কুমিল্লা গিয়েছিলাম গত শুক্রবার। ভাবলাম দেশে হরতাল, অবরোধ চলছে, যানজট হবে না। সড়ক থাকবে ফাঁকা ফাঁকা। নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা হবে চলার পথে। তাই ফিরতে হবে সন্ধ্যার আগে। তারপর যোগ দেব ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে। ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে কথাও দিয়েছিলাম। তাই অফিসে ফোন করে জানিয়ে রাখলাম ফুলের তোড়া বানিয়ে রাখতে। আমি সন্ধ্যায় ফিরব। তারপর কিছুক্ষণ অফিসে কাজ করে যাব বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকা থেকে বের হলাম। ভোরের রোদঝলমলে পথে হালকা যানজট পেলাম মেঘনা ব্রিজ, চান্দিনাতে। তারপরও ঝামেলা ছাড়া কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ছাড়িয়ে মিয়ামি রেস্টুরেন্টে। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সোয়া ৯টা। মন ভালো হয়ে গেল। যাক সমস্যা নেই। পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষ করে ফিরতে পারব যথাসময়ে। নাঙ্গলকোটের গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করলাম। দুপুরে খেয়ে আর দেরি করলাম না। বেরিয়ে পড়লাম নাঙ্গলকোট হেসাখাল বাজার কলেজের পথে। এই কলেজটির সভাপতি আমি। তাই বাড়িতে এলেই কলেজে একবার আসি। কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মতিন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কলেজ কমিটির সদস্যরা ছিলেন। তাদের সময় দিলাম না। কিছুক্ষণ থেকে পৌনে ৪টায় আবার গাড়িতে চড়লাম। পথে লাকসাম বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ালাম দুই মিনিট। স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবার ঢাকার পথে।
গাড়ি ভালো গতিতে ছুটছে। কিন্তু অবরোধের দিনে এই সুখ বেশি সইল না। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের আগে ভয়াবহ জ্যাম। টানা দেড় ঘণ্টা এই জ্যামে। কঠিন জ্যাম শেষে আবার যাত্রা শুরু। ভাবলাম যত জ্যাম থাকুক ৮টার ভিতরে ঢাকা পৌঁছবই। কিন্তু আমার ভাবনায় ছেদ পড়ল। কারণ কিছু দূর পরপরই হালকা যানজট। ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেনের কাজের গতি নেই। কবে এই কাজ শেষ হবে কেউ জানে না। যানজটে বসে কাজের গতি নিয়ে ভাবছিলাম। এর মধ্যে আবার শুরু দাউদকান্দিতে। টানা এক ঘণ্টা। দাউদকান্দি পার হয়ে যাক রক্ষা। কিন্তু না, ভয়াবহ অবস্থা গজারিয়া এলাকায়। মেঘনা ব্রিজের আগে আবার যানজট। সবকিছু পিছু ঠেলে ঢাকা এসে পৌঁছলাম রাত ১১টায়। আগে যানজটে পড়লে বিরক্ত হতাম। এবার হইনি। মানুষ অল্প শোকে কাতর। অধিক শোকে পাথর হয়। আর আমরা সবকিছু সয়ে নিচ্ছি। বিএনপি প্রতিদিন হরতাল-অবরোধ ডাকছে। মানুষ হরতাল-অবরোধে যানজট করছে। কথায় কথায় হরতালে মানুষ ক্লান্ত। আমার এক বন্ধু বললেন, হরতাল ডাকলে এখন মানুষ গাড়ি নিয়ে বের হয়। আর শিথিল থাকলে ঘরে থাকে। গাড়ি বের করে না। সবকিছু এখন সহনীয়।
আসলে মানুষ অসহায়। কারও কিছু করার নেই। রাজনৈতিক দলগুলো যার যা খুশি তা-ই করছে। মানুষ তামাশা দেখছে। একটা দেশে মাসের পর মাস হরতাল-অবরোধ চলতে পারে না। বিএনপি মাঘ মাসের কাজ শুরু করেছে আষাঢ় মাসে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না আসা বিএনপির একটা বড় ভুল ছিল। এই ভুলের খেসারত দূর করতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতার দরকার ছিল। বিএনপি তা করেনি। বরং ডিসেম্বর মাসে মাঠে থাকা কর্মীদের ঢাকায় ঢেকে এনেছিল বিএনপি। তৃণমূল খালি করে আন্দোলন পরিত্যক্ত করে বিএনপি। তখন আন্দোলনের প্রতি দেশ-বিদেশের নানা মতের মানুষের সমর্থনও ছিল। বিএনপির প্রতি সহানুভূতিও ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আগের মতো নেই। ব্যবসায়ীরা বিএনপির আন্দোলনের বিপক্ষে। মিডিয়ার সমর্থন নেই। নেতা-কর্মীরা পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন না। দেশ-বিদেশের কূটনীতিকরা মনে করছেন, বিএনপি মাঠে নামতে পারছে না। ঘরে বসে কর্মসূচি দিচ্ছে। সেই কর্মসূচিকে জনগণ অবজ্ঞা করছে। তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোই ভালো। তার চেয়ে ক্রিকেট কূটনীতি অনেক ইতিবাচক। তাই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সেজে ক্রিকেট খেলছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট।
অন্যদিকে সরকার ২০১৩ সালের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। ঘর-বাইর সামলে নিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। মন্ত্রী, এমপি, নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা। দেশে আবার আওয়ামী লীগারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০১৩ সালে অনেকে সরে পড়েছিলেন, এলাকা ছেড়েছিলেন। সুবিধা বুঝে আবার ফিরেছেন তারা। সবাই ব্যস্ত আখের গোছানো নিয়ে। এ কারণে ৫ জানুয়ারির আগের সুবিধাভোগীরা এলাকায় ফিরে সক্রিয়। এর বিপরীতে বিএনপি কর্মীরা ঘরছাড়া। হামলা-মামলায় তারা জর্জরিত। সারাক্ষণ নানামুখী ভয় ও হুমকিতে থাকতে হয় তাদের। এই বাস্তবতাকে এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বিএনপি কতটা বাস্তবিক? সর্বশেষ বিএনপি চেয়ারপারসনের সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র নেতাদের ডাকা হয়নি। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. মঈন খানকে ডাকা যেত, রাখা যেত। তাদের ডাকা হয়নি। চাণক্যের কথা আছে, ভালো পরামর্শকের অভাবে রাজার সর্বনাশ হয়। রাজারা তোশামোদকারীদের প্রাধান্য দেন। দক্ষ মানুষদের কদর করেন না। যার যেখানে থাকার কথা তা না থাকলেই জটিলতা বাড়ে। বিএনপির একজন সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি কর্মচারীদের বাধার মুখে। তাই তিনি ক্ষোভ ঝেড়েছেন চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। বলেছেন, বেগম জিয়া এখন বন্দী কর্মচারীদের জেলে। একই অভিযোগ তারেক রহমানকে নিয়েও। তিনি হাওয়া ভবনের সাবেক কর্মচারীদের নিয়েই আছেন লন্ডনে। যেখানে রাজনৈতিক নেতাদের গুরুত্ব নেই। কেন্দ্রের অনেক বড় নেতা তারেক রহমানের সাক্ষাৎ পান না লন্ডন গিয়ে।
বিএনপিকে বুঝতে হবে রাজনীতি এক চলমান প্রক্রিয়া। শেখ হাসিনা ছাড় দিয়ে ওয়ান-ইলেভেনের সময়কার অনেক নেতাকে আবারও দলে ঠাঁই দিয়েছেন। অবস্থান দিয়েছেন। তাদের গাড়িতে পতাকা দিয়েছেন। ক্ষমতার রাজনীতির জন্য ছাড় দিতে হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন ভারত গিয়ে লালগালিচা সংবর্ধনা নেন। অথচ ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে এলে হরতাল দিয়ে বসেন। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সময় নেন। তারপর দেখা করেন না। ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় ভারতে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। সেই সময় বিজেপির সমর্থন পেয়েছিল বিএনপি। তাই মোদি ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি নেতারা উল্লসিত ছিলেন। তারা ভেবেছিলেন আবার সমর্থন পাবেন। কিন্তু বিএনপি ভুলে গেছে, চট্টগ্রামে অস্ত্র আটকের কাহিনী। সীমান্তে নানা উৎপাতের কথা। চট্টগ্রামের অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিএনপির সময়কার শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারাসহ রাঘববোয়ালরা এখন কারান্তরীণ। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তারা আটক হয়েছিলেন। মামলাটিও সেই সময়কার। বিএনপি মাঝে মাঝে ভুলে যায় তাদের বিশাল জনসমর্থন রয়েছে। তাই ক্ষমতায় আসার জন্য বাস্তবতায় থাকার দরকার। বাস্তবতার বাইরে থাকার কারণেই বিএনপি ক্ষমতার ট্রেন মিস করেছে। এখন তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরেকটি ট্রেনের জন্য। জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতার ট্রেনে ওঠা যায় না। ক্ষমতার ট্রেনে উঠতে হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উঠতে হয়। বিএনপিকে বাস্তবতায় আসতে হবে দেশের মানুষের স্বার্থে। সরকারের অনেক আচরণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের অনল জ্বলছে। সেই অনলকে আরও জ্বালাতে হলে জনসম্পৃক্ত ইস্যুগুলোকে সামনে আনতে হবে। এখন লড়াইটা ক্ষমতার। এক দল ক্ষমতায় যেতে চায়। আরেক দল ক্ষমতায় থাকতে চায়। এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা কোথায়? আর সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা না থাকার কারণেই আন্দোলন জমছে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা দিন কাটাচ্ছেন ঝুঁকির মধ্যে। সরকার কৌশল নিয়েছে বিএনপিকে বিচ্ছিন্ন করে ক্ষমতা পোক্ত করতে। আর বিএনপি সরকারের টোপে পা রেখে নাশকতা ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। নাশকতার পথে সরকারের পতন হয় না। বরং বহির্বিশ্বে একটি রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। সরকার চেষ্টা করছে বিএনপিকে সেদিকেই রাখতে। সরকারের ফাঁদে পা দিচ্ছে বিএনপি বারবার। অনেকটা জেনেশুনে বিষ পানের মতো।