ছোট বেলা থেকেই নাক বন্ধ। মাঝে মাঝে নাকের ভেতরে আর মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা। চিকিত্সকের কাছে গিয়েও কোন ফল হয়নি। এ ভাবে ৪৪ বছর কেটে গিয়েছিল ব্রিটেনের বাকিংহাম শায়ারের বাসিন্দা ৫৪ বছরের স্টিভ এস্টনের। দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটে যায় এক হাঁচিতে।
২০১৫ সালে এক দমকা হাঁচিতে স্টিভের নাকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে একটি ছোট গোল প্লাস্টিকের টুকরো, যা নাকি ছেলেবালায় খেলতে যেয়ে তার নাকে ঢুকে গিয়েছিল। তার পর আর মনেও ছিল না কিছু,... ছোট বেলার কথা তো!
২০১৫ সালেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা ১২ বছরের ছোট্ট মেয়ে ক্যাটেলাইন থরনেলির কথা। দিনে প্রায় ১২ হাজার বার হাঁচি দেয় সে। হাঁচি দিতে রীতিমতো ক্লান্ত ক্যাটেলাইন। এক মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দাবি করেন, অ্যালার্জি বা ভাইরাস নয়, কোনও মানসিক চাপ বা ভয় ক্যাটেলাইনের এই সমস্যার কারণ হতে পারে!
জানেন কী, হাঁচির গতিবেগ কত? ঘণ্টায় ১০০ মাইল বা প্রায় ১৬১ কিলোমিটার! কিন্তু যখন তখন, সেখানে সেখানে আচমকা হাঁচি পেলেই মুসকিল যেমন- কোন জরুরি মিটিংয়ের মাঝে, কোন অনুষ্ঠান চলাকালীন, ভিড় বাসে। এই জন্য অনেকে প্রায়ই হাঁচি চাপার চেষ্টা করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁচি চাপলে তা শ্বাসনালির উপর, শরীরের রক্ত সঞ্চালনের উপর, হার্টের উপরও মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে।
মার্কিন চিকিত্সা বিজ্ঞানী মাইকেল বেনিঞ্জার'র মতে, বহির্মুখী এই চাপকে জোর করে শরীরের ভিতর গিলে নিলে ভিতরে ভিতরে বহু ক্ষতি হতে পারে। যেমন- ল্যারিংসে ফ্র্যাকচার, কোমরে ব্যথা বা মুখের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, জোর করে হাঁচি চাপলে কানের পর্দা ফেটে যাতে পারে, সে ক্ষেত্রে বধির হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
জোর করে হাঁচি চাপলে শরীরের ভিতরে পাঁজর ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, পেশিতে টান লাগতে পারে। বেনিঞ্জার জানান, জোর করে হাঁচি চাপলে ফুসফুসে মারাত্মক চাপ তৈরি হয়। হার্ট ও ফুসফুসের মধ্যে যে বায়ুর বিনিময় চলে সেই প্রক্রিয়াও বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরিস্থিতি মারাত্মক হলে মৃত্যুও হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর