নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, 'অপহরণকারীরা ভীষণ চাপে ছিল। তাদের স্বাভাবিক মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। চতুর্মুখী চাপে পড়েই স্বার্থসিদ্ধির আগেই অপহরণকারীরা এবি সিদ্দিককে ছেড়ে দিয়েছে বলে আমরা মনে করছি।' এ জন্য তিনি মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকেই বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ফোন করেছেন। ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত ষোলবার ফোন করেছেন আইজিপি মহোদয়। সুতরাং সবার তৎপরতার কারণে প্রেসারে পড়ে যায় অপহরণকারীরা।
এর আগে বেলা ১১ টায় পরিবেশ আইনবিদদের সংগঠন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী এবি সিদ্দিককে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যারা এবি সিদ্দিককে নিয়েছিল তারা অভিজ্ঞ। ফেরতও দিয়েছে নিখুঁতভাবে। এখনো পর্যন্ত তারা তাদের প্রমাণ সেভাবে রেখে যায়নি।'
অপহরণের মোটিভ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, 'কয়েকটি মোটিভ নিয়ে এগোচ্ছি আমরা। এখনো সবকিছুই প্রি-ম্যাচিউরড। তবে গত দেড় দিন এবি সিদ্দিকের কীভাবে কেটেছে সে বিষয় তদন্তের আওতায় আসবে। অপহরণের পর এবি সিদ্দিক চোখে হয়তো কিছু দেখেননি। কিন্তু কানে শুনেছেন অনেক কিছু। এসব বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলবে।'
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ নরুল ইসলাম আরো বলেন, 'যেহেতু এ ঘটনায় মামলা হয়েছে সেহেতু ভিকটিমের মেডিক্যাল টেস্ট করার পর আমরা তাকে আদালতে নিয়ে যাব। সেখানে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে অপহরণের স্থল, তার কর্মস্থল হামিদ ফ্যাশনে নেওয়ার পর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।'
অপহরণকারীরা তাদের অপরাধের শাস্তি পাবে বলেও নুরুল ইসলাম উল্লেখ করেন।