লাভজনক ব্যবসা-বানিজ্য আর নিরাপদ বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনাময় দেশ ব্রাজিল। বাংলাদেশের সাথে ব্রাজিলের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে গত বছরের শেষদিকে বানিজ্যিক নগরী সাও পাউলোতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গঠিত হয় ব্রাজিল-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিবিএফ)। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিল-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিবিএফ) সভাপতি এস এম মুস্তাফিজুর রহমান আনিক।
সাও পাউলোর প্রতিশ্রুতিশীল এই তরুণ ব্যবসায়ী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে দক্ষ-অদক্ষ জনশক্তি রফতানীর বিশাল সম্ভাবনা ছাড়াও বাংলাদেশি পন্যের লাভজনক বাজার সৃষ্টির অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে এখানে। তাছাড়া ব্রাজিল থেকেও অনেক পন্যসামগ্রী বাংলাদেশে বাজারজাত করা যেতে পারে অনায়াসেই।
প্রসঙ্গত ব্রাজিলে এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষীত বিশ্বকাপ ফুটবল। এর ঠিক দু’বছর পর ২০১৬ সালে বসবে অলিম্পিকের জাঁকালো আসর। দক্ষিণ আমেরিকার প্রভাবশালী এই দেশটিতে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে বাংলাদেশ কমিউনিটি। প্রায় ৩ হাজার বাংলাদেশির বসবাস এখন ব্রাজিলে, যাদের বেশির ভাগই নিজেদেরকে সম্পৃক্ত রেখেছেন ছোট-বড় বিভিন্ন ব্যবসা-বানিজ্যের সাথে। প্রধান বানিজ্যিক নগরী সাও পাউলো, রাজধানী ব্রাসিলিয়া, রিও ডি জেনেরিওসহ পুরো ব্রাজিল জুড়ে এমনকি দেশটির অনেক প্রত্যন্ত এলাকাতেও আজ বাংলাদেশিদের বসবাস। আশপাশের বিভিন্ন দেশ হয়ে ক্রমশঃ বৃদ্ধ পাচ্ছে বাংলাদেশিদের আগমন। ২০১২ সালে রাজধানী ব্রাসিলিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ দূতাবাস।
বিবিবিএফ সভাপতি বলেন, দু’দেশের মধ্যেকার আমদানী-রফতানী বানিজ্যে নবদিগন্তের সূচনা করতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়ক শক্তি হিসেবে আমরা সবসময় বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে সাও পাউলোর পাশাপাশি ঢাকাতেও বিবিবিএফ'র কান্ট্রি অফিসের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। স্বনামধন্য উদ্ভাবক, সফল গবেষক ও সাংবাদিক সালাহউদ্দিন আহমেদ বিবিবিএফ'র কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যাপক কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ব্রাজিল-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিবিএফ)-এর পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিবিবিএফ পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটি : সম্মানিত উপদেষ্টা – ফজলুর রহমান, আন্তোনিও কার্লোস আলবের্তো বোসসোলো, সোলায়মান মিয়া, রেজওয়ানুল ইসলাম ও মঞ্জুরুল ইসলাম। প্রেসিডেন্ট - এস এম মুস্তাফিজুর রহমান আনিক। ভাইস প্রেসিডেন্ট – কামাল হোসাইন খান, রিপন কুমার দাস, মিন্টু ধর ও সাইফুল্লাহ আল মামুন। সেক্রেটারি জেনারেল – আপেল মাহমুদ। জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল – ফয়েজ আহমেদ লিটন, তাবরেজ আহসান, মিজানুর রহমান, শেখ জাফর সাদিক, দেলওয়ার হোসাইন হিরা ও এস এম মনিরুজ্জামান। অর্গানাইজিং সেক্রেটারি – মেরাজ শেখ, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশান সেক্রেটারি – আহসান ইমাম, ফরেইন ট্রেড সেক্রেটারি – আলমগীর দেওয়ান আকাশ, মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ – হাসান খান, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এক্সিকিউটিভ – ফরহাদ আহমেদ, বিজনেস এনালিস্ট – রাশিদুল হাসান, গভর্নমেন্ট রিলেশন কোঅর্ডিনেটর – কে এম ওয়ালি উদ্দিন, ট্রেজারার – এম আবদুর রহমান, পিআরও (পাবলিক রিলেশন অফিসার) – ফরহাদ হোসাইন ভুইয়া, কালচারাল সেক্রেটারি – মনওয়ার পাইক, চীফ এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি - হুমায়ুন আহমেদ, লোকাল এক্সিকিউটিভ – এম সিদ্দিক। এক্সিকিউভি মেম্বার – আজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ ইসলাম, রিপন হোসাইন, আবদুল আলিম, নাহিদ খান, মনির হোসাইন, রুহুল অমিন, নুরুল আমিন, রনি সুজা, ফ্রান্সিস্কো দাস সাগাস লিমা ফেরনান্দেস, সান্তক্লের মাসাদো কোহেয়া জুনিয়র, মাউরিতসিও আরাজু প্রাদো, কামাল আহমেদ, তোফায়েল আহমেদ, মারসো দো আমারাল, বাদল মিয়া, শফিকুল ইসলাম, আক্তার হোসাইন, শাকিল আহমেদ, মোজাম্মেল হোসাইন, নাহিদ আলম, পলাশ পাঠান, নুরুল আমিন, কাজী মারুফ, জিহাদুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার, কবির হোসাইন, রিপন আলী, শফিজ উদ্দিন, আলী আজগর, আল আমিন, মোহাম্মদ ফ্রাগ ও এম মেহমুদ।