মৌসুমি কাজের জন্য ইতালি সরকারের ইমিগ্রেশন পলিসিতে দ্বিতীয়বারের মতো 'কালো তালিকা'য় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। কোটাভিত্তিক সিস্টেমেই বাদ পড়েছে বাংলাদেশের নাম।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের ২৩টি দেশ থেকে ১৫ হাজার সিজনাল কর্মী আনা সংক্রান্ত অফিসিয়াল গেজেট এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষিত তালিকায় ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার নাম থাকলেও বাংলাদেশের নাম নেই। অন্য ২০টি দেশ হচ্ছে আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, মিশর, ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, ঘানা, জাপান, কসোভো, মেসিডোনিয়া, মরক্কো, মরিশাস, মলদোভিয়া, মন্তেনেগ্রো, নাইজার, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, সার্বিয়া, ইউক্রেন ও তিউনিসিয়া।
২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এই পাঁচ বছরে ইতালি সরকার প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে সিজনাল ভিসা প্রদান করলেও তার মধ্য থেকে ফেরত গেছেন মাত্র ৫১ জন। ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন পলিসিতে কালো তালিকাভুক্ত হবার মধ্য দিয়ে ইতালিতে ইমেজ সংকটে আজ বাংলাদেশ।
রোমে দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত শাহাদাত হোসেনের অনুভূতি অবশ্য এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন আঙিকের। ২৩টি দেশের তালিকায় শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও ভারতের নাম থাকলেও বাংলাদেশের নাম না থাকার বিষয়টি আমাদের দেশের ভাবমূর্তির সাথে সাংঘর্ষিক কিনা জানতে চাইলে ৪ এপ্রিল দুপুরে এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, "না, বিষয়টিকে আমি ঠিক সেভাবে দেখছি না এবং এই ইস্যুতে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে না।"
রাষ্ট্রদূত শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, "সরকারের নির্ধারিত ক্রাইটেরিয়া বাংলাদেশিরা পূরণ করতে পারছে না বলেই এমনটা হচ্ছে।" বাংলাদেশের জন্য চলমান এই সংকট উত্তরণে দেশটির উর্ধ্বতন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খুব শিগগিরই বৈঠক করবেন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।