কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ক্রাইমজোন হিসেবে খ্যাত কালামার ছড়ায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে এক উপপরিদর্শক (এসআই) সহ পুলিশের চার সদস্য ও দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী আহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বন্দুক ও ছয় রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কালামার ছড়ার বালুর ডেইল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
আহত পুলিশ সদস্যরা মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং দুই সন্ত্রাসীকে পুলিশ হেফাজতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, রাতে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মুজিবুল্লাহ বাদল হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ হেলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে হেলালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। রাত ৩টার দিকে কালারমার ছড়া ছালিয়া তলী বালুর ডেইল এলাকায় পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা হেলালের সহযোগীরা তাকে পুলিশের কাছ থেকে কেড়ে নেয়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালালে দুইপক্ষের বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে মহেশখালী থানার এসআই আবুল কালাম ও তিন কনস্টেবল আহত হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশের প্রতিরোধের মুখে পিছু হটে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় দুই সন্ত্রাসী আসামি হেলাল ও এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছানা উল্লাহকে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ সেখান থেকে একটি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক, একটি এলজি ও ছয় রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।