একইসময়ে নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের পুরো সময় তারা উভয়ে আন্তর্জাতিক দুটি সমাবেশে অংশ নেবেন। একটি হচ্ছে জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশন এবং অপরটি ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভের দশম শীর্ষ সম্মেলন। উভয় সম্মেলনেই বিশ্বের ১৯৩ রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন।
জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি এবং ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভে রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি ছাড়াও ধনাঢ্য ব্যক্তি, দানশীল ব্যক্তি, এনজিও কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিনেতা, সমাজকর্মীরা অংশ নেবেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা যাচ্ছেন ২২ সেপ্টেম্বর। অপরদিকে, ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ (সিজিআই)-এর সম্মেলনের বিশেষ বক্তা, প্যানেলিস্ট হিসেবে ২১ সেপেটম্বর আসবেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। এক মাইলের ব্যবধানে দুটি সম্মেলন হলেও শেখ হাসিনার সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন ড. ইউনূস।
গ্রামীণ ব্যাংকের শীর্ষ পদ থেকে বয়সের কারণে ড. ইউনূস আদালতের রায়ে সরে যাবার পর প্রকাশ্যে বিবৃতি দেয় হোয়াইট হাউজ, তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, বর্তমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীসহ গুরুত্বপূর্ণ সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যানরা। সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূসের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ড. ইউনূস আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যে তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে এখনও প্রয়াস চালাচ্ছেন। এ কাজে মদদ পাচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের। এজন্যেই সিজিআইয়ের প্রত্যেক সম্মেলনে তাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, দারিদ্র বিমোচনের জন্যে ক্ষুদ্রঋণের পদ্ধতি উদ্ভাবনের পুরস্কার হিসেবে প্রথমে তাকে প্রেসিডেন্সিয়াল ফ্রিডম মেডেল এবং পরবর্তীতে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। দুটি পুরস্কারই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানের এবং বিশ্বে ড. ইউনূস হচ্ছেন সপ্তম ব্যক্তি যিনি এ দুটি পুরস্কার অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। সিজিআইয়ের সম্মেলন শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর এবং শেষ হবে ২৪ সেপ্টেম্বর।
এবার নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ড. ইউনূস কম্যুনিটির একটি অনলাইন টিভির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ২৫ সেপ্টেম্বর এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।