২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্কাউটদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার সকালে গাজীপুরের মৌচাকে নবম বাংলাদেশ ও প্রথম সানসো স্কাউট জাম্বুরি-২০১৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের স্কাউটের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১৩ লাখ। এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কাউটের অন্তত দুটি করে দল তৈরি করতে হবে। স্কাউটিংয়ে মেয়েদের সংখ্যা বাড়াতে হবে।'
বর্তমান বিশ্ব তথ্য-প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী স্কাউটের সদস্যদের আধুনিক বিশ্বের উপযোগী নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি জেলা পর্যায়ে স্কাউট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
এছাড়া, স্কাউটের মূল মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে দেশের উন্নতিতে সদা প্রস্তুত থাকতেও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মো. আবদুল করিম, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ও জাম্বুরি চিফ মো. আবুল কালাম আজাদ ও জাম্বুরি সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এনডিসিসহ দেশের বিভিন্নস্থানের স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক ও স্কাউট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ জাম্বুরি। এবারের জাম্বুরির থিম 'শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য স্কাউটিং'। জাম্বুরিতে দেশ বিদেশের প্রায় ৯ হাজার স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক ও স্কাউট কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান থেকে ২৭ জন স্কাউট অংশগ্রহণ করবেন। জাম্বুরিতে মোট ১৩টি অ্যাডভেঞ্চার ও কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের সমন্বয়ে আকর্ষণীয়, উদ্দীপনামূলক, শিক্ষণীয় ও প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রাম সাজানো হয়েছে।
অংশগ্রহণকারী স্কাউটরা জাম্বুরিতে যুগোপযোগী প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে নিজেদের যোগ্যতা যাচাই, অভিজ্ঞতা বিনিময়, বন্ধুত্ব স্থাপন ও নিজেকে সুযোগ্য করে গড়ে তোলার সুযোগ লাভ করবে।
জাম্বুরি চলাকালে নারী স্কাউটিংয়ের ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে বলেও আয়োজকরা জানিয়েছেন। জাম্বুরির বিভিন্ন ইভেন্টে জাতীয় সংসদের স্পিকার, সংসদ উপনেতা, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সচিব ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
এবার জাম্বুরি প্রোগ্রামকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রথম অংশের অ্যাডভেঞ্চার হবে প্রতিযোগিতামূলক। এতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্কাউটরা জাম্বুরি স্টিকার অর্জনের পাশাপাশি ইউনিটগুলোর স্কাউট দক্ষতার মান পরিমাপ করতে পারবে।
দ্বিতীয় অংশের অ্যাডভেঞ্চারগুলোতে অংশগ্রহণ করে স্কাউটরা জ্ঞান অর্জন ও ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে। তৃতীয় অংশের কার্যক্রমগুলো মূলত কেন্দ্রীয়, ভিলেজ ও সাব ক্যাম্প ইভেন্ট হিসেবে বাস্তবায়িত হবে।