ধনী পরিবারের কন্যা বলে কথা! এক মেয়ের বিয়ে ফ্রান্সে তো অন্যজনের স্পেনে। আবার অন্য মেয়ের তুরস্ক। ভারতের লক্ষ্মী মিত্তলের ভাই প্রমোদের বড় মেয়ে ভর্তিকার বিয়ের অনুষ্ঠান হলো তুরস্কে। এরআগে চাচাতো বোন ভানিশার বিয়ে হয়েছে ভার্সেইসহ ফ্রান্সজুড়ে। ভর্তিকার বিয়ের উৎসব চললো তিনদিন ধরে। ভর্তিকা মিত্তল এবং উৎসব গোয়েঙ্কার চার হাত এক করা হলো। সময়টা ২০১১ সালের ৫ মে। দুজনের পরিচয় ২০১০ সালের অক্টোবরে‚ লন্ডনে।
সারা পৃথিবী থেকে ৫০০ জনের বেশি অতিথির জন্য বুক করা হয়েছিল ইস্তানবুলের হোটেল সিরাগান প্যালেস কেম্পিনস্কির ৩০০টি কক্ষ। শুধু এতেই লেগেছিল প্রায় ২৫ কোটি টাকা। প্রথমে অতিথিদের জন্য হোটেল হালিম পাশায় ওয়েলকাম ডিনার। তারপর সিরাগান প্যালেসের বলরুমে মেহেন্দি। এরপর অতিথিদের প্রমোদতরীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ব্যক্তিগত মালিকানার দ্বীপ সুয়াদায়। সবশেষে‚ বস্ফরাস প্রণালীর দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকা ঐতিহাসিক ওটোমান স্থাপত্যের হোটেল সিরাগান প্যালেসে বিয়ে এবং খাওয়া।
বিয়ের মেনু অবশ্য সম্পূর্ণ নিরামিষ। উত্তর ভারতীয় খাবারের জন্য কলকাতা থেকে শেফ মুন্না মহারাজকে তলব করা হয়েছিল। আর দক্ষিণ ভারতীয় রান্নার জন্য শেফ মুত্থুস্বামীকে। এ থেকেই অনুমান করা যায় বিয়ের পুরো অনুষ্ঠানে মোট কত টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু শোনা যায়‚ এই বিয়ে নাকি মিত্তল বংশের কম খরচের বিয়ের মধ্যে একটি। এই বিয়ে নাকি 'লো প্রোফাইল ওয়েডিং'! সূত্র: বাংলালাইভ.কম।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