ঈদের দুদিন সরকারী ছুটির দাবিতে স্বাক্ষর অভিযান শেষ হয়েছে। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে ‘মেইক ঈদ (মুসলিম হলিডে) এ পাবলিক হলিডে এ্যাক্রোস দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’ শিরোনামে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি আবেদন পত্র খোলা হয় এবং ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা) এক লাখ মানুষের স্বাক্ষর পাওয়া যায়। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এক লাখ আমেরিকান স্বাক্ষর করলেই সেটি বিবেচনার জন্য কংগ্রেসে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবার কথা। তার অনেক আগেই তা হওয়ায় ইস্যুটির গুরুত্ব বেড়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী অনুযায়ী হোয়াইট হাউজের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ালো বিষয়টির বিস্তারিত পর্যালোচনা করার। এরপর তা কংগ্রেসে সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকদের কাছে পাঠানো হবে আইন তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়ে।
দুই ঈদের ছুটির জন্য বেশ ক’বছর থেকেই দেন-দরবার চলছে। এর আগেও হোয়াইট হাউজের ‘উই দ্য পিপুল’, ইয়ুর ভয়েস ইন আওয়ার গভর্নমেন্ট’ শীর্ষক ওয়েবসাইটে স্বাক্ষর অভিযান চালানো হয়। কিন্তু লক্ষ অর্জিত হয়নি অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক লাখ স্বাক্ষর সংগৃহিত হয়নি। এজন্য তা নিয়ে প্রশাসনিক কোন উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এবার তা ঘটলো।
প্রসঙ্গত, নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলে ইতিমধ্যেই দুই ঈদের দিন ছুটি ঘোষণার রীতি কার্যকর হয়েছে। আরও কয়েকটি স্কুল ডিস্ট্রিক্টে এ বিধি চালু হলেও জাতীয়ভাবে তা হয়নি। এক লাখ স্বাক্ষর সংগৃহিত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও রাজনীতিকদের মধ্যে বিশেষ একটি তাগিদ সৃষ্টি হলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
https://petitions.whitehouse.gov/petition/make-eid-muslim-holiday-public-holiday-state-connecticut- এই ওয়েব সাইট ওপেন করে নিজের নাম-ঠিকানা এবং ই-মেইল উল্লেখ করার পরই স্বাক্ষরের সুযোগ সৃষ্টি হয়। একজন কর্তৃক একাধিক স্বাক্ষরের কোন সুযোগ নেই এই প্রক্রিয়ায়। এক লাখ আমেরিকানের স্বাক্ষর সংগ্রহের এ অভিযানে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশিও সক্রিয় ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটির মত মুসলমান রয়েছেন বলে বিভিন্নভাবে দাবি করা হয়। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগের এক ভাগ হচ্ছেন মুসলমান। এরপরও মার্কিন কংগ্রেস এখন পর্যন্ত এই সম্প্রদায়ের ব্যাপারে খুব মনোযোগী হয়নি। আর ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার কারণে সব সময়ই মুসলিম আমেরিকানদের ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে।