আপনি কি ফেসবুকে অনেক সময় কাটান? অনেক ছবি আপ করে লাইক-কমেন্ট দেখার জন্য বারবার ফেসবুকে ঢোকেন? আপনি কি সেলফি অ্যাডিক্টেড? তাহলে এখনই সেলফি অ্যাডিকশনের মাত্রাটা মেপে নিন। হাতের নাগালেই রয়েছে সোলাঙ্কি সেলফি স্কেল। সেলফি অ্যাডিকশন মাত্রাতিরিক্ত হলে চিকিৎসা করাতে হবে এখনই।
অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে সেলফি শব্দটা অন্তর্ভুক্ত হয় ২০১৩ সালে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সেলফি অ্যাডিকশনের বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার শতাংশ। সেলফি অ্যাডিকশনের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে যে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। তখন প্রয়োজন পড়ছে চিকিৎসার। কিন্তু কখন প্রয়োজন চিকিৎসার? তা জানতে এসে গেছে মাপযন্ত্র।
সেলফি অ্যাডিকশনের মাত্রা বের করতে কলকাতার ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রির ছাত্র অবধেশ প্রতাপ সিং সোলাঙ্কি সেলফি অ্যাডিকশনের মাপসূচক তৈরি করেছেন। সেক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। প্রশ্নগুলো হলো:
১) আপনার সেলফি কয়টা লাইক বা কমেন্ট পেল এটা ক্লাসে বসে ভাবেন?
২) অতিরিক্ত সেলফি তোলার জন্য পরীক্ষায় খারাপ নম্বর?
৩) বাড়িতে কুকুর, বিড়াল পুষছেন তাদের সঙ্গে সেলফি তোলেন?
৪) প্রথমবার সেলফি তোলার পর কি মনে হয় আরও সেলফি তোলা দরকার?
৫) প্রতিদিন কয়টা সেলফি তোলেন?
৬) সেলফি তোলা নিয়ে কি বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া হয়?
৭) সকালে ঘুম থেকে উঠেই কি স্মার্ট ফোন দেখেন, আপনার সেলফিতে কয়টা লাইক বা কমেন্ট পড়ল?
এমনই ৪৭ প্রশ্ন। হ্যাঁ আর না-এ উত্তর। উত্তর বিচার করলেই বেরিয়ে পড়বে সেলফি অ্যাডিকশনের মাত্রা। রয়েল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিতে অবধেশ প্রতাপ সিং সোলাঙ্কির এই গবেষণা উচ্চ প্রশংসা পেয়েছে। যে হারে বাড়ছে সেলফি-জ্বর, যে হারে বাড়ছে সেলফি-মৃত্যু, তাতে সোলাঙ্কি স্কেলই আগামীর ভবিষ্যৎ।
বিডি প্রতিদিন/ ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম