শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:১৮, শনিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২১

আমাদের ক্রিকেট : রাজনীতি, প্রেম এবং প্রতারণা

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
আমাদের ক্রিকেট : রাজনীতি, প্রেম এবং প্রতারণা

জাতি হিসেবে বাঙালি বিভক্ত। নানা জনের নানা মত। দুজন বাঙালি এক হলে ঝগড়া করে। কেউ আওয়ামী লীগ, কেউ বিএনপি। কেউ বলে দেশ ভালো চলছে, কেউ বলে দেশের অবস্থা ভয়াবহ। এ রকম এক বিভক্ত জাতিকে ঐক্যের সুতোয় বাঁধে যে কটি উপলক্ষ তার মধ্যে ক্রিকেট একটি। ক্রিকেট আমাদের সব বিভেদের রেখা উপড়ে ফেলে। গোটা জাতিকে এক আত্মায় পরিণত করে। ক্রিকেট আমাদের হাসায়, কাঁদায়। যে মানুষটির খেলাধুলা নিয়ে তীব্র অনীহা, তিনিও বাংলাদেশের ক্রিকেট হলে উৎসাহী হন। একবারের জন্য হলেও টেলিভিশনে চোখ রাখেন কিংবা বেতারে কান পাতেন। বাংলাদেশ যে ক্রিকেটে এগিয়েছে তার অন্যতম কারণ এ দেশের দর্শক। বাংলাদেশ যখন টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা পেল তখন যেসব কারণ বাংলাদেশের পক্ষে দেখানো হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো দর্শক। দর্শক এবং সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় এ দেশের ক্রিকেট জনপ্রিয় হয়েছে। এ দেশের ক্রিকেট অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের জনগণ ক্রিকেটের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়েছে। রাস্তায় বেরিয়েছে আনন্দ মিছিল। আবার খারাপ খেললে কেঁদেছে। খেলোয়াড়দের সমালোচনা করেছে। দর্শকদের ভালোবাসাই আমাদের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শক্তি, সেই ভালোবাসা আমাদের অন্যতম দুর্বলতাও বটে। খেলায় হারজিত থাকবেই। একদিন দল ভালো করবে, আরেকদিন খারাপ করবে। ভালো খেললে যেমন প্রশংসা পাওয়া যায়, তেমন খারাপ খেললে গালিও শুনতে হয়। বাংলাদেশের মতো আবেগপ্রবণ দেশে দুটোর মাত্রাই সীমা অতিক্রম করে। একটি জয় সব সমালোচনা ধুয়ে দেয়। এভাবেই অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু এবার টি-২০ বিশ্বকাপ যেন সেই আদলে নয়। এখানে যেন বাংলাদেশের হারগুলো মনে হয়েছে অনাকাক্সিক্ষত। বাংলাদেশ দলকে মনে হয়েছে ছন্নছাড়া, বোর্ডকে মনে হয়েছে দায়িত্বহীন এবং কোচিং স্টাফদের অর্বাচীন লেগেছে। এর আগেও বাংলাদেশ বহুবার হেরেছে। বিশেষ করে টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশ কখনই খুব ভালো দল নয়। এর আগে টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র একটি ম্যাচ। কাজেই বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলবে বলে যারা হাঁকডাক করেছিলেন তারা যে যুক্তিহীন অতিরঞ্জন করেছিলেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফলাফল নিয়ে আমার তেমন কোনো বক্তব্যও নেই। কিন্তু খেলায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যে শরীরী ভাষা তা ছিল সম্পূর্ণ অখেলোয়াড়সুলভ। তারা খেলাটা উপভোগ করতে পারেননি। মনে হয়েছে দলে কোনো সমন্বয় নেই। একজন আরেকজনকে চেনেন না। কখনো কখনো মনে হয়েছে খেলা শেষ হলেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। হাসি নেই, উচ্ছ্বাস নেই। এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ছেলেরা এবং ক্রিকেট বোর্ডই যেন পরস্পর প্রতিপক্ষ হিসেবে মঞ্চে আবিভর্‚ত হয়েছে। প্রথম রাউন্ডের প্রথম খেলায় বাংলাদেশ যখন স্কটল্যান্ডের সঙ্গে হারল তখনই বোর্ড সভাপতি হুঙ্কার দিলেন। ভাবখানা দেখে মনে হলো এবার বাগে পেয়েছি। ক্রিকেটারদের ধুয়ে দিলেন। মনে হলো স্কটল্যান্ডের কাছে হারার জন্যই তিনি অপেক্ষায় ছিলেন। আবার ওমানের সঙ্গে জয়ের পর পাল্টা আক্রমণ করলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। একটি জাতীয় দলে এ ধরনের প্রকাশ্য গৃহদাহ নজিরবিহীন। আমাদের দেশে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে কিছু অযোগ্য, দায়িত্বহীন মানুষ বসে আছেন। শুধু বসে নেই, এরা যেন পাথরের মূর্তি। এদের সরানোর কোনো উপায় নেই। আমৃত্যু এরা একটা পদ আঁকড়ে থাকেন। তেমনি একজন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। কোন যোগ্যতায় তিনি বছরের পর বছর ক্রিকেট বোর্ড শাসন করছেন সে প্রশ্নের উত্তর আমি অন্তত খুঁজে পাই না। তবে নাজমুল হাসান পাপনের একটা অদ্ভুত গুণ আছে। বাংলাদেশ ভালো খেললে সব সাফল্য তিনি শুষে নেন। ভাবখানা এমন বাংলাদেশ জিতেছে তাঁর জন্যই। এটা হতেই পারে। বিসিবির সভাপতি হিসেবে ক্রিকেটের অভিভাবক তিনি। দল ভালো করলে সাফল্য তো তাঁর পকেটে ঢুকবেই। নাজমুল হাসান সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হন। প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন। ভারিক্কি ভঙ্গিতে চামচাদের স্তুতিতে গদগদ করেন। আবার বাংলাদেশ হেরে গেলে তিনি যেন হাঁস হয়ে যান। ব্যর্থতার এক চিমটি দায় নিতে রাজি নন। তখন তিনি খেলোয়াড়দের ওপর চড়াও হন। মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় তিনি যেন পাড়ার ‘বড় ভাই’। ক্রিকেটের কিছুই বোঝেন না, কিন্তু মাতব্বরি করেন ষোল আনা। পাড়ার ছেলেরা হারলে বড় ভাই পোলাপানকে রিমান্ডে নেন। খিস্তি করেন। কাউকে কাউকে কান ধরে উঠবোস করান। বেশি খারাপ খেলে যারা তাদের ওপর এক ঘা বসিয়ে দেন। পাপনও তেমনি, বাংলাদেশ হারলেই খেলোয়াড়দের ওপর এমনভাবে চড়াও হন যেন ক্রিকেটাররা অপরাধী, আসামি। পাপনতন্ত্রের মূল কথা হলো ‘সাফল্য যা আমার, ব্যর্থতা ক্রিকেটারদের’। তাঁর কোনো জবাবদিহি নেই। তিনি সর্বেসর্বা। আবার আমার মাঝেমধ্যে পাপনকে বোর্ডের সভাপতি নয়, হেড কোচ মনে হয়। কোন খেলোয়াড় খেলবেন না খেলবেন এ সম্পর্কে গণমাধ্যমে অকপটে বলেন। কোন খেলোয়াড় ওপেনিং করবেন, কে বোলিং করবেন এ নিয়ে বিসিবি সভাপতির বক্তব্য প্রায়ই শালীনতার সীমা অতিক্রম করে। বিশ্বকাপেই দেখলাম এমন ঘটনা। প্রথম খেলায় বাংলাদেশের পরাজয়ের পর দ্বিতীয় খেলা ওমানের বিরুদ্ধে। ব্যাটিং অর্ডারে একেবারে ওলটপালট ঘটানো হলো। দেশের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিককে নামানো হলো ৭ নম্বরে। কেন এটা হলো? খুঁজতে গিয়ে দেখলাম এখানেও নাকি বোর্ড সভাপতির ভূমিকা ছিল। আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পক্ষে কোনো অজুহাত দাঁড় করছি না। এবার তারা আসলেই খারাপ খেলেছেন। কিন্তু এ খারাপ খেলায় বোর্ডের কি কোনো দায় নেই? আবার খেলোয়াড়দের সমালোচনার জবাব দিতে হয় মাঠে। প্রেস কনফারেন্সে নয়। বিসিবি সভাপতি যেমন ক্রিকেটারদের সাইজ করার সুযোগ খোঁজেন, তেমনি এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও যেন বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ খুঁজতেই ব্যস্ত ছিলেন। ওমানের সঙ্গে জয়ের পর রিয়াদ সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা অগ্রহণযোগ্য। এমনকি মুশফিকের ‘আয়নাতত্ত্ব’ও এ দেশের ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে। বাংলাদেশ যেন বিশ্বকাপ খেলতে যায়নি, বোর্ড বনাম ক্রিকেটারদের লড়াই করতে গেছে।

আমি ক্রিকেটবোদ্ধা নই। একজন দর্শক মাত্র। দর্শক হিসেবে আমি বুঝি ক্রিকেট হলো মূলত মাইন্ড গেইম। এটা যতটা না শারীরিক তার চেয়ে বেশি মানসিক। এটা মনঃসংযোগের খেলা। মাঠের বাইরে বোর্ড আর ক্রিকেটারদের মনস্তাত্তি¡ক দ্ব›েদ্বর ফল আমরা তো হাতেনাতেই দেখলাম। লিটন দাস যেভাবে একের পর এক ক্যাচ ফেলে দিলেন তাতে মনে হয়েছে তিনি বোধহয় বল দেখেননি, বিসিবির সভাপতিকে দেখছেন। তাই ভয়ে সরে গেছেন। রিয়াদ যেন কিছু একটা করে সভাপতিকে এক হাত দেখিয়ে দেওয়ার জন্যই মাঠে নেমেছিলেন। এজন্য সাকিব-মুস্তাফিজকে বাদ দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেই বল করতে শুরু করলেন। রিয়াদ ভালো খেলোয়াড় সন্দেহ নেই। কিন্তু তার কিছু কিছু আচরণ বালখিল্যের পর্যায়ে পড়ে। জিম্বাবুয়ে সফরের মাঝপথে অবসরের ঘোষণা দিয়ে রিয়াদ তার ওপর অবিচারের ঝাল মিটিয়েছিলেন। এটা কোনো ক্রীড়াবিদের কাজ হতে পারে না। প্রশ্ন হলো, এ রকম এক অবুঝ আবেগীর হাতে কেন দলের নেতৃত্ব তুলে দিল বোর্ড? বোর্ডের সভাপতি তাকে পছন্দ করেন না এটা বোঝাই যায়। সেই অপছন্দের ব্যক্তির হাতেই কীভাবে দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়? ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা এবার সদলবলে গেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত। অথচ সাইফুদ্দিন আর সাকিব ইনজুরিতে পড়লে দেখা গেল ১৩ জনের বাংলাদেশ দল। বোর্ডের ‘বিচক্ষণতা’র এর চেয়ে আর কী উদাহরণ দেওয়া যায়।

এবার বিশ্বকাপে আমাদের দল, কোচিং স্টাফ ও বোর্ডের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে আমাদের ক্রিকেটের অন্তিমযাত্রা শুরু হলো। ক্রিকেটের বারোটা কি বাজতে চলেছে? কেনিয়ার কথা মনে আছে? আকরাম খানের সেই অনবদ্য ইনিংসের মাধ্যমে আমরা কেনিয়াকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলাম। সেই কেনিয়ার ক্রিকেটের আজ করুণ অবস্থা। বলা হয়, কেনিয়ার ক্রিকেট এখন মৃত। এর কারণ কেনিয়ার ক্রিকেটে রাজনীতি, দলাদলি। নতুন খেলোয়াড় না আসা। একই অবস্থা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের। আমার শঙ্কা, বাংলাদেশের ক্রিকেটও কি কেনিয়া, জিম্বাবুয়ের পথে হাঁটছে?

একটা সময় বাংলাদেশের ফুটবল নিয়েও মাতামাতি ছিল বাঁধনহারা। সালাউদ্দিন, অমলেশ, চুন্নু, টুটুল একেকজন তারকা। মালদ্বীপকে বাংলাদেশ হাসতে হাসতে ৭ গোলে হারাত। সেই বাংলাদেশের ফুটবল এখন মৃত। মাঠে দর্শক যায় না। মালদ্বীপও বাংলাদেশকে বলে-কয়ে হারায়। ফুটবল নিয়ে এখন তরুণদের আবেগ নেই। নতুন খেলোয়াড় আসছে না। ফুটবলে স্পন্সর নেই। অথচ একসময় বাংলাদেশে ফুটবলাররাই ছিলেন সবচেয়ে বড় তারকা। দর্শক মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার ফলে ফুটবলও মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখন বাংলাদেশে ক্রিকেটাররাই সবচেয়ে বড় তারকা। কয়েকদিন খেললেই হলো, ব্যস। বিজ্ঞাপনের মডেলের জন্য প্রস্তাব আসতে থাকে হু হু করে। কদিন আগে অফিসে খেলা দেখছিলাম। বাংলাদেশের টপটপ উইকেট পড়ছেন আর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে উপস্থিত হচ্ছেন তারকা ক্রিকেটাররা। মুশফিক-রিয়াদ ‘আকাশ’-এর মডেল। সাকিব তো বুস্ট থেকে এয়ারকুলার, চাটনি থেকে সেভেন আপ- সবকিছুতেই আছেন। একজন সহকর্মী বলে উঠলেন, এরা প্র্যাকটিস করে কখন? সারা দিন তো মডেলিং করেন। ক্রিকেটাররা জনপ্রিয়। তারা পণ্যের প্রসারে ব্যবহৃত হতেই পারেন। আয়-রোজগারও করতে পারেন। আপত্তি নেই। কিন্তু এটা করতে গিয়ে যদি খেলাটাই গুরুত্বহীন হয়ে যায় তাহলে তো পরিণতি ফুটবলের মতোই হবে। এবার বাংলাদেশের দর্শক প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছেন। অনেক দর্শক খেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশের শেষ দুটি খেলায় (দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া) টিভি দর্শক কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

এ দেশের মানুষ প্রচন্ড আবেগপ্রবণ। জাতি যা চায় তার জন্য হাসতে হাসতে জীবন দিতে পারে। যা চায় না তা প্রতিরোধ করার জন্যও অবলীলায় প্রাণ উৎসর্গ করতে পারে। এ জাতি ভালোবাসলে সবকিছু উজাড় করে দেয়। আর একবার মুখ ঘোরালে ফিরেও তাকায় না। আমাদের ক্রিকেট থেকে দর্শক মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন এবারের বিশ্বকাপে। একবার যদি মানুষ ক্রিকেটবিমুখ হয় তাহলে তাকে ফেরানো অনেক কঠিন হবে। আর দর্শক যদি খেলা না দেখেন তাহলে এত স্পন্সর, টাকাকড়ি কিছুই থাকবে না। আমাদের ক্রিকেটের অন্দরমহলে এখন খেলার উত্তাপের চেয়ে টাকার উত্তাপ অনেক বেশি। বোর্ডের কর্তারা তাদের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে ব্যাংকে কত শত কোটি টাকা আছে তার ফিরিস্তি দেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড নাকি বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড এমন দাবিও করেন বোর্ডের কর্তারা। অন্য খেলোয়াড়দের তুলনায় আমাদের ক্রিকেটাররাও অর্থনৈতিকভাবে বেশ মজবুত। ক্রিকেট বোর্ড কিংবা ক্রিকেটাররা ধনী হওয়া দোষের নয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দর্শক আছে বলেই টাকা-পয়সার বাড়বাড়ন্ত আমাদের ক্রিকেটে। তাই দর্শক যতক্ষণ থাকবেন ততক্ষণই ক্রিকেটের সুদিন থাকবে। দর্শক না থাকলে ক্রিকেটের অবস্থাও ফুটবলের মতো হতে সময় নেবে না। আমাদের দর্শক ফুটবলের বিশ্বকাপ দেখে, রাত জেগে ইউরোপের বিভিন্ন খেলা দেখে, ভোররাতে আধোঘুমে কোপা আমেরিকার খেলা দেখে। মেসি, রোনালদো, নেইমারদের চেনে না এমন একজনও খুঁজে পাওয়া কঠিন। সেই ফুটবল-পাগল দর্শক কেন বাংলাদেশের খেলা দেখে না? আমাদের ক্রিকেট বোর্ড, খেলোয়াড়দের এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হবে। এমন দিন যদি আসে এ দেশের দর্শক ভারত-পাকিস্তানের খেলা দেখছে, অ্যাসেজ দেখছে, বাংলাদেশের খেলা দেখছে না- তাহলে সেজন্য কাকে দায়ী করবেন? বাংলাদেশের দর্শক ভারত-পাকিস্তানের দর্শকের মতো উন্মাদ নয়। তারা বাংলাদেশ দলের সীমাবদ্ধতা জানে। বাংলাদেশ এর আগেও অনেক খারাপ খেলেছে। দর্শক মন খারাপ করেছে। আবার ঠিক হয়ে গেছে। এ মন খারাপ অনেকটা গরিবের গাড়ি কেনার স্বপ্নভঙ্গের মতো। কিন্তু এবার ব্যাপারটা তেমন নয়। আমি জানি না, অন্যরা আমার সঙ্গে একমত হবেন কি না, এবার দর্শক প্রতারিত হয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে এলো, অস্ট্রেলিয়া এলো, নিউজিল্যান্ড এলো। বাংলাদেশ এমন পিচ বানাল সেখানে একমাত্র বাংলাদেশই জিততে পারে। ক্রিকেট-কর্তাদের জন্য এ ‘জয়’ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জয় দেখিয়ে বিসিবিতে পাপন-রাজত্ব নিরঙ্কুশ করা হলো। আর সাধারণ মানুষকে বোঝানো হলো এবার টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কিছু একটা করে দেখাবে। তখন যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাদের ক্রিকেটজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলো। যে দেশের উদ্বোধনী জুটি নেই, ফিনিশার নেই, হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান নেই সে দেশ টি-২০তে সেমিফাইনালে যাবে? অথচ বোর্ডের নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করার জন্য এ রকম একটি প্রতারণা করা হলো জনগণের সঙ্গে। এর পরের ঘটনা তো সবাই জানেন।

ক্রিকেট বোর্ড করা হয় ক্রিকেটের কল্যাণের জন্য। কিন্তু আমাদের ক্রিকেট বোর্ড যেন পুনর্বাসন কেন্দ্র। এরা ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারে না, বোর্ডের পরিচয় দিয়ে সমাজে পরিচিত হয়। আমার বিবেচনায় বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন সবচেয়ে অসুখী পরিবার। এখানে ছেলেরা ম্যাচে নামছে যেন দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে। কোচরা যেন ভিনগ্রহের মানুষ। বাংলাদেশকে কখনো একটা ঐক্যবদ্ধ দল মনে হয়নি। বিশ্বকাপের লজ্জার পর বোর্ড যথারীতি তদন্ত করবে। রিয়াদ হয়তো ছাঁটাই হবেন। নানা রকম বাণী দেবেন বোর্ড সভাপতি। তারপর আসবে পাকিস্তান। আবার ‘বিশ্বমানের পিচ’ তৈরি করে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করা হবে। বলা হবে, আমাদের ক্রিকেট সঠিক পথে। এই যে আবার ফর্মে ফিরেছেন টাইগাররা। এ তো খেলা নয় যেন প্রতারণা। রাজনীতি যখন নষ্ট হয় তখন বলা হয় রাজনীতির মধ্যে ‘পলিটিক্স’ ঢুকে গেছে। এখন ‘পলিটিক্স’ আরও বড় পরিসরে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার হয়। বলা হয় প্রশাসনে ‘পলিটিক্স’, সাহিত্যে ‘পলিটিক্স’, সব দিকে ‘পলিটিক্স’। সে রকম এখন ক্রিকেটেও যেন পলিটিক্স ঢুকে গেছে। রাজনীতিবিদ বোর্ড সভাপতি খেলা নিয়ে জনগণের সঙ্গে নির্মম প্রতারণা করছেন। ক্রিকেট আমাদের ভালোবাসা। ভালোবাসার সঙ্গে প্রতারণা করলে ঘৃণা, উপেক্ষা তৈরি হয়। ক্রিকেট নিয়ে এ ভয়ংকর প্রতারণার খেলা বন্ধ না হলে আমাদের ক্রিকেটের বারোটা বাজতে সময় লাগবে না।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
সর্বশেষ খবর
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৪ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের
সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়
ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি
মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা
কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক
বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন
সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

সম্পাদকীয়

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন
জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন

দেশগ্রাম

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা