কর্নাটকের বালেগভির বাসিন্দা ১৮ বছরের রামাইয়া। জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত বিস্কুট ছাড়া আর কিছুই খায়নি সে। তাও আবার একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের বিস্কুট। অন্য কোনও খাবার মুখে তোলে না রামাইয়া। তার এই অদ্ভুত আচরণে চিন্তিত কিশোরীর পরিবার।
জন্মের পর স্তন্যপানও করেনি রামাইয়া। তার মা তাকে গরুর দুধের সঙ্গে গুলে পার্লে জি বিস্কুট খাওয়াতেন। সেই থেকে এই নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের বিস্কুট ছাড়া কোনওদিন আর কিছু খায়নি সে। একটু বড় হওয়ার পর ভাত-রুটি ও অন্য খাবার তাকে খাওয়ানোর হাজার চেষ্টা করে হার মেনে যান তার বাবা-মা। কোনও ভাবে পার্লে জি বিস্কুট ছাড়া আর কিচ্ছু না খাওয়ার এক অদ্ভুত পণ করে বসে আছে সে।
অন্য কোনও খাবারের স্বাদ কেমন, তাই জানে না রামাইয়া। তা নিয়ে খুব একটা চিন্তিতও নয় সে। দিনে চার-পাঁচ প্যাকেট বিস্কুট খেলেই তার হয়ে যায়। গরীব কৃষিজীবী পরিবারের মেয়ে রামাইয়ার জন্য রোজ প্যাকেট প্যাকেট বিস্কুট জোগাড় করা বেশ কঠিন তার বাবা-মার পক্ষে। কিন্তু রামাইয়া যে আর কিছুই খাবে না।
মেয়ের এই অদ্ভুত আচরণের জন্য তাকে ডাক্তারের কাছেও নিয়ে গিয়েছিলেন তার বাবা-মা। পরীক্ষা করে ডাক্তার জানিয়েছেন যে বয়সের তুলনায় কিছুটা ছোটখাটো চেহারা হওয়া ছাড়া রামাইয়ার আর কোনও সমস্যা নেই। তবে তার কাউন্সেলিং দরকার। যাতে অন্য খাবারের ভীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে। কোনও দিন পার্লে জি কোম্পানি বিস্কুট তৈরি বন্ধ করে দিলে, সে কী করে বাঁচবে, তা নিয়েই চিন্তিত রামাইয়া।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর