রাজশাহী অঞ্চলে বৃহস্পতি ও শুক্রবারের বৃষ্টিতে বেশির ভাগ পোড়া মুকুল ঝরে পড়েছে। তরতাজা হয়ে উঠেছে আমের গুটি। বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়া নিয়ে কোনো কোনো চাষি দুশ্চিন্তা করলেও কৃষি বিভাগ বলছে, এ বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদ। এতে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। বরং বৃষ্টির কারণে আমের গুটি দ্রুত বড় হবে। গুটির ঝরে পড়া থামবে। পাশাপাশি পোড়া মুকুল ঝরে যাওয়ায় আমের গায়ে দাগ কম হবে। গাছে গাছে ধরবে নতুন আম। বাজারে ফ্রেশ আমের দাম থাকে ভালো। আবহাওয়া এ পর্যন্ত আমের অনুকূলে আছে বলেও জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, বুধবারও রাজশাহীতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সে হিসেবে এটি মৃদু তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড কমে যায় ২৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এদিন বেলা ২টার পর রাজশাহীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার বেলা ২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার। রাজশাহী ছাড়াও আম উৎপাদনকারী অন্য তিন জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোরেও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে চাষিদের কেউ খুশি, কেউ আবার দুশ্চিন্তা করছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম চাষি মঞ্জুর আলম মানিক বলেন, ‘বৃষ্টির পর বাগানে এসেই মনটা ভরে গেছে। এক দিনের টিপটিপ বৃষ্টিতেই মনে হচ্ছে গুটি অনেকখানি বড় হয়ে গেছে। এ গুটিরও এখন ঝরে পড়া কমবে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালোই আছে। বৃষ্টির পর গুটিগুলোতে নতুন করে প্রাণ এসেছে।’ তবে বৃষ্টি নিয়ে কিছুটা শঙ্কার মধ্যে আছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আম চাষি নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘হালকা বৃষ্টির কারণে গুটিতে ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে। এজন্য রোদ উঠলেই গাছে একটা ছত্রাকনাশক স্প্রে করে গুটিটা ধুয়ে নেব।’ এদিকে, হালকা বৃষ্টি আমের জন্য ভালো বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এ বৃষ্টি আমের জন্য ভালো হয়েছে। পানি পড়েছে বলে আমের বোঁটা শক্ত হবে। গুটির পাশে যে পরিত্যক্ত পোড়া মুকুল থাকে, সেগুলোও ঝরে পড়বে। দ্রুত আম বড় হবে। তবে বৃষ্টির পর একবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করে দিতে হবে। তাহলে ভালো হবে।’ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে গত বছর আমের ফলন ছিল কম। তাই এবার বেশি ফলন হওয়ার সম্ভাবনা। চলতি মৌসুমে নওগাঁর ৩০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির আমবাগান থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমির আমবাগান থেকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার এবং রাজশাহীর ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর বাগানে ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিরোনাম
- ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল
- ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
- একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
- অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
- ‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
- ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
- সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
- আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
- শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- ১৬ বছরে শিক্ষা খাতকেও দলীয়করণ করা হয়েছে: খোকন
- বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা
- প্রথমে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
- স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
- শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
- আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
- বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
- যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
দুই দিনের বৃষ্টিতে প্রাণ পেল আমের গুটি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর