ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলার হাট এলাকায় বাসর ঘরে প্রদীপ কুমার বর্মন (২০) নামে এক বরের মৃত্যু হয়েছে। বিশহরী দেবীকে সন্তুষ্ঠ করা গেলে বর প্রাণ ফিরে পাবে এই বিশ্বাসে চলছে ঝাঁড়ফুক।
এদিকে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় বরের রাড়িতে হাজার মানুষের ভীড় জমে উঠেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে সদর উপজেলার আরাজি দক্ষিন বঠিনা গ্রামের বিনয় চন্দ্র রায়ের পুত্র প্রদীপ চন্দ্র রায় (২০) পার্শবর্তী ছুট খড়িবাড়ি গ্রামের সন্তোষ চন্দ্র বর্মনের কন্যা প্রতীমা রানী (১৮) কে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সারাদিন বৌভাত শেষে রাত ৪ টার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর ও কনে বাসর ঘরে যায়।
শুক্রবার সকাল ৮/৯ টা অবধি বর ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজন তাকে ডাকাডাকি শুরু করে। এক পর্যায়ে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে সকাল সাড়ে ১১ টায় বরকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তবরত চিকিৎসক বর প্রদীপকে মৃত ঘোষণা করে।
লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরলে পরিবার পরিজনরা প্রদীপের মৃত্যুকে না মেনে সেটা বিশহরী দেবীর কাজ ভেবে তাকে পুনরায় বাঁচিয়ে তুলতে পূঁজা অর্চনা ও ঝাঁড়ফুক শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরিবারের লোকজন লাশের হাতে পায়ে তেল মালিশ চালাতে থাকে। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলে লাশ নিয়ে টানা হেঁচড়া।
কনে প্রতীমা রাণী স্বামীর প্রাণ ফিরে পেতে লাশের পাশে বসে মা কালির কাছে স্বামীর প্রাণ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানায়। কিন্তু ঝাড়ফুঁকেও ফেরেনি মৃতের প্রাণ।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় আশে পাশের হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ জুলাই ১৬/ সালাহ উদ্দীন
