হজরত আব্দুল কাদের জিলানী তার গুনিয়াতুত তালেবানি কিতাবে বলেন, আয়েশা সিদ্দিকা (রা,) রসুল (সা.)কে বলতে শুনেছেন যে, শবেবরাতসহ চারটি রজনীতে আল্লাহতায়ালা পৃথিবীর মানুষের জন্য তার রহমতের দরজাগুলো খুলে দেন। ১৪ শাবান সূর্যাস্ত থেকে ১৫ শাবান ফজর পর্যন্ত তার বান্দাদের জন্য রহমতের দরজা খোলা থাকে। এ রাতের ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। জিব্রাইল (আ.) একবার রসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রসুল (সা.)! আপনি উঠুন, নামাজ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ এটি ১৫ শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের জন্য একশটি রহমতের দরজা খুলে দেন। আপনি আপনার উম্মতের জন্য দোয়া করুন।
শাবানের এক তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখার বিশেষ ফজিলতের কথা হাদিস শরিফে রয়েছে। এ ছাড়াও ‘আইয়ামে বিজ’ তথা প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিস শরিফে উৎসাহিত করা হয়েছে। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস : ১৩৮৪)
লেখক : ইসলামী গবেষক।