গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সিটি নির্বাচন নিয়ে আমার বিভিন্ন লেখা ও মন্তব্যের উপরে লাইক, শেয়ার ও মতামত/ মন্তব্যের জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে চ্যানেল আইসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় আমার বিভিন্ন বক্তব্যকে সমর্থন করার জন্যও সবাইকে ধন্যবাদ।
আমাদেরকে ভাল ভাবে বেঁচে থাকতে হলে সকলকে সংঘটিত হতে হবে। সকল অতীত ভুলে গিয়ে নতুন নেতৃতে নতুন ভাবে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদেরকে নিয়ে দলকে পুনঃঘটিত করতে হবে। আশা করবো ম্যাডাম সবাইকে ডাক দিবেন। দলের বর্ধিত সভার আয়োজন করবেন। দেশ বা বিদেশ বা ঘরের ভিতর থেকে একজনের মাধ্যমে দলের সিদ্ধান্ত গায়েবী আওয়াজের মত এলান না করে সবার সামনে খোলা সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রকাশ্য রাজনীতির চর্চা শুরু করতে হবে বলে দলের তৃণমূল নেতা কর্মীরা মনে করে।
দলের তৃণমূল নেতা কর্মীরা মনে করে গোপন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ষড়যন্ত্র বাড়ে এবং বাস্তবায়ন দুর্বল হয়। প্রকাশ্য সিদ্ধান্তে সবার অংশ গ্রহনের সুযোগে দলের নেতা কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ে এবং বাস্তবায়নে ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি হয়। নিয়মিত আলোচনা ও বহুমাত্রিক মতামতের মাধমে সিদ্ধান্ত নেয়ার গণতান্ত্রিক পক্রিয়ায় দলে বহুমাত্রিক নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় এবং শীর্ষ নেতৃত্বের উপর চাপ ও ঝুকি কম বলে তৃণমূল নেতা কর্মীদের অভিমত।
তাই তৃণমূল নেতা কর্মীদের প্রানের দাবি অবিলম্বে বিএনপির বর্ধিত সভা ডাকা হক এবং সেই সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে যারা স্বৈরাচার সরকারের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে পারবে ঐ রকম পরীক্ষিত নেতাদের কাছে দলের দায়িত্ব দিতে হবে বলে তৃণমূল নেতা কর্মীদের আহ্বান। সরকারের জেল জুলুম মাথায় নিয়ে যারা মাঠে টিকে থাকতে পারবে দলের নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার তাদেরই থাকবে বলে তৃণমূল নেতা কর্মীদের অভিমত।
আসুন আমরা সবাই জিয়ার সৈনিক এক হই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালি করি। বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবেই দাঁড়াবে।
লেখক: সাবেক সংসদ সদস্য।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ এপ্রিল ১৫/ সালাহ উদ্দীন