সময়টা ১৯৯৫ থেকে ২০১৫। মরণশীল মানুষের জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে খুব একটা কম সময় নয়। এই দু’দশক ধরে প্রতি রাতে ভারতীয় জনসংখ্যার এক বিপুল অংশকে দাঁতে নখ কাটতে কাটতে টিভির সামনে বসে থাকতে বাধ্য করত ‘আহট’ নামের এক বিশেষ টিভি সিরিজ। সেই সিরিজ ‘রামায়ণ’ বা ‘মহাভারত’-এর মতোই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বড়পর্দায় তখনও পর্যন্ত রামসে ব্রাদার্স-এর যুগ। হরর ছবি বলতেই চোখের সামনে ওঠে লাল রং মাখা বড়কা বড়কা দাঁতওয়ালা ভূত ভাঙা বাড়িতে স্বল্পবসনা নায়িকাকে কামড়াতে আসছে। সেই কালে দাঁড়িয়ে ছোটপর্দার ‘আহট’ হররকে নতুন মাত্রা দিয়ে ফেলে প্রায় অজান্তেই।
‘আহট’-এর আগে ছোট পর্দায় হররকে নিয়ে আসে ‘জি হরর শো’। এর শোয়ের পরিচালক ছিলেন রামসে ব্রাদার্স। তাঁরা তাঁদের ঘরানাতেই তুলেছিলেন এই সিরিজ। প্রায় পাঁচ বছর চলেছিল এই শো। কিন্তু ‘আহট’ যেভাবে হরর-এর গ্রামারকে বদলে দেয়, এই শো তা করতে পারেনি। হিন্দি হরর ছবির অভ্যস্ত দর্শককেই ধরে রাখতে চেয়েছিল এই শো।
‘আহট’-এর পরে যে ক’টি হরর শো বিভিন্ন চ্যানেলে মুখ দেখাতে শুরু করে, তার ধ্রুবপদ ‘আহট’-ই বেঁধে দিয়েছিল বললে ভুল হবে না। হলিউডের অন্ধ নকল নয়, ‘আহট’ এমন একটা দিশি আবহাওয়া তৈরি করতে পেরেছিল, যেটি পরে বড়পর্দাও কৌলিক হিসেবে মেনে নেয়। ‘আহট’-এর পরে ‘ওহ্’ নামের একটা সিরিজ বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এর পরে ‘ফিয়ার ফাইলস’, ‘শ্শ্শ্... কোই হ্যায়’, ‘মানো ইয়া না মানো’ নামের একের পরে এক সিরিজ ছোটপর্দায় আবির্ভূত হতে থাকে। কিন্তু ২০১৫-এ ‘আহট’-এর ষষ্ঠ সেশন শেষ হওয়ার পরে ছোটপর্দা হরর-শূন্য হয়ে রয়েছে বললে বোধ হয় খুব একটা ভুল হবে না।
সূত্র: এবেলা
বিডি প্রতিদিন/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এ মজুমদার