দরজায় নক! বেরিয়ে এলেন। অবাক আপনি— দ্বারে এ কোন অতিথি। ৩ ফুটের মতো উঁচু। দেখতে একটা খেলনা গাড়ির মতো। মাথার মতো কি একটা লম্বাটে জায়গা। তার মধ্যে আবার দুটো লেন্স। গাড়িটির তলায় চাকা লাগানো। আসলে ফুট তিনেকের উচ্চতার অভিনব যন্ত্রটি একটি রোবট। এর আবির্ভাবের কারণ— কিছুক্ষণ আগেই আপনি পিৎজার অর্ডার দিয়েছেন। সেই পিৎজা আপনাকে ডেলিভারি করবে। কোল্ড ড্রিঙ্কেরও অর্ডার দিয়ে থাকলে, তাও পেয়ে যাবেন।
দেশ-বিদেশে সাধারণত মোটর বাইকে করে পিৎজা ডেলিভারি দিতে দেখা যায়। কিন্তু প্রযুক্তি উৎকর্ষতার কারণে রোবটকে একাজে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কিন্তু কিভাবে এটা সম্ভব।
এই রোবট ডেলিভারি ম্যানের মাথার উপরে রয়েছে একটি সিক্রেট চেম্বার। যেখানে রাখা রয়েছে আপনার অর্ডার করা পিৎজা এবং কোল্ড ড্রিঙ্ক। আপনার সামনেই বেরিয়ে আসবে সিক্রেট চেম্বার। বের করে নিন গরমাগরম পিৎজা ও একেবারে ঠাণ্ডা কোল্ড ড্রিঙ্ক। ওই রোবটের সিক্রেট চেম্বারে এমন প্রোগ্রামিং করা আছে যে পিৎজা আপনি গরম অবস্থায় ডেলিভারি পাবেন। আর ঠাণ্ডা পানীয় থাকবে একেবারে ঠাণ্ডা।
পিৎজা-রসনায় বিশ্বকে যারা মাতিয়ে আসছে সেই ডমিনোজ কোম্পানি এই রোবোটিক ডেলিভারি ম্যানকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ডমিনোজ অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই প্রকল্পে কাজ শুরু করে দিয়েছে। যার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড সরকার। ২-৩ বছরের মধ্যে এই রোবোটরা নিউজিল্যান্ড জুড়ে ডেলিভারির কাজ শুরু করবে। পিৎজা সেন্টার থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে রোবটে ডোলিভারির সুযোগ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছ ডমিনোজ অস্ট্রেলিয়া।
রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে খানা-খণ্দ বা বাম্পার-এর সামনে পড়তে হবে এই রোবটকে। তাই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি এতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও থাকছে প্রোগ্রামিং করা সেল্ফ জিপিএস সিস্টেম। তবে, রোবোটিক ডেলিভারি ম্যানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পিৎজা সেন্টারে থাকবে কন্ট্রোলার। সেখান থেকেই চালনা করা হবে রোবটকে।
সূত্র: এবেলা
বিডি-প্রতিদিন/২০ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব