতওয়াল বলেন, তারা রাত ২টা ৫০ মিনিটে এ ঘটনার ফোনকল পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি পুরো ভবনটি ধসে পড়েছে এবং মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে। এনডিআরএফ এবং দিল্লি ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। দিল্লির কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি, দমকা হাওয়া এবং বজ্রঝড়ের কয়েক ঘণ্টা পর ভবন ধসের ঘটনা ঘটে।