মানবজাতির ইতিহাসে বোধহয় এত বড় শিশুবলির ঘটনা আর কোথাও ঘটেনি। সেই বীভৎস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করলেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। একই সঙ্গে ১৪০ জনেরও বেশি শিশুকে একইসঙ্গে বলি দেওয়া হয়েছিল। মাটি খুঁড়তে বেরিয়ে এল সেই ইতিহাস।
পেরুর উত্তর উপকূলের ঘটনা। আজ থেকে অন্তত ৫৫০ বচর আগে ঘটেছে সেই ঘটনা। শিশুদের পাশাপাশি ২০০ লামাকেও মেরে ফেলা হয়েছিল বলে জানা গেছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি রহস্য উদ্ধার করেছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটেই সেই রহস্যের কথা লেখা রয়েছে।
এর আগে আজটেক, মায়া, ইনকা অনেক লাতিন আমেরিকান জনজাতির শিশু বলির কথা জেনেছে বিশ্ব। স্প্যানিশ কনকুইস্তাদোররা সেসব ভয়ঙ্কর আচারের কথা লিখেও গেছেন। কিন্তু একসঙ্গে এত শিশুকে বলি দেওয়ার কথা জানা গেল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো। আসলে লা লিবের্তাদ এলাকায় এর আগে চিমু নামে এক প্রাচীন উপজাতি বাস করতো। তারা চাঁদের উপাসক ছিল।
২০১১ সালে প্রথম এই ঘটনা সামনে আসে। সেই পাহাড়ের কাছেই একটি ৩৫০০ বছরের পুরনো মন্দির পাওয়া গেছিল। মন্দির খুঁড়তে বেরিয়ে এসেছিল ৭৬ টি লামার সঙ্গে ৪২টি শিশুরও দেহাংশ মিলেছিল। সেই থেকেই খোঁজ শুরু হয়।
এখানেই শেষ নয়, দেহাংশগুলি পরীক্ষা করে আরও তথ্য় পেয়েছেন তারা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকায় বলা হয়েছে শিশু ও পশু দুধরণের দেহাংশেই তারা স্টারনাম হাড় ও পাঁজরের হাড় ভাঙা অবস্থায় পেয়েছেন। এর থেকে তাদের অনুমান, তাদের দেহ থেকে হৃত্পিন্ড বের করে নেওয়া হয়েছিল। এরা মানববলির শিকার বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। শিশুদের বয়স ছিল ৮ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর