পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও পুনঃবিচার দাবি করেছে লন্ডন ভিত্তিক সংগঠন “ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি হিউম্যান রাইটস এন্ড সিকিউরিটি''। বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে পূর্ব লন্ডনস্থ লন্ডন স্কুল অব কমার্স এন্ড আইটি-তে আয়োজিত এক শোকসভায় বক্তারা এ দাবি তোলেন।
আলোচকরা বলেন, পিলখানা ট্রাজেডি এখনো রহস্যের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল যুদ্ধাস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম প্রস্তুত থাকা সত্যেও কেন সেই সব সেনা সদস্য ও তাদের পরিবারের নিরীহ লোকদের উদ্ধারে তড়িৎ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি- তা নিয়ে জনমনে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। বিডিআর বিদ্রোহের পর পরই আটককৃত অবস্থায় ৮০ জনের মতো সাধারণ জওয়ান নিহত হওয়ায় পরিকল্পনার আসল কারণ, উদ্দেশ্য এবং ঘটনার নেপথ্য নায়কেরা পর্দার আড়ালে চলে যায়। অথচ সঠিক ও স্বচ্ছ বিচারের স্বার্থে ঐ সব জওয়ানদের বেঁচে থাকা জরুরী ছিলো। বক্তরা দাবি করেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ ও মূল হোতাদের চিহ্নিত করে সঠিক বিচারের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে পুনঃতদন্ত ও পুনঃবিচার করা হোক। পিলখানার ট্র্যাজেডির দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার জন্য এই সংগঠন ক্যাম্পেইন করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তারা বলেন, ২০০৯ সালের পিলখানা বিদ্রোহের এই নারকীয় ঘটনা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার উপর চরম আঘাত। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তরের এই বিদ্রোহের ঘটনা সবচাইতে লোমহর্ষক ও কলঙ্কময় ঘটনা। এক সাথে ডিজি সহ ৫৭ জন সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যার পরেও ঐ সময় হত্যাকারীরা সরকারের তরফ থেকে সাধারণ ক্ষমা লাভ করেছিলো, যা ছিলো রীতিমতো বিস্ময়কর। এ দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা উচিত।
ফোরামের আহ্বায়ক ডঃ কে এম এ মালিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) নাজমুল হোসাইন, মেজর (অব:)সিদ্দীক, পূর্ব লন্ডনের কমিউনিটি নেতা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ সহ কমিউনিটির অনেক গণ্যমান্য নের্তৃবৃন্দ। শোক সভায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে নিহত শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও কোরআন তেলাওয়াত করা হয়।
এ সময় মূল আলোচক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:)নাজমুল হোসাইন শহীদ পরিবারের প্রতি সরকার সহ সকলের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো অংশগ্রহণ করেন ভয়েস ফর জাস্টিসের সভাপতি,গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের পেট্রন ডঃ হাসনাত হোসেন , বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মহিদুর রহমান, কলামিস্ট জগলুল হোসেন, প্রফেসর সৈয়দ মামনুন মোরশেদ, সিটিজেন মুভমেন্টের আহবায়ক বিএনপি নেতা এম এ মালেক, সিটিজেন মুভম্যান্টের সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, ১৯ দলীয় জোটের নেতা মুফতি সদরুদ্দীন আহমেদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ছাত্র নেতা নসরুল্লাহ জুনায়েদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তমিস উদ্দিন, শেখ নিউজ ডট কম-এর সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ, দু;শাসন ও আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলনের সভাপতি এম এস আহমেদ আজাদ, আমারদেশ পত্রিকার সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান, ডঃ কামরুল হাসান, এমরান চৌধুরী, মোক্তাদির রহমান, ব্যারিস্টার আলীমুল হক লিটন, ব্যারিস্টার এম ইকবাল হোসেন, এডভোকেট অপু, মেজর (অব:) শাহ আলম, মেজর (অব:) জাবেদ, মোসাহিদ হোসাইন, অঞ্জনা আলম, ফেরদৌসি রহমান, রাজীব আহমেদ সহ অন্যরা ।