১৮ বছর বয়সী নাতালি জানিয়াক নামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এলান ডালবির। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু যৌন সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার পর নিজের বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে ওই তরুণীকে হত্যা করেন দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ব্ল্যাকহিথের এ বাসিন্দা। ফলও পান হাতে নাতে। ডালবিকে যাবজ্জীবন সাজা দেন ব্রিটেনের আদালত।
২০০২ সাল থেকে এলান ডালবি কারাগারে অন্তরীণ। কিন্তু কারাগারে থেকেই ব্রিটিশ গণমাধ্যমের আলোচনায় ওঠে আসেন তিনি। তাও নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে। কয়েক বছর আগে (২০০৯ সালে) কারাগারেরই শার্লি ফাউলি নামের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে প্রেম করে আলোচনায় আসেন তিনি। খুনির সঙ্গে প্রেম করার অপরাধে ওই নারীকে চাকরি খোয়াতে হয়। এবার কারাগারের আরেক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আলোচনায় ডালবি।
দু'দুটো ফোন ও অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থের প্রমাণ পেয়ে সন্দেহ হওয়ার ডালবির বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। এরপরেই বেরিয়ে আসে ডালবির সঙ্গে ওই কারাগারের নারী কর্মকর্তার অসম প্রেমের কাহিনী। সিয়ান কুপার নামের ৫৩ বছর বয়সী এক নারী কর্মকর্তা ডালবির প্রেমে পড়েন। তিনিই প্রেমিক ডালবিকে এসব সরবরাহ করেছিলেন। শুধু ফোন কিংবা নগদ অর্থই নয়, ডালবিকে আমেরিকান গায়িকা হুইটনি হাউস্টনের গানের সিডিও উপহার দেন ওই নারী কর্মকর্তা। ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে গত বছরের জুলাই পর্যন্ত টানা এক বছর প্রেম করেছিলেন ডালবি ও কুপার। কেউই টের পায়নি। প্রেমিকের অনুরোধে কারাগারের ওই নারী কর্মকর্তা নিজের অশালীন ছবিও পাঠাতেন। কর্মকর্তারা এমন প্রমাণও পেয়েছেন।
সিয়ান কুপারের ফোন চেক করে খুনি ডালবির পাঠানোর ক্ষুদেবার্তা থেকে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। প্রেমিক নিজেই এ অনুরোধ করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ওই নারী কর্মকর্তা ওই খুনিকে এতোটাই আস্কারা দিয়েছিলেন যে কী-না এমন অনুরোধও করতে পারে! ৩ অক্টোবর পর্যন্ত জামিনে আছেন সিয়ান কুপার। কিন্তু এরপরেই আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা