১০ বছর আগে আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে সদরঘাটের কামরুল হাসান নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে স্বামী সোহেল রানা এবং স্ত্রী রুমা আক্তার ওরফে সুমনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রায়ে হত্যার পর লাশ গুমের দায়ে তাদের আরও তিন বছর করে কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার আগে জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে হাজির হন। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষও দাবি করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রায় ঘোষণা শেষে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে দণ্ডিত আসামি সুমনাকে তার মেয়ে এলমা জড়িয়ে ধরে কান্না করেন। এ সময় আসামিরা সাংবাদিকদের বলেন, আত্মরক্ষার স্বার্থে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মামলার বাদী আইনজীবী হওয়ায় আদালত এ রায় দিল। তারা নির্দোষ। নিজেকে আত্মরক্ষা করা যদি অপরাধ হয় তাহলে দেশে আইন বলে কিছুই নেই। ঘটনার সময় আসামি সোহেল রানা উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবি করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভিকটিম তাদের কাছে আড়াই লাখ টাকা পেত। টাকা যেন না দিতে হয় এজন্য তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী রেহানা পারভীন। উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকবে, আশা প্রকাশ করেন তিনি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহেল রানা ২০২৩ সালে রাজধানীর উত্তরার ডাচ বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতির মামলার চার্জশিটর্ভুক্ত আসামি।