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপিকে বাস্তবতায় ফিরে আসতে হবে। সংকটের সমাধানে জামায়াতের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি ঐক্যের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বন্ধ করতে হবে ইতিহাস বিকৃতি। হরতাল-অবরোধের বিকল্প চিন্তা করতে হবে। ১৫ আগস্ট বিতর্কিত জন্মদিন পালন নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জিয়াউর রহমান জীবিত থাকাকালে কিংবা রাজনীতিতে যোগ দিয়ে '৯০ সাল পর্যন্ত ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেননি বেগম খালেদা জিয়া। '৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বায়োডাটাতে ১৫ আগস্ট জন্মদিন ছিল না। তার শিক্ষা সনদ, পাসপোর্ট কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন নেই। গল্প শুরু বিএনপির '৯২ সাল থেকে। আর পালন শুরু আওয়ামী লীগ '৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর। এর বিকাশ ২০০১ সালের পর। এবার লন্ডন বসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারেক রহমানের কটাক্ষ কোনো সভ্যতার মধ্যে পড়ে না। মানুষ নতুন প্রজন্মের কাছে স্বপ্নের কথা শুনতে চায়। পুরনো কাসুন্দির ঘাঁটাঘাঁটি নয়। আর রাজনীতিবিদদের পরস্পরকে সম্মান দিতে হবে। শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমাদের রাজনীতি থেকে শ্রদ্ধাবোধ উঠে গেছে। এখানে কেউ কাউকে সম্মান জানান না। আত্দীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হন নিজেদের সম্পদ রক্ষায়। কাদা ছোড়াছুড়ি করেন অকারণে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষমতা আজ আছে কাল নেই। কতগুলো মৌলিক প্রশ্নে রাজনীতিবিদদের এক হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে কোনো দলই বাড়াবাড়ি করতে পারবে না। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতাকে অসম্মান করা যাবে না। কেউ অসম্মান করলে তার বিরুদ্ধে সংবিধান লংঘনের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ সংবিধানে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে পরিষ্কারভাবে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান।
কোনো আপস করা যাবে না সংবিধান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত প্রশ্নে। পাশাপাশি আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সব প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা নিয়ে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সংলাপ হতে পারে। ক্ষমতায় যে থাকুন নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে ভারতের আদলে। নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য হতে পারে। দেশের মানুষ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আর নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে দরকার একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করার জন্য বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি প্রয়োজনে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীরও সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। তাহলে মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা পাবে। মনে রাখতে হবে, দীর্ঘমেয়াদি অশান্তি দেশের মানুষের কাম্য নয়। মানুষ শান্তি চায়, স্থিতিশীলতা চায়। আইনের শাসনের স্বাভাবিক গতির পাশাপাশি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ দেখতে চায়। দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হবে। আইনের শাসন কায়েম করতে হবে। একটি সরকার শপথ নেয় মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সরকার কীভাবে নিরাপত্তা দেবে সেটি তার নিজের ব্যাপার। জনগণের দেখার বিষয় নয়। জনগণ চায় তার নিরাপত্তা। সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে ক্ষমতায় থাকার অধিকার হারায়। বুঝতে হবে দেশটা ১৬ কোটি মানুষের। কোনো দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির নয়। ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে কোনো কিছু জিম্মি থাকতে পারে না। মানুষও নয়।
পাদটীকা : বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি কোথাও নেই। তার পরিবার দাবি করছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে তুলে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, তারা কিছুই জানে না। সালাহউদ্দিন একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক এমপি। জীবন শুরু করেছিলেন বিসিএস প্রশাসন সার্ভিসে। এমন একজন মানুষ কোথায় হাওয়া হয়ে গেলেন? তাকে অবশ্যই খুঁজে পেতে হবে। আর কাজটি করতে হবে রাষ্ট্রকেই। তিনি অপরাধী হলে অবশ্যই তার বিচার হবে আইনি প্রক্রিয়ায়। তবে যে কোনো নাগরিক নিখোঁজ হলে তার সম্পর্কে দেশের মানুষকে জানানোর দায়িত্বও রাষ্ট্রের।
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন