জ্বর নিয়ে ভারতের গুজরাটের গাঁধীনগরে অ্যাপলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উনিশ বছরের এক তরুণী। রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত। অবস্থার অবনতি হলে ওই হাসপাতালেরই আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানেই পরপর দু'রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং এক পরিষ্কারকর্মী তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসক রমেশ চৌহান এবং পরিষ্কারকর্মী চন্দ্রকান্ত ভাঙ্করকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে গাঁধীনগরের আদালাজ থানার পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (সি) (ডি) ধারায় ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। তাদের দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় আদালত।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত ওই তরুণীকে গাঁধীনগরের ভাটগ্রাম অ্যাপলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত পরশু ওই তরুণীর বাড়ির লোকজন থানায় ধর্ষণের মামলা করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই তরুণীকে গত শনিবার রাতে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। রমেশ ওই তরুণীকে কড়া ঘুমের ওষুধ দিয়ে আচ্ছন্ন করে ফেলে এবং তাকে ধর্ষণ করে। পুরো ঘটনায় রমেশকে সাহায্য করেছে পরিষ্কারকর্মী চন্দ্রকান্ত। পরের দিনও একইভাবে কড়া ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয় ওই তরুণীকে। এবার তাকে ধর্ষণ করে চন্দ্রকান্ত।
ডাক্তারি পরীক্ষায় তরুণীর দেহে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তবে ওষুধের প্রভাবে এখনও আচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন ওই তরুণী। শুক্রবারই প্রথম জ্ঞান ফেরে তার। পুলিশের সামনে তিনি চন্দ্রকান্ত এবং রমেশকে ধর্ষক হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন