সিঙ্গাপুরে নির্মাণ শিল্পে শ্রমিকের কাজ করার অনুমতি নিয়ে ঢোকার পর পাশাপাশি নরসুন্দরের পেশা বেছে নেওয়ায় এক বাংলাদেশি ও দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশটির জনশক্তি মন্ত্রণালয় ও জাতীয় পরিবেশ সংস্থার কর্মকর্তারা ওই এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন তিন জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। ভারতীয় নাগরিক ২৯ বছর বয়সী দাস পলাশ চন্দ্র ও ২৪ বছর বয়সী স্বদেশী তুরুভালার নাম প্রকাশ করা হলেও, রিপোর্টে বাংলাদেশি ওই ব্যক্তির পরিচয় বা ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।
পিটিআই আরও জানায়, নিজের ও দেশে পরিবারের কাছে পাঠানোর জন্য অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনে তারা রাতে সেলুনে কাজ করতেন। শিল্পাঞ্চল তুয়াসে অভিযুক্ত ওই তিন ব্যক্তি একটি ফুটপাতের ওপর অস্থায়ী সেলুন তৈরি করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় সেলুনগুলোতে ব্যক্তিপ্রতি চুল কাটাতে যেখানে সিঙ্গাপুরি মুদ্রায় খরচ পড়ে ১০ ডলার, সেখানে বাংলাদেশি ও ভারতীয় ওই তিন নরসুন্দর রাখতেন সিঙ্গাপুরি মুদ্রায় চার ডলার।
অভিযানের সময় অস্থায়ী সেলুন গড়ে তোলা বাকি নরসুন্দররা পালাতে সক্ষম হয়। এমপ্লয়মেন্ট অব ফরেইন ম্যানপাওয়ার অ্যাক্টের আওতায় কাজের অনুমতি পত্রের চুক্তি লঙ্ঘন করায়, ওই তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ধরনের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই বছর জেল ও সিঙ্গাপুরি মুদ্রায় ২০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে অনুপযোগী স্থানে সেলুন দেওয়ার অভিযোগটি তদন্ত করে দেখছেন কর্মকর্তারা।
দেশটিতে এনভায়রনমেন্ট পাবলিক হেলথ আইনের আওতায় সড়ক বা ফুটপাতে সেলুন দেওয়া অবৈধ হিসেবে গণ্য হয়।
বাংলাদেশি ও ভারতীয় ওই নাগরিকেরা জানিয়েছেন, তারা নিজেদের ও পরিবারের জন্য অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনে এ পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। গত বছর একটি কাজের অনুমতি নিয়ে পাশাপাশি অন্য কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার অপরাধে ৫৯২ বিদেশি শ্রমিককে গ্রেফতার করে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫৬৭ জন।