শিরোনাম
প্রকাশ: ২২:৩৫, শুক্রবার, ০৮ মে, ২০২০

মতপ্রকাশের নামে সরকারি কর্মকর্তারা তো গুজব ছড়াতে পারেন না!

ড. কাজী এরতেজা হাসান
অনলাইন ভার্সন
মতপ্রকাশের নামে সরকারি কর্মকর্তারা তো গুজব ছড়াতে পারেন না!

মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার ইউরোপে নবজাগরণের সূচনা ঘটিয়েছিল। উনিশ শতকে বিজ্ঞানের এ অর্জন সংবাদপত্রের ইতিবৃত্তে আধুনিকতার উদ্বোধন ঘটায়। চীনে হাতে লেখা খবরের কাগজের চল থাকলেও ইউরোপ-আমেরিকা এমনকি ভারতবর্ষেও সংবাদপত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে এ শতকেই।

সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিকাশে সংবাদপত্র নতুন যুগের সূচনা ঘটায়। মানুষের ভাবনা, চিন্তা, ধর্ম, রাজনীতি, আদর্শের বাহনে পরিণত হয় এ প্রিন্ট মিডিয়া। ‘মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ শব্দবন্ধটি নতুন ব্যঞ্জনা লাভ করে। 

বিশ্বের সকল দেশেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা আইন দ্বারা বলবৎযোগ্য। ফলে রাষ্ট্র এটা রক্ষায় ব্যর্থ হলে বলতে হয়, সে নিজের প্রধান কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

মত প্রকাশের স্বাধীনতার আবার বহু রকমফের আছে। যেমন রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা, পারিবারিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা। রাজনৈতিক মত প্রকাশ করতে গিয়ে আমি রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন মত প্রকাশ করব কি না? 

সাংস্কৃতিক মত প্রকাশ করতে গিয়ে অন্যের সংস্কৃতিকে কটাক্ষ করব কি না? পারিবারিক মত প্রকাশ করতে গিয়ে আমি আমার বাবার বিরুদ্ধে বা মায়ের বিরুদ্ধে বলব কি না। এগুলো আদৌ বলা যায় কিনা? মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে এগুলো বোঝায় কি না? আমি তো মনে করি বোঝায় না।

তার মানে মত প্রকাশের স্বাধীনতার অপার সীমানা যেমন আছে, একই সঙ্গে সীমাবদ্ধতাও কিন্তু আছে। তা না হলে মানুষের পক্ষে সমাজে বসবাস করা সম্ভব হতো না। মানুষ যদি সবাই সম্পূর্ণ স্বাধীন হতো তাহলে সেটা হতো স্বাধীনতার নামে যথেচ্ছাচার। 

এই যথেচ্ছাচার থাকলে মানুষের সমাজই গঠিত হতে পারবে না। কোনো না কোনোভাবে মানুষকে তার স্বাধীনতার একটা গণ্ডি টানতেই হয়। মানুষ কোনোদিনও পরিপূর্ণ স্বাধীন ছিল না, বর্তমানেও নেই।

স্বাধীনতা বিষয়ে একটা গল্প প্রচলিত আছে। বাসে দুজন যাত্রী পাশাপাশি বসেছে। একজন খুব হাত নাড়ছিল। তখন দ্বিতীয়জন বলল যে, আপনার হাত নাড়ানোর স্বাধীনতা আছে, কিন্তু আমার নাকের ডগার ঠিক বাইরে। আমার নাকের ডগায় হাত নাড়ানোর অধিকার আপনার নেই। 

এই গল্প থেকে একটা কথা বোঝা যায় যে, প্রকৃত ব্যক্তিস্বাধীনতা হচ্ছে প্রকৃত স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতার ধারণা। অর্থাৎ এই সীমার বাইরে যাওয়া যাবে না। আমার স্বাধীনতার নামে অন্যের নাকে আঘাত করতে পারব না।

মানুষের মৌলিক দাবির মধ্যে ব্যক্তি-স্বাধীনতা একটি। রাইট টু লাইফ, রাইট টু প্রোপাট্রিজ, রাইট টু ফ্রিডম ওপেনিয়ন’ এ তিনটিই কিন্তু আধুনিককালের। এখন ব্যক্তিস্বাধীনতা নেই, একথা বলাটা প্রায় অচল হয়ে গেছে।

মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে আমার ব্যক্তিগত মত রাষ্ট্রের মৌলিক অস্তিত্বের বিরুদ্ধে দিতে পারি না। আমি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারি না। 

বাংলাদেশে ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে, কাজ করার স্বাধীনতা আছে। আমার জীবনটাকে কীভাবে কাটাব না-কাটাব তার অধিকার আমার আছে। আবার প্রতিটি জায়গায় তার সীমানাও টানা আছে। আমি যা খুশি তাই করতে পারি না। 

পরিবারের ওপর আমার স্বাধীনতা আছে, কিন্তু আমার সন্তানকে আমি হত্যা করতে পারি না। ঠিক তেমনি করে আমার প্রতিবেশীর ব্যাপারেও আমার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু তার কোনো জমি আমি দখল করতে পারি না, তার বাড়িতে আমি জোরপূর্বক ঢুকতে পারি না। আমার ব্যক্তিগত বাড়িতে বিনা অনুমতিতে কাউকে ঢুকতে দেওয়া না দেওয়ার অধিকার আমি রাখি।

আমার জন্য বিপদ নিয়ে কেউ যদি আমার বাড়িতে ঢোকে, তাহলে তাকে আমার বাড়ির সীমানার মধ্যেই হত্যা করতে পারি, যদি আমি বিচারকের সামনে প্রমাণ করতে পারি যে, আমি তাকে হত্যা না করলে সে আমাকে অবশ্যই হত্যা করত। আমি আত্মরক্ষার্থে তাকে হত্যা করেছি। 

ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়টাকে তাত্ত্বিকভাবে আলোচনা করা যায়। গড়পড়তাই আমরা বলি ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু একটা সীমানা টানা থাকবে।

স্বাধীনতা বলতে স্বেচ্ছাচারিতা করা যাবে না। এই স্বেচ্ছাচারিতার স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তির তো নেই-ই, সরকারেরও নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত না রাষ্ট্রের তরফ থেকে সেটা প্রয়োজনীয় বলে প্রমাণ করতে না পারছে। যেমন কেউ খুন করলে বিচার বিভাগ তাকে মৃত্যুদন্ড দেবে। এটা বিচারকের স্বাধীনতা। 

এই স্বাধীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা আমাদের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নেই। আমাদের কারোরই নেই। এই থেকে বোঝা যায় যে, আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে, কিন্তু অপরের স্বাধীনতা আমি কোনোক্রমেই ক্ষুণ্ণ করতে পারি না। আমার স্বাধীনতা আমি অন্যের জন্য ক্ষতিকারক করে তুলতে পারি না। সোজা কথায় স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারি না।

আমাদের দেশের প্রায় সবাই বলে থাকেন (১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা হচ্ছে- গণতন্ত্র। (২) আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতন্ত্রের অনুশীলন না থাকার কারণে সামাজিক বা রাজনৈতিক সমস্যাসমূহের সমাধান করা যাচ্ছে না। (৩) আমাদের সমাজের মূল সমস্যা গণতন্ত্রহীনতা। এ কথাগুলোর কোনোটাই সর্বাংশে সত্য নয়। উপরোক্ত বিষয়সমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনার দাবি রাখে।

প্রথমেই দেখতে হবে-গণতন্ত্র বলতে আমরা কি বুঝি? বাক-স্বাধীনতা বা গণতন্ত্র হচ্ছে- ‘একটা নির্দিষ্ট সময়ের’ এবং ‘নির্দিষ্ট মানব সমাজের’ প্রতিষ্ঠিত বা প্রচলিত সামাজিক আইনকানুন বা নিয়ম মান্য করার বাধ্যবাধকতা, অন্যের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা, উপলব্ধি এবং দায়িত্ববোধও।

অন্যভাবে বললে গণতন্ত্র হচ্ছে- পরিমাপক বা দাঁড়িপাল্লা। সমাজ-পরিমাপক বললে বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে। আমাদের দেশের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী ‘গণতন্ত্র বলতে’ বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বুঝায়। এখানেই আমার প্রশ্ন- সবার বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। 

স্বাধীনতা দিলাম কিন্তু ‘কি বিষয়ে বলবেন’ এবং ‘কতটুকু বলবেন’? অর্থাৎ প্রথমে আপনাকে বলার ‘বিষয়বস্তু’ ঠিক করতে হবে, আপনি ইচ্ছা করলেই যে কোনো বিষয়ে বলতে পারবেন না। বিষয়বস্তু ঠিক হওয়ার পর ওই বিষয়ে আপনি কতটুকু বলবেন বা বলতে পারবেন? ইচ্ছা করলেই আপনি ‘যা খুশি তা’ বলতে পারেন না।

আমরা জানি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা, অর্থনৈতিক সমতাভিত্তিক ও মৌলিক মানবাধিকার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। 

আপনি যদি বলতে থাকেন বা বলতে চান- বাংলাদেশ হচ্ছে মুসলিম জাতীয়তাবাদী-ইসলামিক প্রজাতন্ত্র, তাহলে কি আপনার বলার অধিকার তথা বাক-স্বাধীনতা থাকবে? নাকি থাকা উচিত হবে? তাহলে বিষয়টি কি দাঁড়ালো? আপনি ‘চলার বা বলার’ অধিকার ভোগ করবেন- এটা এক ধরনের বায়বীয় বিষয়। 

মূল বিষয় হচ্ছে- আপনি কোন বিষয়ে বলবেন বা বলতে পারবেন এবং কতটুকু বলবেন বা বলতে পারবেন- এটা আগে ঠিক করে নিতে হবে। তারপর অধিকারের বা প্রয়োগের বিষয়টি আসবে।

ধরুন, আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন-এটা আপনার গণতান্ত্রিক এবং নাগরিক অধিকার। কিন্তু আপনি যে সমাজের বা দেশের রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন, সে সমাজের বা দেশের রাস্তা দিয়ে হাঁটার কিছু নিয়মকানুন থাকে-অবশ্যই আপনাকে তা মেনে হাঁটতে বা চলতে হবে। 

কোনোভাবেই আপনি নিয়ম না মেনে হাঁটতে বা চলতে পারবেন না। যদি তা করেন বা করার চেষ্টা করেন- তাহলে হয় দুর্ঘটনা ঘটবে- নতুবা অন্যের অসুবিধা হবে। 

এখানে স্বাধীনতা বা গণতন্ত্র হচ্ছে আপনি যে দেশের রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন সে দেশের রাস্তা দিয়ে হাঁটার নিয়মকানুন মেনে চলার দায়িত্ববোধ। ঠিক একইভাবে আপনি কথা বলবেন বা সমালোচনা করবেন বা আদেশ-উপদেশ দেবেন- কিসের ভিত্তিতে।

যদি প্রশ্ন হয়- কি কি কারণে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল-অর্থাৎ জন্মের উল্লেখযোগ্য কারণগুলো কী কী? সংক্ষেপে এবং সংবিধান অনুযায়ী এখানে উত্তর হবে-বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা, অর্থনৈতিক সমতাভিত্তিক ও মৌলিক মানবাধিকার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য।

তাহলে আমরা কি উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে ‘চলা-বলার’ কাজটি করেছিলাম বা বর্তমানেও করছি? এখানে আমার উত্তর হবে- ১৯৭৫ সালের পর থেকে আমরা এর ‘উল্টোটাই’ করে এসেছি এবং বর্তমানেও করে যাচ্ছি।

পুরো পৃথিবীই আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মরণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না কিছুতেই। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এক পরিপত্র জারি করে এই নির্দেশনা দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সরকারি কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি এ ধরনের পোস্টে কমেন্ট, লাইক ও শেয়ার করলেও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই পরিপত্র জারি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষা দিতেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। কেননা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বা অশালীন কিছু লেখার জন্য যদি চাকরিটিই চলে যায়, তাহলে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর জীবনযাপন করাই কঠিন হয়ে পরবে। চাকরির বাজারে সোনার হরিণ হিসাবে পাওয়া সরকারি চাকরিটি হারালে আপনার কি অবস্থা হবে, আপনার পরিবারের কি অবস্থা হবে সেটা একবার ভেবে দেখেছেন কি? সরকারের চাকরি করে সরকারের সমালোচনা গঠনমূলকভাবে করতেই পারেন, তবে সেটা যেন রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত না করে সেই কারণেই ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ এ কর্মচারীদের আরো একগুচ্ছ বিধি নিষেধ উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে সতর্কতা উচ্চারণ করা হয়েছে বলে মনে করি।

এই পরিপত্র জারির পর থেকেই দেখছি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু অংশ এর বিরোধিতা করছেন। আসলে তারা বিষয়টি বুঝতেই পারছেন না। কেননা, সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে সরকার সুরক্ষা দিচ্ছেন। কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে, রাষ্ট্রের বিরোধী কিছু লিখলে এমনিতেই আপনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। সে অবস্থায় আপনাদের আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরং উপকারই করে দিয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়-‘জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন সার্ভিস বা পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে’ এমন কোন পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারি কর্মচারীদের অনুরোধ করা হচ্ছে। এতে‍ ‘অন্য কোন রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য’ সম্বলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট লাইক বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে সরকারি কর্মচারীদের বলা হয়েছে। এ পরিপত্রে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থার কর্মচারীদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়।

এতে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ একাউন্টের ক্ষতিকারক কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী নিজে দায়ী হবেন’ - এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিপত্রটিতে মোট আটটি নির্দেশনা রয়েছে - যাতে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারী, জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী, ধমীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী, লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টিকারী, জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টিকারী, বা ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল – এমন তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনাভাইরাস নিয়ে এবং সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে একজন কার্টুনিস্ট এবং একজন লেখককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশে অবস্থানকরা কয়েকজন ব্লগারের বিরুদ্ধেও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে। 

আমরা এর আগেও ২০১৯ সালে ৬ জুলাই মাসে দেখেছি, সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের জন্য একই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টিকে তেমনভাবে আমলে নেননি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা।  তখন বাংলাদেশের সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন দেশে কর্মরত কূটনীতিকদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা মানছেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তাদের অনেকেই সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিচ্ছিলেন। অন্যের স্ট্যাটাসে কমেন্ট বা মন্তব্য করেছেন। যা সরকার এবং সরকারের কর্মকাণ্ডকে বিব্রত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস ছিল। মূলত এই পক্ষটিই এখনো পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রটির বিরোধিতা করছেন। 

দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা এই পরিপত্রের বিরোধিতা করছেন তারা আদতে সরকার বিরোধী এবং সরকারের মধ্যে থাকা জামায়াত-বিএনপির আদর্শপুষ্ট। কেননা তারা চান রাষ্ট্রীয় এই দুর্যোগের সময়ও দেশের ক্ষতি করতে। তা না হলে তারা নিশ্চিতভাবে সরকারি চাকরি করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা , জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্মানহানি করা, জনমনে অসন্তোষ ছড়ানো যাবে, ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য প্রচার করা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই চরিতার্থ করতে যাচ্ছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি এমন কাজে লিপ্ত হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তো অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন হয়ে পরবে। কেননা, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। তাই সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই পরিপত্রের নির্দেশনা মেনে চলে দেশকে এই দুযোর্গ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা করোনা মোকাবিলায় সফল হতে পারবো, ইনশাল্লাহ।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের পাতা ও ডেইলি পিপলস টাইম। পরিচালক, এফবিসিসিআই।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
সর্বশেষ খবর
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৪ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের
সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়
ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি
মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা
কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক
বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন
সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

সম্পাদকীয়

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন
জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন

দেশগ্রাম

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা