দুবাইয়ের মাটিতে এই প্রথম কোনও বাংলাদেশি শিল্পীর একক সঙ্গীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হলো। সন্ধ্যার নামার সঙ্গে সঙ্গে কৌতুহলী সঙ্গীতপ্রেমীদের ভিড়ে দুবাইয়ের আল নাছের লেজারল্যান্ড অডিটরিয়াম ছিলো মুখরিত। রাত ৮টা ছুঁই ছুঁই। টেলিভিশন ও বেতারের গুণী শিল্পী রেহানা রহমান তখনও গান শুরু করেননি। শ্রোতা-দর্শকরা অপেক্ষায় অস্থির, কখন পর্দা উঠবে মঞ্চের!
সব কিছু ঠিকঠাক, তবে অপেক্ষা কার জন্য ? জানা গেল অপেক্ষা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির। প্রধান অতিথি দুবাই কন্স্যুলেটের কনসাল জেনারেল মাসুদুর রহমান উপস্থিত হলেন আরো আধঘণ্টা পর। এবার পর্দা উঠলো মঞ্চের। সাবলীল চিত্তে দরাজ কণ্ঠে মঞ্চে অনুষ্ঠানের ঘোষণা নিয়ে এলেন উপস্থাপক নাজমুল হক।
শিল্পীর জীবন বৃত্তান্ত ঘোষণার পর লাল শাড়ি পরিহিত হাস্যোজ্জ্বল রেহানা রহমান মঞ্চে এসে উপস্থিত সকলকে অভিবাদন জানান। মিউজিশিয়ানদের পরিচয় পর্ব শেষে যখন হারমোনিয়ামে আঙ্গুল ছোঁয়ালেন, তখন হলজুড়ে পিনপতন নীরবতা। প্রবাসী পরিবার ও ব্যাচেলর মিলে আট শতাধিক দর্শকের চোখ তখন মঞ্চের দিকে। রেহানার কণ্ঠে প্রথম ভেসে এলো সুর 'আজও মধুর বাঁশরী বাজে'।
গতকাল শুক্রবার রাতে 'সুর গুঞ্জন' সঙ্গীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে রেহানা রহমান পরিবেশন করেন দেশ-বিদেশের বিখ্যাত শিল্পীদের গাওয়া প্রায় সাঁইত্রিশটি গান। গানের তালিকায় ছিলো: 'কেউ কোনদিন আমারে তো', 'আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন', 'মুঝসে পেহলিসি মুহব্বত', 'চুপকে চুপকে রাত দিন', 'মধুমালতী ডাকে আয়', 'তসবির তেরি', 'তুম না জানে কিস জাহামে'।
দুই পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রেহানা। মধ্যবিরতিতে ছিলো নৃত্যানুষ্ঠান। বিরতির পর যথারীতি গান শুরু করেন রেহানা। সঙ্গীত সন্ধ্যার ইতি টানেন 'ওরা আসবে চুপি চুপি' গান দিয়ে। বাংলাদেশি শিল্পী আর ভারতীয় বাদক দল। দু' দেশের সম্মিলিত পরিবেশনায় হল জুড়ে ছিলো মুখরিত পরিবেশ। ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক শাহজাহানের নেতৃত্বে বাদক দলে ছিলেন ভারতের চার গুণী বাদক শিল্পী সঞ্জয়, পারভেজ, এনচিস ও বিনিল।