সম্প্রতি পূর্ব মসুলের ইন্তিসার থেকে আইএস জঙ্গিদের হঠিয়ে দিয়েছে ইরাকি সেনা। রাস্তায় বিক্ষিপ্তভাবেই পড়েছিল জঙ্গিদের পচাগলা লাশ। তবে জন জীবন এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি মসুলে। দোকানপাটও তেমন ভাবে খোলেনি। তবুও ভিড় বাশারের দোকানে! দোকানের সামনে লাইন দিয়ে বসে আছে স্থানীয় পুরুষরা। মাঝে মধ্যে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন সেনাও। আর ভিতরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দ্রুত হাতে খচাখচ কাঁচি চালাচ্ছেন বাশার। নাওয়া-খাওয়া মাথায় উঠেছে তার। দাঁড়িয়ে পা ব্যথা। তবু কেউ মানছেন না।
জানা যায়, আড়াই বছর আগে মসুল দখল করেছিল আইএস। সেই থেকে গোফ দাঁড়ি কাটা বন্ধের ফতোয়া জারি করে আইএস। পরে ছেঁটে ছোট করাও নিষিদ্ধ হয়। বাশারকে চুল কাটার ‘অপরাধে’ একবার আটকও করে জঙ্গিরা। তারপর থেকেই কাজ বন্ধ। প্রায় দুই বছর বাড়িতে বেকার বসেছিলেন তিনি। বাশারের মতো আরও বহুজন কাজ হারিয়েছিল আইএস রাজত্বে। বাশারের জানান, কাজ ছিল তখন একটাই- জিহাদ আর খুনোখুনি। না করলেই কোতল। আর ব্যবসা করেও লাভ ছিল না। কারণ মাস গেলে সব টাকা এসে নিয়ে যেত জঙ্গিরা!
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/22