শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৫৮, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ভোট দিতে জানে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ভোট দিতে জানে

নতুন বছর ২০২২ কেমন যাবে জানি না। আজ ১৮ জানুয়ারি ২০২২ সাল, জন্মেছিলাম ১৪ জুন ১৯৪৭ সাল। আর কত দিন দয়াময় আল্লাহ এপারে রাখবেন তা তিনিই জানেন। কিছুদিন আগে লিখেছিলাম, বড় কোনো কাজ করে বেশিদিন বাঁচতে নেই। বঙ্গবন্ধু যদি পাকিস্তানের জেলে মারা যেতেন তাহলে তিনি হতেন বা থাকতেন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় নেতাদের মধ্যে অন্যতম। মহাত্মা গান্ধী সাধারণ মানুষের অনেক কাছের, বিশেষ করে তাঁর ভক্ত-অনুরক্তদের একেবারে হৃদয়ের মানুষ। আমার বিবেচনায় তাঁর চেয়েও জনপ্রিয় থাকতেন, আকাক্সিক্ষত থাকতেন আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫, সাড়ে তিন বছরের মতো জীবিত ছিলেন। এ সাড়ে তিন বছরের জন্য কত নাহক সমালোচনা, কত কটুকথা, কত গালাগাল যা আমরা ভাবতেও পারি না। ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে কোনো সময় আমি মারা গেলে এক রকম হতো, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার পর কোথাও কোনোভাবে প্রতিরোধযুদ্ধের সময় চলে গেলেও ইতিহাস অন্যরকম হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেঁচে থাকা বোঝার মতো। বিশেষ করে যে দেশে বড়-ছোটর কোনো পার্থক্য নেই, প্রবীণের কোনো মর্যাদা নেই, মানবিক গুণাগুণ নেই, যখন যেমন তখন তেমন অবস্থা সে সময় বেঁচে থাকা আরও দুঃখজনক। গত কয়েক বছরে লোকজন কেমন যেন লাগামছাড়া হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ তাদের সামনে কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না, দেখেও না। ক্ষমতা ক্ষমতা আর ক্ষমতা। কিছু কিছু মানুষ তো বিত্তের পেছনে এমনভাবে ছুটছে সেখানে চিত্তের কোনো জায়গা নেই। জীবনে কখনো খুব একটা ভয় করিনি। মৃত্যুভয় আমার কোনো দিন ছিল না। বাবার মৃত্যু সহজভাবে নিতে পারলেও মায়ের মৃত্যুতে অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলাম। দুনিয়াটা আমার কাছে অর্থহীন মনে হতো। সবকিছু থাকতেও কেমন যেন সার্থকতাহীন ঘোর অন্ধকার মনে হতো। হঠাৎই আমার বুকে কুশিমণি জায়গা করে নিয়েছিল। কুশিমণিকে পেয়ে ব্যথা-বেদনা-হতাশা সবকিছু কর্পূরের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিল। জীবনের সব দিক আলোয় আলোয় আলোকিত হয়ে গিয়েছিল। ছোট্ট বাচ্চা যার সারা শরীরে ছিল ৪২টি ক্ষতচিহ্ন। আমরা ওকে ঘরে এনেছিলাম, বুকে জায়গা দিয়েছিলাম জন্মের ৬৩-৬৪ দিন পর। যখন কুশিমণি আমাদের ঘর আলো করে এলো তখন আল্লাহর কাছে অনেক কেঁদেছিলাম, আল্লাহ যেন বাচ্চাটাকে একটু বড় করে যাওয়ার সুযোগ দেন। দয়াময় আল্লাহ কত মেহেরবান, কুশিমণি এখন ১৫ বছর পার করেছে। আমার স্ত্রী তার দুটি সন্তান নিয়ে পরিপূর্ণ মা ছিলেন না। আমার ছেলেমেয়ে একে অন্যের ভাইবোন ছিল না। ওদের মধ্যে খোঁটাখুঁটি লেগেই থাকত। একেবারে ছোটবেলায় ওদের খোঁটাখুঁটিতে কিছু মনে না হলেও দীপের যখন ১৬-১৭, কুঁড়ির ১২-১৩ তখনো ওরা দুই ভাইবোন যে ঝগড়াঝাঁটি করত তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। দীপ-কুঁড়ির মা ওদের নিয়ে একজন পরিপূর্ণ মা ছিলেন না। কিন্তু কুশিমণি ঘরে এলে সবকিছু পূর্ণতায় ভরে যায়। আমার স্ত্রী মা হন, নারী হন। নারীর টান দীপ-কুঁড়িকে দিয়ে নয়, কুশিমণিকে দিয়ে উপলব্ধি করতে শেখেন। চারদিকে একটা অশান্তি কাজ করলেও পরিবারে শান্তির কোনো অভাব নেই। আর এ শান্তির সম্পূর্ণটাই কুশিমণির অবদান।

এ বছরের শুরু থেকেই প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে পলে পলে বঙ্গবন্ধুকে মনে পড়ছে। ঘুম থেকে কখনো হঠাৎ জেগে উঠে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। আমার স্বপ্ন দেখার বাতিক নেই। তার পরও কখনোসখনো ঘুমের মধ্যে বাবা এসে নাড়া দেন। আমি মুক্তিযুুদ্ধের সময় আগস্টের প্রথম দিকে একবার স্বপ্ন দেখি। দেখি আমরা যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইল এসেছেন পার্ক ময়দানে তাঁর কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছি। দুই সারিতে দাঁড়ানো মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য দিয়ে সটান হেঁটে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছি। পার্কের চারপাশে লাখো মানুষ আনন্দে উদ্বেল। স্বাধীনতার পর বাস্তবে প্রায় একইভাবে টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম। পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশাল জনসভা। অমন জনসভা টাঙ্গাইল কোনো দিন দেখেনি। জনসংখ্যা বাড়লেও এখন সাধারণ লোকজন খুব বেশি একটা জনসভায় যায় না। ইন্টারনেটের যুগে মোবাইলের মাধ্যমে অনেকেই ঘরে বসে সবকিছু দেখতে পারে। জনসভায় সশরীরে উপস্থিত না হয়ে প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসেই অনেক কিছু দেখে নেয়। কিন্তু তখন এমন ছিল না। প্রায় ১০ লাখ লোক হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি ’৭২ সালের সেদিনের জনসভায়। ২৪ জানুয়ারির আগে নেতা ও পিতাকে নিয়ে অনেক কিছু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানে ঢাকা ফিরেছিলেন। সে ছিল ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সাল। পূর্বনির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচি থাকায় ১০ তারিখ ঢাকা বিমানবন্দরে যেতে পারিনি। রাতে পিতার সঙ্গে কথা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে খুব উদ্বেলিত হয়েছিলাম, সম্মানিতবোধ করেছিলাম, এত দীর্ঘ পথ বিমানযাত্রা করে দেশে ফিরে আমাকে ফোন করেছেন এটা কম বড় কথা নয়। পাকিস্তান থেকে লন্ডন, লন্ডন থেকে দিল্লি, সেখান থেকে ঢাকা ১৫-১৬ হাজার কিলোমিটার তো হবেই। স্বাভাবিক কারণেই ক্লান্ত থাকার কথা। সব ক্লান্তি দূরে সরিয়ে রেখে পিতার মতো আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। পাকিস্তান থেকে লন্ডনে পৌঁছলে সেখানে সাংবাদিকরা পিতাকে প্রশ্ন করেছিলেন, Who is Kader Siddique? বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেছিলেন, Oh! he is my son. জেল থেকে বেরিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমার সম্পর্কে তিনি জেনেছিলেন। আমরা ১৮ ডিসেম্বর পল্টনে বাংলাদেশের প্রথম জনসভা করেছিলাম। সেখানে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় সন্তান জামালকে নিয়ে গিয়েছিলাম। সে জনসভায় দুটি মেয়ে হরণকারী চার লুটেরাকে জনগণের নির্দেশে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। সে নিয়ে নানা কথা নানা প্রপাগান্ডা হয়েছিল। সে কথাকে বেইজ করে বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইলে পার্কের জনসভায় মুক্তকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘কাদের চারজনকে শাস্তি দিয়েছে। যারা নারী হরণ করে, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের এক হাজার জনকেও যদি কাদের শাস্তি দিত তা হলেও সে আমার ধন্যবাদ পেত।’ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একমাত্র তোফায়েল আহমেদ ছাড়া আর নেতৃস্থানীয় কেউ ছিলেন না। ছাত্রলীগের শেখ শহীদুল ইসলাম আর বঙ্গবন্ধুর দুই ছেলে জামাল ও রাসেল। নেতৃবৃন্দের শঙ্কা ছিল কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুকে আটকে ক্ষমতা কেড়ে নেবেন। অথচ আমাদের অমন কোনো চিন্তাই ছিল না। পিতার নির্দেশে অস্ত্র ধরেছিলাম, তাঁর কাছে অস্ত্র দিতে পারা সেটাই ছিল আমাদের কাছে অনেক কিছু। এত বড় বিশাল মুক্তিযুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে আর কোথাও কেউ অস্ত্র জমা দেয়নি। অনেক মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র পাকিস্তানের খেদমত করা থানাগুলোয় দেওয়া হয়েছে, যেটা ছিল খুবই নিন্দনীয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দাসত্ব করেছে সেসব সরকারি কর্মচারী চাকরিতে বহাল থাকায় স্বাধীনতার পরপরই স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধ অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাষ্ট্রের সবাইকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা না গেলেও যারা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে ছিলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে ছিলেন তাদের সবাইকে এক কলমের খোঁচায় চাকরি থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। আমরা কেউ আকাশ থেকে পড়িনি। নয় মাস রাতদিন যুদ্ধ করে বেঁচেছিলাম, দেশের স্বাধীনতায় ভূমিকা রেখেছিলাম। যখন দেখলাম স্বাধীনতার পর টাঙ্গাইলের ডিসি আশিকুর রহমানকে টাঙ্গাইল থেকে সরিয়ে নিয়ে কোথায় যেন আরও একটু বড় পদে দেওয়া হলো। টাঙ্গাইলে ডিসি এলো কক্সবাজার থেকে। সেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। সে খুব সম্ভবত ফেনীতে ছিল মহকুমা অফিসার হিসেবে। এক এসপি এলো খুব সম্ভবত পঞ্চগড়ের মহকুমা পুলিশ অফিসার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়। কত মানুষকে ধরিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়ে জীবননাশ করেছে তাদেরই একজন। স্বাধীনতার পর আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল ৩৮-৩৯ দিন। সে সময় সারা টাঙ্গাইলে একজন লোকও নিহত হয়নি, একটি ঘরেও চুরি-ডাকাতি হয়নি। কিন্তু আমরা অস্ত্র জমা দেওয়ার পরই চুরি-ডাকাতি শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতার পর আমাদের যেভাবে যাওয়া উচিত ছিল পুরোপুরি সেভাবে আমরা যেতে পারিনি। আজ যখন মাঝেমধ্যে শুনি, কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের হাতে ধরা দিলেন কেন? তিনি পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন- কথাটা মোটেই সত্য নয়। বঙ্গবন্ধু পালিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে বের করতে পাকিস্তান হানাদাররা আরও ৫-১০ লাখ মানুষকে হত্যা করত। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামারুজ্জামান ও অন্য নেতারা ভারতে যাওয়ায়, সেখানে প্রবাসী সরকার গঠন করায় মুক্তিযুদ্ধ জোরদার হয়েছিল। শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, তোফায়েল আহমেদ, আ স ম আবদুর রব, আবদুল কুদ্দুস মাখন, শাজাহান সিরাজ, নূরে আলম সিদ্দিকী এসব ছাত্র ও যুব নেতা ভারতে যাওয়ায় নিঃসন্দেহে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছিল। ১ কোটি হিন্দু-মুসলমান শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ায় ভারত সরকারের ওপর, ভারতীয় জনগণের ওপর মারাত্মক চাপ পড়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ভারতে গেলে মুক্তিযুদ্ধ দুর্বল হতো। বঙ্গবন্ধু ভারতের দালাল বলে বিবেচিত হতেন। অনেকে বলতে চায়, ভারত পাকিস্তানকে ভাঙতে চাচ্ছিল তাই বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। কথা একেবারে মিথ্যা নয়। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে মানবতার পথিকৃৎ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ’৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে ভারতের তেমন বড় কোনো সামরিক সাফল্য ছিল না যা তারা বুক চিতিয়ে বলতে পারে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং তাতে অত বড় সাফল্য ভারতকে শত বছর এগিয়ে দিয়েছিল। তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভারতের আজকের অবস্থায় আসার জন্য বড় একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ওই সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ না হলে বিশ্বের দরবারে আজকের মহান ভারতকে দেখা যেত না। তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহীয়সী নারী ইন্দিরা গান্ধীর বিশ্বব্যাপী অমন প্রভাব পড়ত না। বাংলাদেশের জন্য, বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে অনেক অপমান-অবহেলা সহ্য করতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নিক্সনের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সবকিছু উপেক্ষা করে বিশ্বজনমত সৃষ্টিতে ইন্দিরা গান্ধী এক বিরাট ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিলেন।

শুরু করেছিলাম কুশিমণিকে নিয়ে। কয়েক বছর আগে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যেখানে বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে ছিল সেখানে আসরের নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী সেদিন এক মিলাদের আয়োজন করেছিলেন। নারীরা এক জায়গায়, পুরুষ আরেক জায়গায়। মিলাদ শেষে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘বজ্র, তুমি যা করেছ তা সবাই করতে পারে না। তোমাদের এই সন্তানের জন্য তোমরা অবশ্যই আল্লাহর রহমত পাবে এবং এই দুনিয়াতেই এর সুফল পাবে।’ প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে হৃদয় ভরে গিয়েছিল। পাঁচবার কাউকে মন্ত্রী বানানোর চেয়েও সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সেই মূল্যবান কথায় হৃদয়-মন সব ভরে গিয়েছিল। কী পেয়েছি, কী পাইনি তার চেয়ে বড় কথা পারিবারিক জীবনে আল্লাহর রহমতে বেশ শান্তিতে আছি, স্বস্তিতে আছি।

রবিবারের দুটি নির্বাচন চোখে পড়ার মতো। একটি নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন, অন্যটি টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুরে উপনির্বাচন। আরও কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন ছিল। এ দুটিতে তেমন মারামারি, কাটাকাটি, খুন-খারাবি হয়নি। ভোট পড়েছে শতকরা ৫০ ভাগ। অনেকে ভোট দিতেই যায়নি। ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করায় অনেকের ভোট দিতে অসুবিধা হয়েছে। যেভাবে ছবি দেখছি প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে ইভিএম মেশিনে আঙুল দিয়ে আছেন। ওটাই যদি ভোটের পদ্ধতি হয় তাহলে তো গোপনীয়তা থাকে না। কোন বোতাম টিপবেন তা গোপন থাকার কথা। অনেকের নাকি আঙুলের টিপ মেলেনি। কেন এমন হবে? কম্পিউটারে কখনো এমন হওয়ার কথা নয়। আর ইভিএমে ভোট এটা সাধারণ মানুষকে জানানো উচিত, বিশেষ করে ভোটারদের। নির্বাচনের এক বা দুই দিন আগে মহড়া দেওয়ার চেয়ে সারা বছরই মহড়া দেওয়া উচিত। যাতে মানুষের কাছে বিষয়টা সহজ হয়। আইয়ুব খান বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে জানে না। তাই বুনিয়াদি গণতন্ত্রের ব্যবস্থা করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ যে পৃথিবীর বহু দেশের চেয়ে ভালো ভোট দিতে জানে, প্রার্থী বেছে নিতে জানে তা নানা সময়ে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সৃষ্টির সময় সিলেট জেলা নিয়ে গণভোট হয়েছিল। সেদিন অনেকেই ভারতের পক্ষে থাকলেও সাধারণ মানুষ সিলেটকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ভোট দিয়েছিল। ১৯৫৪ সালে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী সাহেবের নৌকায় ভোট দিতে ভুল করেনি। যখন সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের শেষ নির্বাচন ১৯৭০-এ পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে ভোট দিয়েছিল। এই ১৬ তারিখ নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন এবং টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর উপনির্বাচনে মানুষ যে ভোট দিয়েছে তাতে প্রমাণ করে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে জানে। মির্জাপুরের নির্বাচনে আমাদের দলেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। দলীয় কর্মীরা ভোটে অংশগ্রহণ করতে চাইলে এক দল লাঙ্গলকে ভোট দিতে চায়। সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামত ছিল লাঙ্গলের দল জাতীয় পার্টি, সে-ও সরকার সমর্থিত। তারা একসঙ্গে অনেক দিন আছে। তাই যে ছাগলের তিন বাচ্চা, দুটিতে যখন দুধ খায় এক বাচ্চা এমনিই তিড়িংবিড়িং করে। জাতীয় পার্টি অনেকটাই তেমন। তাহলে ছাগলের বাচ্চাকে ভোট দিতে যাব কেন? বাচ্চার মাকেই তাহলে ভোট দেওয়া ভালো। তেমনটাই হয়েছে। আমাদের লোকজন শেষমেশ নৌকাকে সমর্থন করেছে এবং ভোট দিয়েছে। আমিও তাতে কোনো আপত্তি করিনি। কারণ নৌকা প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ফজলুর রহমান খান ফারুকের ছেলে। ফজলুর রহমান খান ফারুক একসময় আমাদের নেতা ছিলেন। লতিফ সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, ফজলুর রহমান খান ফারুক, আল মুজাহিদী, ফজলুল করিম মিঠু, আতিকুর রহমান সালু এঁরা ছিলেন একসময় টাঙ্গাইলে আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরোধা। এঁদের দেখেই আমরা রাজনীতিতে এসেছি। তাই যে শুভকে কোলে নিয়েছি তাকেই ভোট দেওয়া ভালো। তাই আমরাও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কোনো আপত্তি করিনি। নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচনও বিশ্লেষণ করলে অনেক কিছু চোখে পড়বে। শতকরা ৫০ ভাগ সাধারণ ভোটার কেন্দ্রের দিকে ফিরেও তাকায়নি। বিএনপি সমর্থিত একজনও কেন্দ্রে যায়নি। তাই এখন সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উচিত কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ ভোট দেওয়ার সার্থকতা বা ভোটারদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন দেখতে না পাবে ততক্ষণ উৎসবমুখর ভোট হবে না।

লেখক : রাজনীতিক।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
সর্বশেষ খবর
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৪ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের
সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়
ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি
মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা
কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক
বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন
সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

সম্পাদকীয়

জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন
জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন

দেশগ্রাম

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে