শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫

থামতে একদিন হবেই, আগেই থামুন

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
থামতে একদিন হবেই, আগেই থামুন

অবরোধ-হরতাল, সহিংসতা-নাশকতা, বন্দুকযুদ্ধ-ক্রসফায়ার ইত্যাকার শ্বাসরুদ্ধকর এবং বিভীষিকাময় বিষয়গুলো যখন শান্তিপ্রিয় জনগণকে চরম আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা ও গভীর হতাশার মধ্যে নিমজ্জমান রেখেছে, তখন জাতীয় সংলাপের একটি প্রস্তাব জাতীয় রাজনীতিকে হঠাৎই যেন একটা দোলা দিয়ে গেল। সংলাপের কথা বলা হচ্ছে অনেক আগে থেকে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত দশম সংসদ নির্বাচনের আগে জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত তারানকো সাহেবের সেই দূতিয়ালী এবং তার উপস্থিতিতে বিবদমান পক্ষসমূহের মধ্যে কিছু কথাবার্তা-সংলাপের কথা মিডিয়ায়ও এসেছিল। কিন্তু সেই সংলাপ শেষ পর্যন্ত 'সংলাপে' পর্যবসিত হয়েছিল। ফলে নির্বাচনটি হয়ে গেল সম্পূর্ণ একপক্ষীয়ভাবে 'আমরা আর মামুরা'দের মধ্যে। জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ অনেক বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগী সেই নির্বাচনকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করেনি। তারা এখনো তাদের সেই মনোভাব পরিবর্তন করেনি। শুধু তাই নয়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকার ও প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে অর্থবহ সংলাপের প্রস্তাবও তারা দিয়ে চলেছে অবিরাম। কিন্তু সরকার তা আমলেই নিচ্ছে না। ৯ ফেব্রুয়ারি নাগরিক উদ্যোগের নামে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনকল্পে একটা জাতীয় সংলাপ আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় ৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে 'নাগরিক ঐক্যের' উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে। প্রস্তাবটি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডক্টর শামসুল হুদার স্বাক্ষরে পাঠানো হলেও তাতে উদ্যোক্তারা কিছু ভুল করেছেন বলে মনে হয়। যে সংগঠনের ব্যানারে গোলটেবিল বৈঠকটি হয়েছে তা কোনো অরাজনৈতিক সংগঠন নয়- একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল গঠন বা একটি সমন্বিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ভ্রূণ বা উদ্যোগ বলেই তা বিবেচিত। সাবেক ডাকসু ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না এর আহ্বায়ক। প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনও উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছিলেন ডাকসুর আরেক সাবেক সহ-সভাপতি ও শাসক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুরও। ফলে একে পরিপূর্ণ নাগরিক উদ্যোগ বলতে চাননি সমালোচকরা। রাজনীতিবিদরা নাগরিক সমাজের বাইরের লোক নন ঠিক, কিন্তু এ ধরনের একটি উদ্যোগের সঙ্গে পরিচিত রাজনৈতিক নেতারা জড়িত থাকলে তার নিরপেক্ষ নাগরিক চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই যায়। যদি একে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে 'তেতো' বের করার দুষ্টবুদ্ধি বা কু-মতলব কারও থাকে, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। সরকার সে সুযোগই নিয়েছে। তবে আমি মনে করি, উদ্যোগটি সৎ ও নির্মোহ। বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর জাতীয় পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ সময়ের দাবি। সে দাবি তারা মিটিয়েছেন। তাদের প্রস্তাব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পেয়েছে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায়। সরকারের সর্বোচ্চ মহল- খোদ প্রধানমন্ত্রী কঠোর মনোভাব নিয়ে এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেছেন, 'খুনিদের সঙ্গে কীসের সংলাপ?' গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে বোমায় দগ্ধদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এতে সংলাপের জন্য নাগরিক প্রস্তাব সম্পর্কে সরকারের মনোভাব ও অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রস্তাবটি সরাসরি নাকচ না করলেও পারতেন। সরকার বা দলের অন্য কাউকে দিয়ে নিজেদের কথাটা জানিয়ে গণপ্রতিক্রিয়াটা যাচাই করতে পারতেন। এ বিষয়েও প্রস্তাবের উদ্যোক্তাদের একটা ভুল হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এদের মতে, ডক্টর কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মুহাম্মদ মনসুর প্রমুখের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব দীর্ঘদিন ধরেই নেতিবাচক। সোজা বাংলায় প্রধানমন্ত্রী এদের মোটেই পছন্দ করেন না। এরা এক সময় ডাকসাইটে আওয়ামী লীগার ছিলেন। ড. কামাল হোসেন তো ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হওয়ার পেছনে যে ক'জন মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ড. কামাল ছিলেন তাদের অন্যতম। বিচারপতি আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলসমূহের সমর্থিত আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত যে, দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চাসহ বিভিন্ন মতাদর্শগত কারণে তিনি আওয়ামী লীগ ছাড়তে বাধ্য হন। 'জো হুজুরের' রাজনীতি করাও তার মতো ব্যক্তিত্বের পক্ষে সম্ভব ছিল না। দলত্যাগের পর থেকেই দুজনের পারস্পরিক সম্পর্ক বৈরী। বাকি দুজন দলের ভালোর জন্য সংস্কার চেয়েছিলেন। তা পছন্দ হয়নি দলনেত্রীর। ওয়ান-ইলেভেন-পরবর্তীকালে সংস্কারের মূল ও প্রকাশ্য প্রস্তাবক আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক (মরহুম), সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রমুখ ক্ষমতার অংশীদারিত্বের লোভে ও মোহে ক্ষমা চেয়ে বশ্যতা স্বীকার করলেও উল্লিখিত দুজন তা করেননি। দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা না হলেও তাদের আর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়নি। সম্পর্কটা তো খারাপ থাকারই কথা। প্রধানমন্ত্রী যাদের পছন্দ করেন না বা যাদের ওপর কোনো না কোনো কারণে ক্ষুব্ধ, সংলাপ প্রস্তাবের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তারা যুক্ত আছেন দেখলে সেই প্রস্তাব পড়ে দেখার আগেই যে প্রধানমন্ত্রী ছুড়ে ফেলে দেবেন তা বোধহয় উদ্যোগ গ্রহণের প্রাক্কালে ভাবা হয়নি- যদিও উদ্যোগটি সৎ ছিল বলে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ ধরনের একটি প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে উত্থাপন করাই যুক্তিযুক্ত। তাহলে প্রস্তাবকের নাম দেখেই মন্ত্রী-নেতাদের চুল খাড়া হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতির উদ্ভব হয় না। এদের নাম উদ্যোগের পেছনে যুক্ত না থাকলেই এমন একটি সংলাপের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী লুফে নিতেন তেমন কথা বলছি না। তবে তার রি-অ্যাকশনটা এমন কড়া হতো না বলে মনে হয়। শুধু নাগরিক সমাজের উদ্যোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এই উদ্যোগ থেকে সরে গেছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি উদ্যোক্তাদের যে সংবাদ সম্মেলনের দৃশ্য দেখা গেছে তাতে রাজনৈতিক নেতাদের কাউকে দেখা যায়নি। ১৩ জনের যে কমিটি করা হয়েছে তাতেও কোনো রাজনৈতিক দলের কাউকে রাখা হয়নি। এটাকে এখন স্রেফ নাগরিক উদ্যোগই বলতে হবে। বর্তমান এই অসহনীয় পরিস্থিতির কবল থেকে শুধু নাগরিক সাধারণকে রক্ষার জন্যই নয়, রাষ্ট্রের কল্যাণেও বিবদমান পক্ষসমূহকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে শান্তিপূর্ণ একটা সমাধানের পথ বের করার উদ্যোগ গ্রহণ খুবই জরুরি। উল্লেখ্য, ক'দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ প্রায় একই ধরনের একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

তিনি এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছেও চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তার গায়ে বিএনপির গন্ধ আছে। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরাও এখন দলীয়ভাবে বিভক্ত। কেউ আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, কেউ বিএনপি বুদ্ধিজীবী। এত বড় বিদ্বান-পণ্ডিতরাও এখন দলবাজিতে জড়িয়ে গিয়ে মানুষকে হতাশ করছেন। দেশের চেনাজানা বুদ্ধিজীবীদের নাম শুনলে কিংবা টিভি পর্দায় চেহারা দেখলেই মানুষ বলে দিতে পারেন তিনি বিএনপি বুদ্ধিজীবী নাকি আওয়ামী বুদ্ধিজীবী। এমনকি কোনো আলোচনায়-বিতর্কে কে কি বলবেন তা-ও বলে দিতে পারেন দর্শক-শ্রোতারা। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের প্রস্তাবটি মার খেয়েছে তার সম্পর্কে দলীয় সম্পৃক্ততার ধারণার কারণে। কিন্তু ডক্টর শামসুল হুদা, ডক্টর আকবর আলি খান, ডক্টর শাহদীন মালিক প্রমুখ কোনো দলীয় কাদায় এখন পর্যন্ত পা দেননি। এরা কোন দলের পক্ষে কাজ করছেন তা বলা যাবে না। তবে তাদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর একটা সমালোচনা খুবই যথার্থ বলেই মনে হয়। তারা বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনকে সংলাপে বসা বা সংলাপের আয়োজন করার জন্য চিঠি দিয়েছেন কিন্তু বর্তমান সহিংসতা-নাশকতার নিন্দা করেননি, যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তাদের এই জঘন্য অপকর্ম থেকে নিবৃত্ত হওয়ার কোনো আহ্বান জানাননি। নাগরিক সাধারণ তো উদ্যোক্তাদের বলতেই পারে যে, আগে তো আগুন, পেট্রলবোমা, গুলি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচানোর জন্য এগুলো থামানোর ব্যবস্থার কথা বলুন; প্রথম বাক্যে এটা বলে পরে এর মূল কারণ ঘুচিয়ে ভবিষ্যতে রাজনীতির নামে এসব মানুষ মারার যজ্ঞ যাতে না চলে তার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করার কথা বলুন। আশা করতে চাই, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সমঝোতা ও সংলাপের মাধ্যমে আসল রাজনৈতিক অসুখ সারানোর উদ্যোগ গ্রহণকারীরা এ ব্যাপারে মুখ খুলবেন এবং সন্ত্রাস-সহিংসতা-নাশকতার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হবেন। এই লেখা প্রেসে যাওয়ার আগে জানা গেল, উদ্যোক্তারা সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নাশকতা বন্ধের জোরালো দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের প্রতি। এতে তাদের শুভ উদ্যোগের পক্ষে জনমত আরও প্রবল হবে।

