১/১১ তে গঠিত বহুল আলোচিত/সমালোচিত কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান উপদষ্টো ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ এখনও জনপ্রিয়। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পরই পর্দার আড়ালে চলে আসা ড. ফখরুদ্দিন গত সপ্তাহে প্রথম জনসমক্ষে এসেছিলেন।
ভার্জিনিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার মোস্তফা হোসেন মুকুলের কন্যা রুয়েনা তানাজের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ আগস্ট। ওয়াশিংটন ডিসির সন্নিকটে ভার্জিনিয়ার একটি বিলাসবহুল হোটেলের বলরুমে ৩১ আগস্ট রুয়েনার শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয় বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক যুবকের সাথে। গায়ে হলুদ এবং বিবাহের উভয় অনুষ্ঠানেই সস্ত্রীক অংশ নেন ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ। তারা উভয়েই চুপচাপ বসেছিলেন। আড়ালে থাকতে চেয়েছিলেন উপস্থিত অতিথিগণ থেকে। কিন্তু পারেননি।
কেউ কেউ সে সময় জানতে চেয়েছেন যে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের নির্মূলের অভিযান থেকে তার সরকার হঠাৎ করে পিছু হটেছে কেন? বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েও তারা রাজনীতিকে দুর্নীতি মুক্ত করার পরিকল্পনা থেকে সরে দাঁড়িয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসকে দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠনের পথে এগিয়েছিলেন কেন? বাকিটা জীবন আমেরিকাতেই কাটাবেন, নাকি বাংলাদেশে ফেরার ইচ্ছা আছে? ইত্যাদি কৌতুহল পূরণে ড. ফখরুদ্দিন ছিলেন নিরব। হাসিমুখে সকলকে কাছে টেনেছেন, তবে ঐসব প্রশ্নের কোন জবাব দেননি।
উল্লেখ্য, ড. ফখরুদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রেও নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে তার নিজস্ব বাড়ি রয়েছে, সেখানেই অবসর জীবন কাটাচ্ছেন। তার সরকারের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন। তিনিও চিকিৎসার জন্যে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন সস্ত্রীক।
জেনারেল মঈনও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিত জেনারেল মঈনের পক্ষে বাংলাদেশে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। কদিন আগে ঢাকার একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে তিনি ব্যথিত হয়েছেন উল্লেখ করে এনআরবি নিউজের বিশেষ প্রতিনিধিকে বলেছেন, 'চিকিৎসকের কাছে যেতে হচ্ছে নিয়মিতভাবে। বাকিটা জীবন হয়তো এভাবেই কাটাতে হবে। এমনি পরিস্থিতিতে ঐ পত্রিকার সংবাদদাতা খবর দিয়েছেন যে, আমি নাকি শীঘ্রই দেশে ফিরছি। এ ধরনের বানোয়াট সংবাদের কোন প্রয়োজন ছিল কি?'
জানা গেছে, জেনারেল মঈন এবং ড. ফখরুদ্দিন উভয়েই স্মৃতিচারণমূলক বই লিখছেন। ১/১১ পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের বাস্তবতা থাকবে তাদের বইয়ে।