লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের লতিফপুর ও দেওপাড়া গ্রামে গতকাল সোমবার রাত ৯টায় দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় রবিউল হাসান ও ফরহাদ হোসেন নামের ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দুই বিএনপি নেতার বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহত রবিউল হাসানের মৃতদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে ও ফরহাদ নোয়াখালী হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। রবিউল হাসান স্থানীয় প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ও আব্দুুর রাজ্জাক এর ছেলে এবং অপর নিহত ফরহাদ হোসেন বিএনপি নেতা তোফায়েল আহমদের নাতি ও আব্দুল হক এর ছেলে। নিহত ফরহাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চন্দ্রগঞ্জের আওয়ামীলীগ সমর্থিত নাছির বাহিনীর সন্ত্রাসীরা সদর উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের স্থানীয় বিএনপি নেতা তোফায়েল আহমদ ও লতিফপুর গ্রামের আলী করিম মেম্বারের বাড়িতে হামলা, লুট ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় অগ্নিদগ্ধ হয় তোফায়েল আহমদের নাতি ফরহাদ হোসেন। তাকে নোয়াখালী হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
খবর পেয়ে বিএনপি সমর্থিত জিসান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এগিয়ে এলে জিসান ও নাছির বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয়। থেমে থেমে উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময় হয় বলে জানায় স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে জিসান বাহিনীর কিছু সদস্য ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী বাবলুর বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় কাজী বাবলুর ভাগিনা স্কুল ছাত্র রবিউল হাসান শিমুল পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে ঘটনাস্থলে সে নিহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় নিহত রবিউলের মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।
লক্ষ্মীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফুল ইসলাম দুজন নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত রবিউলের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপর নিহত ফরহাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।