শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১৪, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনীতি

বিভুরঞ্জন সরকার
অনলাইন ভার্সন
স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনীতি

একাত্তরে দেশের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য এবং সাহস দেখা গিয়েছিল তা আগে বা পরে আর কখনো দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই ‘সাড়ে সাত কোটি’ বাঙালি তখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, লড়াই করেছিল, জীবনবাজি রেখেছিল। সত্যি তখন ছিল ‘এক নেতা, এক দেশ’। তখন অন্য রাজনৈতিক দলগুলো মানুষকে তেমন প্রভাবিত করতে পারেনি।  বঙ্গবন্ধুর জীবন সংগ্রামই তাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করেছে। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর তুলনায় ত্যাগী ও যোগ্য প্রার্থীদেরও মানুষ ভোট দেয়নি সম্ভবত একটি রাজনৈতিক বিবেচনা থেকেই যে, শেখ মুজিবকে ভোট না দিলে বাঙালি তার অধিকার পাবে না। মানুষের এই আস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। এখন এই যে, কার ডাকে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে গেল বা কে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক— এ নিয়ে যে বিতর্ক হয়, এটা একেবারেই অর্থহীন। একাত্তরে এ কথা কেউ বলেনি, এ প্রশ্ন কেউ তোলেনি। বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী আহ্বান ‘আমি যদি হুকুম দেওয়ার নাও পারি, তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবা’— এটাই ছিল তখন সবার কাছে বড় দিকনির্দেশনা। সে জন্য মানুষ দ্বিধাহীন চিত্তে তখন শেখ মুজিবকেই তাদের নেতা মেনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তখন বরং যারা মুজিবের বিরোধিতা করেছে সাধারণ মানুষ তাদের অপছন্দ করেছে।

মানুষের মধ্যে একাত্তরে যে শক্তি ও সাহস দেখা গেছে তার কোনো তুলনা হয় না। তখন দেখেছি কি দুঃসাহস নিয়ে মানুষ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। অত্যাচার-নির্যাতন কোনো কিছুকেই তারা পরোয়া করেনি। আমার এক বন্ধুকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন-অত্যাচার করেছে। সে মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। ভারতেও যায়নি। নিজ এলাকাতেই ছিল, তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সে সহায়তা করত। পাকিস্তানি আর্মি এ কারণে তাকে ধরে নিয়ে যায়। অকথ্য নির্যাতন করেও তার মুখ থেকে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য বের করতে পারেনি। এ রকম আরও অনেকের কথা ইতিহাসে ঠাঁই পায়নি, পাবে না, তারা হয়তো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও কোনো দিন স্বীকৃতি পাবে না। সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ এবং ভূমিকা ইতিহাসে সঠিকভাবে স্থান পেলে আজকের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারত। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন অনেকেই অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তারা করেছেন। কেউ কেউ পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছেন। সাধারণ মানুষের মনে এমন দৃঢ়তা কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করার এমন সাহস মানুষ কোথা থেকে পেয়েছিল সে বিষয়টি কী আমরা কখনো ভেবে দেখেছি?

সাধারণ মানুষের বীরত্বগাথাকে সামনে না এনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটাকে কেউ কেউ সামরিক শক্তির জয়-পরাজয় বলে উল্লেখ করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ তো শুধু সেনাবাহিনী বা ইপিআরের কিছু সংখ্যক সদস্যের সঙ্গে পাকিস্তান বাহিনীর যুদ্ধ ছিল না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের যুদ্ধ, জনযুদ্ধ। সাধারণ মানুষের সমর্থন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই যুদ্ধে এত সহজে জয়লাভ সম্ভব ছিল না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটাকে সামরিক যুদ্ধ হিসেবে দেখার ফলে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ, তাদের ভূমিকা, সক্রিয় অংশগ্রহণ সব আড়াল হয়ে যাওয়ার ফলটা ভালো হয়নি। মানুষ দেখল যে, তার ভূমিকাটা ছিনতাই হয়ে গেছে। মানুষ যে আত্মত্যাগ করেছে, যে ভূমিকা রেখেছে তা ইতিহাসে স্থান পাচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পরবর্তী সময়ে মানুষের উত্সাহে ভাটা পড়ার এটা কি একটি বড় কারণ যে, মানুষ মনে করেছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সে নানাভাবে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হয়েছে, ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছে, নিকটজনকে হারিয়েছে, লুটপাটের কারণে সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে— এর কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না। এই মানুষের কথা সেভাবে কেউ বলছে না। শুধু অস্ত্র হাতে নিয়ে যারা যুদ্ধ করেছেন, তারা প্রশংসিত হচ্ছেন।

আমরা সবাই জানি যে, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শত্রু-মিত্র ছিল। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই। অথচ যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আমরা শত্রু-মিত্রকে আলাদাভাবে বিচার করার চেষ্টা করিনি। শত্রুর বিরুদ্ধে এবং মিত্রের পক্ষে আমাদের যেভাবে অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন, সেটা আমরা নেইনি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অসামান্য। সে সময় ভারত আমাদের পাশে না দাঁড়ালে কত বড় বিপর্যয়ের মুখেই না আমাদের পড়তে হতো এটা অনেকেই বুঝতে পারেনি। প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে। ভারতীয় সৈন্যরাও অনেকে জীবন দিয়েছেন। যদি বলা হয়, তারা তাদের স্বার্থেই সব করেছে তাহলে বিষয়টির অতিসরলীকরণ করা হয়। এ ধরনের কথা পাকিস্তানিরা বলে থাকে। পাকিস্তান মনে করে, ভারতের উসকানিতেই বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার পথে এগিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য তা বলে না। বাংলাদেশের মানুষই নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছে এবং একপর্যায়ে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

পাকিস্তানি শাসনামলে বাঙালিদের দাবিয়ে রাখার জন্য ভারতবিরোধিতা ছিল শাসকগোষ্ঠীর একটি বড় হাতিয়ার। ভারতের প্রতি এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে নানা ঐতিহাসিক কারণেই কিছুটা দ্বিধা-সংশয় ছিল। বিশেষ করে ‘দ্বিজাতিতত্ত্ব’ যাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সে অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের ওপর অতিনির্ভরতা স্বভাবতই কেউ কেউ ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতেও ভারতবিরোধিতা নতুন মাত্রা লাভ করে। এটা পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে হয়েছে তা নয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতভিন্নতার কারণে যারা জাসদ তৈরি করেছিলেন তারাও ভারতবিরোধী উগ্র বক্তব্য নিয়েই রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। অন্যদিকে প্রবীণ নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীও ‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর’-এর মতো বাংলাদেশে যা কিছু খারাপ তার জন্য ভারতকে দায়ী করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যারা ক্ষমতাসীন হয়েছেন, বিশেষত জিয়াউর রহমান ভারতবিরোধিতার ধারাই এগিয়ে নিয়েছেন।

একাত্তর সালে আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব সম্পর্কে মানুষের মনে কোনো সন্দেহ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। ওই সময় এ কথা কেউই বলেনি যে, শেখ মুজিব গ্রেফতার বরণ করলেন কেন? জাতিকে অসহায় অবস্থায় রেখে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন, এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করার দুঃসাহস কেউ তখন দেখায়নি। এসব প্রশ্ন স্বাধীনতার পর, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়েছে। একাত্তরে আমাদের শত্রুপক্ষ জানত যে তারা পরাজিত হবে। তাই তারা একটা টার্গেট ঠিক করে নিয়েছিল। একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা পরিকল্পিতভাবে তখন থেকেই অগ্রসর হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না। পরাজিত শক্তি যে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে সেটা সম্ভবত একেবারেই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের কাছেও এটা স্পষ্ট ছিল না যে, দেশটা স্বাধীন হলে কী হবে বা কী করতে হবে। তারাও সম্ভবত উপলব্ধি করতে পারেননি যে, তাদের ওপর কী গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধটা যে শুধু শাসক বদলের ব্যাপার ছিল না, ছিল নীতি ও আদর্শের মৌলিক পরিবর্তনের পথযাত্রা, এটাও নতুন শাসক দলের বিবেচনায় ছিল না। একটা জাতি নিরস্ত্র থাকা এবং সেই জাতির সশস্ত্র হওয়া এবং যুদ্ধ শেষে অস্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া— এসবের মধ্যে যে তফাত্ সেটাও আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি বা বুঝতে পারেননি। মূলত নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

বামদের একটা অংশ এবং মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করেছে। আবার যারা পক্ষে ছিল তাদেরও স্বাধীনতার পর এক রাখা যায়নি। এর নানা কারণও ছিল। অংশগ্রহণকারী সবার লক্ষ্য, স্বার্থ ও উদ্দেশ্য এক ছিল না। চাওয়ার-পাওয়ার হিসাবও ছিল ভিন্ন। তবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দূরদর্শী হলে এক্ষেত্রে একটি সমন্বয় ঘটানো অসম্ভব হতো না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে এক রাখা এবং সংহত করার কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ ছিল না। উল্টো আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে জাসদ তৈরি হলো। অন্যদিকে যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করেছে, তাদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। দালালদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। যারা খুন, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের মতো মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত করেছিল তাদের সাধারণ ক্ষমার বাইরে রাখা হলেও কারও বিচার করা হয়নি। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছিল। ধরে নেওয়া হয়েছিল যে, যুদ্ধ করে আমরা জয়ী হয়েছি। আমাদের আর কোনো বিপদ নেই। কিন্তু একটা যুদ্ধের পর অর্জিত বিজয়কে সংহত করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তখন মানুষের মনের মধ্যে যে পরিবর্তন ঘটেছিল, তাকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার মতো কোনো পরিকল্পনাই তখন করা হয়নি।

আমরা প্রায়ই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা যদি বলি। অথচ এগুলো যে রাতারাতি অর্জন করা সম্ভব নয়— সে সম্পর্কে আমরা কতটুকু সচেতন? পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে আমরা চব্বিশ বছর সাম্প্রদায়িক আবহ ও প্রচারণার মধ্যে ছিলাম। সেই সাম্প্রদায়িক অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রাতারাতি অসাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে— এমনটা ভাবা ঠিক হয়নি। তখন একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এ সম্ভাবনাকে স্থায়ী ভিত্তি দেওয়ার জন্য কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পাকিস্তানি বাহিনী হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে হিন্দুরাই বেশি। ভারতে আশ্রিত এক কোটি শরণার্থীর মধ্যে নব্বই লাখই ছিল হিন্দু। দ্বিজাতিতত্ত্বকে বাতিল করে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা ইত্যাদি কারণে শরণার্থী শিবির থেকে প্রত্যাগত হিন্দুদের কেউ কেউ হয়তো আচার-আচরণে এমন ভাব দেখিয়েছিলেন যেটা দেশের ভিতরে অবস্থানকারী মুসলমানদের আহত করেছে। ওই সময় হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল সেটা রাজনৈতিক নেতৃত্বের গোচরে আসেনি। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের সংবিধানের মূল ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র গ্রহণ করেই আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে, পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণা ও আদর্শ থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। এ বিষয়গুলো মানুষ আত্মস্থ করছে কিনা, প্রাত্যহিক জীবনাচরণে মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা করছে কিনা সেটা আমরা তলিয়ে দেখিনি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সরকার এবং আওয়ামী লীগও সংবিধানের মূলনীতিগুলো ব্যবহারিক ক্ষেত্রে চর্চার তেমন উদ্যোগ নেয়নি। দলের নেতা-কর্মীরা সংবিধানের মূলনীতিগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বাহাত্তর সালের শুরু থেকেই গ্রাম-গঞ্জে-শহরে মসজিদ-মাদ্রাসায় সংগঠিত হয়ে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছিল। তাদের এ সংগঠিত প্রচারণার খবরও হয়তো মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তির জানা ছিল না। মানুষের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের জন্য স্বাধীনতার পর যেসব উদ্যোগ গ্রহণের দরকার ছিল, বিশেষত সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা দরকার ছিল তার কোনোটাই তখন করা হয়নি। একদিকে ধর্মীয় শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে, অন্যদিকে বলা হবে আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকশিত করব— সেটা হয় না। নানা ক্ষেত্রেই অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে। এ অসঙ্গতিগুলোর পরিণতি হলো আজকের বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের পর ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হলেও পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের ব্যবহার প্রবল হতে থাকে। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, এখন আর কোনো রাজনৈতিক দলই ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিতে চায় না। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ভোট পাওয়ার জন্য ধর্মকে যথেচ্ছ ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না কেউই। ধর্ম ও রাজনীতির পৃথক অবস্থান এখন অনেকটাই যেন একাডেমিক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুধু আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে লাভ নেই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিরই এ ব্যাপারে ব্যর্থতা রয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগের অনুদারতার সমালোচনা করে আত্মসুখ লাভের চেষ্টা কেউ কেউ করতে পারেন, তাতে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না।  যুদ্ধোত্তর দেশে এবং পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাম প্রগতিশীল শক্তির নিজ নিজ ভূমিকারও পুনর্মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মসমালোচনার পরিবর্তে দোষারোপের পথে হেঁটে একাত্তরের চেতনার পুনর্জাগরণ ঘটানো সম্ভব হবে না।

     লেখক : সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
সর্বশেষ খবর
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৪ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের
সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়
ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি
মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা
কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক
বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন
সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

সম্পাদকীয়

জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন
জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন

দেশগ্রাম

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে