বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট আহূত টানা অবরোধের মধ্যে শুক্র, শনিবার বাদ দিয়ে টানা হরতাল কর্মসূচিও চলছে। সরকার পক্ষের লোকজন আহ্লাদে আটখানা ভাব দেখিয়ে বলছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনায় যানজটে মানুষ অস্থির; আন্দোলনকারীদের হরতালের ডাকে মানুষের কোনো সাড়া নেই। হ্যাঁ, এটা সত্য যে, হরতালের মধ্যেও দেশের কোনো কোনো বড় শহরে-নগরে যানজট হচ্ছে; কিন্তু এতে কী এটা বোঝা যায় যে, তাতে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে! গাড়ি-ঘোড়া চললেই কী বোঝা যায় যে, মানুষের জীবনযাপনও চলছে গাড়ির চাকা ঘোরার মতো? কিংবা কোথাও কোথাও হরতালের মধ্যে যানজট হলেই কী বোঝা যাবে যে, আন্দোলনকারীদের প্রতি মানুষের সমর্থন নেই? আবার অন্যদিকটাও দেখা দরকার। যে সব শহর-নগরে যানজটের কথা বলা হচ্ছে, সে সব স্থানে প্রচুর পরিমাণে রিকশা চলছে, মনে হয় স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি। গণপরিবহন চলছে, তবে নতুন ও উন্নতমানের গণপরিবহন মালিকরা রাস্তায় ছাড়ছেন না। সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে গণপরিবহনের চালক ও সহযোগীদের যে সব সাক্ষাৎকার ছাপানো এবং প্রচার করা হচ্ছে, তাতে যে চিত্র ফুটে উঠছে তা হতাশাজনক। গাড়ি নামছে রাস্তায়, কিন্তু যাত্রীর সংখ্যা নগণ্য। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা দ্রুত কমে যাবে। যাত্রীশূন্যতা ছাড়াও বোমাতঙ্ক কাজ করছে দারুণভাবে। রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহর-নগরের যে পরিধি, সেই তুলনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। কাজেই সহিংসতা-নাশকতা বন্ধ করতে না পারার জন্য তাদের একতরফা দোষারোপ করা সঠিক নয়। তা ছাড়া আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দক্ষ ও সক্ষম, বর্তমান পরিস্থিতি তা থেকে ভিন্ন। এখন যা ঘটছে তা সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি বা হরতাল-অবরোধের রাজনৈতিক দলের অনুসৃত প্রচলিত মিছিল-মিটিং-পিকেটিংয়ের পরিচিত কর্মসূচি নয়। সব হচ্ছে অনেকটা গেরিলা পদ্ধতিতে চোরাগোপ্তা হামলা। 'হিট অ্যান্ড রান' পদ্ধতিতে। কখন, কোন জায়গায় পেট্রলবোমা বা অগি্নসংযোগের ঘটনা ঘটবে আগে থেকে তা জানা মুশকিল। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য আরও নিবিড় প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এটা স্পষ্ট যে, আন্দোলনকারীরা গণসংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচির (মাস লাইন) লাইন পরিত্যাগ করেছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংবিধান স্বীকৃত এবং সারা বিশ্বে প্রচলিত প্রকাশ্য ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ, মিছিল, বিক্ষোভ ইত্যাদি পালনের পথে অন্তরায় সৃষ্টি হলে বা করলে সংক্ষুব্ধ পক্ষ অপ্রচলিত পথে পা দিয়ে ফেলতে পারে; সংশ্লিষ্টদের বিষয়টা সবসময়ই মাথায় রাখা উচিত। আমাদের দেশে বর্তমানে যে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারবে, এমন চিন্তাই যে ক্ষমতাসীন সরকার করেনি তা বোঝা গেছে বিএনপির প্রতি তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতি ও ভাষণে। মনে হচ্ছে সবকিছু একটা জেদাজেদির পর্যায়ে চলে গেছে। চলছে একে অপরকে নিঃশেষ করে দেওয়ার হুমকি-হুঙ্কার। বিদেশিদের কেউ কেউ বর্তমান অসহনীয় পরিস্থিতিকে 'দুই বেগমের' লড়াই বলেও চিত্রিত করছেন। এই লড়াইয়ের ভিতর কিছু কিছু জায়গায় বা অনেক জায়গায় গাড়ি-ঘোড়া চলছে ঠিক, কিন্তু জীবন চলছে না। ককটেল-পেট্রলবোমা হামলার বা আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে যারা রাস্তায় বেরুচ্ছেন, একান্তই প্রাণের তাগিদে বেরুচ্ছেন, গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ছেন। এদের মধ্যে আন্দোলনের সমর্থক, সরকারের বিরুদ্ধবাদীরাও আছে। এটা দেখিয়ে সবকিছু 'নরমাল' বলার পেছনে কোনো সরস যুক্তি নেই। এটা সরকারের 'ফরমাল' 'প্রেসনোটীয়' বা 'হ্যান্ডআউটীয়' ভাষ্য। আসল ও বাস্তব পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র তো তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, 'ঢাকা শহরে অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বাইরের জেলাসমূহের অবস্থা খুব খারাপ।' দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল একপ্রকার বন্ধই বলা চলে। ট্রেন যোগাযোগ আছে, কিন্তু সংখ্যায় কম ও অনিয়মিত। 'কয়টার ট্রেন কয়টায় ছাড়বে' কথাটা এখন বিলকুল ঠিক। লঞ্চও চলছে কম, যাত্রী আরও কম। রাজধানী ঢাকা কার্যত সারা দেশ থেকে বিছিন্নই বলা চলে। কল-কারখানায় উৎপাদন কমে গেছে কাঁচামালের প্রাপ্যতা এবং উৎপাদিত পণ্য সরবরাহের সুযোগের অভাবে। দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত পোশাকশিল্প মুখ থুবড়ে পড়ার দশা। অফিস-আদালতে কিছু লোকের যাতায়াত আছে, কিন্তু কাজ নেই বললেই চলে। উচ্চ আদালতেও চলছে বয়কটের পর বয়কট। পাবলিক পরীক্ষাও ঠিকমতো নিতে পারছে না সরকার; কারণ অবরোধ আর হরতাল।
সরকারের কিছু মন্ত্রী-মিনিস্টার এবং বিভিন্ন স্তরের নেতার 'উল্লাস নৃত্য' দেখে মনে হয়, সরকারের অস্বস্তিকর সময় বোধ হয় কেটে গেছে। কিন্তু বাতাসে কান পাতলেই শোনা যায় অশনি সংকেত ধ্বনি। সত্য কথা বলতে কি, সরকার নাগরিক জীবনে শান্তি ও স্বস্তি দিতে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে এবং রাষ্ট্রের কাছ থেকে জনগণের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের অঙ্গীকার পূরণ করতে ব্যর্থ হতে চলেছে। এটাও সত্য যে, এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। এখন আবার তারা একা নয়, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনকৃত ৪২টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টিসহ নিবন্ধনহীন বহু বিরোধী সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যোগদান না করলেও তাদের অবস্থানও সরকারের বিরুদ্ধে। অথচ এদের অধিকাংশই একসময় সরকারের সরাসরি পক্ষে না থাকলেও বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর সরকারের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের এই শক্তির দৃঢ় একটা সমর্থন বেড়েছিল। তারা এখন যে আর সরকারের পক্ষে নেই এটা তো লুকোছাপা কোনো বিষয় নয়। দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বর্তমান পরিস্থিতির হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়। তারা শুধু সরকারের দোষই ধরছেন না, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটেরও, বিশেষ করে বিএনপিরও কঠোর সমালোচনা করছেন। বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টির উৎসে যাওয়ার আগে বিএনপির ওপর সচেতন জনসমাজ, এমনকি সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কারণটাও দেখা দরকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বহুদলীয় সরকারব্যবস্থায় বহুদল, বহুমত থাকবে। আমাদের দেশেও আছে। এক দলের সঙ্গে অন্যদলের নীতিগত, আদর্শগত এবং কর্মসূচিগত পার্থক্য আছে এবং থাকে বলেই বহুদল, বহুমত। রাষ্ট্রক্ষমতা বা সরকার গঠন নিয়ে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে বিরোধী পক্ষের আন্দোলন-সংগ্রামও থাকবে। জনগণের কল্যাণ ও রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্যই রাজনীতি এবং রাজনৈতিক সংগ্রাম। সেই সংগ্রামের পথ অবশ্যই হবে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও সংবিধানসম্মত। লড়াই যা হওয়ার হবে বিবদমান পক্ষসমূহের মধ্যে। জনগণ কারও প্রতিপক্ষ হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালে সরকার ও রাষ্ট্রের পাশাপাশি নিরীহ জনগণও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার ও রাষ্ট্রের ক্ষতির চরিত্র এক প্রকার, সেটা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু সহিংসতা-নাশকতার প্রাণঘাতী বীভৎসতা দেখা যাচ্ছে, অনেককে কাঁধে নিতে হচ্ছে স্বজনের লাশ। বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছে শতাধিক দগ্ধ মানুষ। গাড়ি পুড়ছে, ট্রেনে-লঞ্চে আগুন জ্বলছে। এ পর্যন্ত যে প্রায় একশ মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়ে কিংবা ক্রসফায়ারে অথবা সংঘর্ষে মারা গেছে, তাদের মধ্যে ক্রসফায়ারে নিহত কয়েকজন ছাড়া অন্যদের একজনও বিএনপি, জামায়াত বা আওয়ামী লীগের লোক নন। গদির লড়াই চলছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে, আরও নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হবে হাসিনা-খালেদার মধ্যে। কিন্তু এসব নিরীহ কর্মজীবী সাধারণ মানুষের প্রাণ কেন যাবে? সহিংসতা-নাশকতা ঘটছে ২০-দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালের ছাতার নিচে থেকে। বিএনপি চেয়ারপারসন স্পষ্ট করে বলেছেন, এসব নৃশংসতার সঙ্গে তার দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তার এই অস্বীকৃতির মধ্য দিয়ে একটা বিষয় স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, যা ঘটছে তা খুব খারাপ কাজ, নিন্দনীয় কাজ। তিনি অবশ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, এসব নাশকতা সরকার তার লোকজন দিয়ে করিয়ে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। কিন্তু এটা মুখে বললেই তো হবে না, তাকে তা প্রমাণ করতে হবে- যদিও শাসকদলের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন। প্রাসঙ্গিকভাবে এটাও বলা দরকার যে, সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে যেভাবে ঢালাও অভিযোগ করছে তারও যথার্থ প্রমাণ খুব একটা নেই। হাতেনাতে এ পর্যন্ত কাকে বা কতজনকে ধরতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। যে সব গ্রেফতারকৃতের স্বীকারোক্তির কথা জানা যাচ্ছে, এই ধরনের স্বীকারোক্তি আদায়ের সুবিধা সরকারি লোকদের অতীতে যেমন ছিল, এখনো আছে। 'জজ মিয়া' নাটক তো আমরা দেখেছি।
উদ্ভূত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির গোড়ার কথা বা মূল কথা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোকপাত করা প্রাসঙ্গিকভাবেই জরুরি। যত দিন মূল সমস্যার সমাধান না হবে তত দিন বিষয়টি ঘুরেফিরে লেখায়-আলোচনায় আসবেই। গলদ হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে। দেশ-বিদেশে সবাই বলছেন সেই নির্বাচনটি একটি আদর্শ নির্বাচন ছিল না। তা ছিল একপক্ষীয়। সরকারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলই তা বর্জন করেছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকেনি বলে। বলা হয়েছিল দশম সংসদ নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। সমঝোতা হলে এই সংসদ ভেঙে দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। বিএনপির মতো একটি নির্বাচনপন্থি দল, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের জিতে যাওয়া নিশ্চিত বলে সাধারণ্যে একটা ধারণা বদ্ধমূল। সেই দল একবছর তো অপেক্ষা করেছে সমঝোতার জন্য। সমঝোতার উদ্দেশ্যে যদি কোনো আলোচনা-সংলাপ না হয় এবং সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য সংবিধান স্বীকৃত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সব পথও যদি রুদ্ধ করে দেওয়া হয়, নিশ্চিত ক্ষমতা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে 'নাকে তেল দিয়ে' ঘুমানো কী প্রত্যাশা করা যায়? বেগম খালেদা জিয়াকে ৩০ ডিসেম্বর গাজীপুরে এবং ৫ জানুয়ারি ঢাকায় জনসভা করতে না দেওয়া এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রেক্ষাপটেই বর্তমান কর্মসূচিতে চলে গেছে বিএনপি জোট। তাই বলে সহিংসতা-নাশকতার পথে কী একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল পা দিতে পারে? তারা বলছে এসব তাদের কাজ নয়। তবে কী কেউ সাবোটাজ করছে? কে বা কারা করছে? বিএনপিকে তা দেখতে হবে। শোনা যাচ্ছে, অসহযোগ কর্মসূচিও আসতে পারে। এমতাবস্থায় দেশ ও জনগণের আরও ক্ষতি হওয়ার আগেই ভাবা উচিত সংশ্লিষ্টদের- বিশেষ করে সরকারের। মূল সমস্যার নিষ্পত্তি অর্থাৎ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজনের মধ্যেই সংকটের সমাধান নিহিত।
আর বর্তমান সংকট নিরসন নির্ভর করছে সরকারপক্ষ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ে উভয়কে 'বাঘের পিঠ' থেকে নামার একটা ব্যবস্থা করে দেওয়ার ওপর, উভয়ে উভয়কে 'স্পেস' দেওয়ার ওপর। সংলাপ ও সমঝোতা ছাড়া সংকট উত্তরণের অন্য কোনো পথ নেই। তারা কেউই কিন্তু সংকটমুক্ত নন। উভয়েরই একটা 'সেইফ এঙ্টি' দরকার। তারা সেই এঙ্টি নিলে জনগণ ও রাষ্ট্রেরও মঙ্গল। নতুবা, জনগণের সংকট একদিন কেটে যাবে, তারা তলিয়ে যাবেন কঠিন সংকটের অতল গহ্বরে।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট
ই-মেইল : [email protected]