নাগরিক উদ্যোগের সূচনায় কিছুটা ত্রুটির কথা বলা হলেও এর পেছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করেছে মনে হয় না। কিন্তু এই ব্যাপারে সরকারি মহলের প্রতিক্রিয়া সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। মানুষ বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি চায়। এটা তো স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত সরকার ব্যর্থ। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে তাদের বার বার তারিখ ঘোষণা এবং লম্বা লম্বা কথা সব ফাঁকা আওয়াজে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে বিএনপি নাশকতার সঙ্গে জড়িত নয় বলে ঘোষণা দিলেও নাশকতা অব্যাহত আছে ২০ দলের ডাকা টানা অবরোধ ও হরতালের ছাতার নিচে থেকেই। তারা বিএনপিকে ডিফেইম করে জনগণের কাছে পচিয়ে দেওয়ার কৌশল হিসেবে সরকারই সব নাশকতা করাচ্ছে বলে যা বলছে তার পক্ষে সবল কোনো যুক্তি নেই। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ কিছু জায়গায় পেট্রলবোমা হামলা, বোমা তৈরি, বোমা তৈরির মালামাল উদ্ধার, গ্রেফতার ও বোমাবাজের পক্ষে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে থাকলেও বেশি অভিযোগ ছাত্রদল-যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে। নাশকতায় এ পর্যন্ত ছাত্রদল-যুবদলের গ্রেফতারকৃতের সংখ্যা ১০২ এবং জামায়াত-শিবিরের ৮৪। সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আংশিক সত্য বলে ধরে নিলেও বিএনপি-জামায়াত জোট সহিংসতা-নাশকতার দায় এড়াতে পারে না। যারা নাশকতা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা তারা বলছেন না। তাদের দল বা অঙ্গদলের লোকেরা নাশকতার সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হলে কিংবা হাতেনাতে ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে তাদের অনাপত্তির কথাও তারা বলছে না এবং দলীয় লোকদের এসব অপকর্মে জড়িত না হওয়ার প্রকাশ্য কোনো নির্দেশও দিচ্ছে না। ফলে সব কিছুই রহস্যময় থেকে যাচ্ছে। সহিংসতা, নাশকতা হচ্ছে, নিরীহ মানুষ দগ্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে, বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণাকাতর মানুষ কাতরাচ্ছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে, সংঘর্ষেও মানুষ মারা যাচ্ছে- এটাই বাস্তব, এটাই সত্য। ১৩ ফেব্রুয়ারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী অবরোধের ৩৯ দিনে নিহতের সংখ্যা ৮৭। এর মধ্যে পেট্রলবোমা ও আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৫২ জন, ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ১৯ জন, সংঘর্ষে ১৩ জন এবং অন্যান্য ৩ জন। যানবাহনে আগুন ও ভাঙচুরের সংখ্যা ১০৮৪, রেলে নাশকতা হয়েছে ১১ দফা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরকে নিঃশেষ না করে থামতে চাইছে না। কিন্তু এটা একটা অসম্ভব চিন্তা। জনগণের মধ্যে দুই দলের অবস্থানই এমন যে, কাউকে নিঃশেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়। বরং 'রাজায় রাজায় যুদ্ধে উলু খাগড়ারই প্রাণ' যাবে। তাতে তাদের কী লাভ হবে? সাধারণ মানুষ কেন বলির পাঁঠা হবে? এভাবে চলবে না, চলতে পারে না। গণপ্রতিরোধের মুখে পড়ে অথবা বিবেকের দংশনে কিংবা ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে তাদের উভয়কে থামতে একদিন হবেই, আগেই থামেন না কেন? না থামলে আন্দোলনকারী এবং নিয়ন্ত্রণকারী পক্ষ উভয়কেই এর দায় নিতে হবে।

এই সময়ে নাগরিক সমাজের প্রস্তাব তাই সর্বত্র গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হচ্ছে। সর্বত্র এখন এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনুকূল জনমতও গড়ে উঠছে। সরকারের উচিত হবে নেতিবাচক অবস্থান পরিবর্তন করে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটা স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে সম্মত হওয়া এবং বিএনপির উচিত আলোচনা-সংলাপের পথ উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে তাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার বা স্থগিত ঘোষণা করা। নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি তেমন আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকার তার সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে পারে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত ও বিচারাধীন আসামিরা ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ দলের অন্য নেতা-কর্মী-রাজবন্দীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরুর মধ্য দিয়ে।

এরপরই মূল বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতার কথা বলছেন কেউ কেউ। কেউবা আরও কারও হস্তক্ষেপের কথা বলছেন। কিন্তু কেন? কারও সঙ্গে আলোচনা ও মধ্যস্থতা ছাড়া যে জাতি নিজের দেশকে স্বাধীন করে ফেলতে পারে, নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিরসনে বিদেশিদের মুখাপেক্ষী হওয়া সেই জাতির জন্য বড়ই লজ্জার, অপমানের। মূল বিরোধীয় বিষয় তো ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন। ৩০০ সংসদীয় আসনের ১৫৩টিতেই কোনো প্রত্যক্ষ নির্বাচন হয়নি- যা সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। বাকি ১৪৭ আসনেও ভোটার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল নিয়ম রক্ষার দশম সংসদ নির্বাচনের পর আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে দশম সংসদ ভেঙে দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষিত হলেই বর্তমান সংকট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। কীভাবে তা করা যায় সে ব্যাপারেই প্রয়োজন আলোচনা, সংলাপ। তবে এই সংলাপে ভবিষ্যতের একটি স্থায়ী নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক দলের আচরণবিধিরও ফয়সালা হওয়া উচিত। দরকার এ ব্যাপারে একটা জাতীয় সনদে সবার সম্মত হওয়া। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। সমঝোতা ও সমাধানে না পৌঁছলে পরিণতি কারও জন্যই শুভ নয়।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
সর্বশেষ খবর
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৪ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের
সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়
ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি
মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা
কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক
বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন
সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

সম্পাদকীয়

জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন
জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন

দেশগ্রাম

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে