বাংলার ঋতুচক্রে যখন শরতের আগমণ ঘটে, তখন মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। কৈলাস ছেড়ে প্রতিবছর তিনি মর্ত্যে আসেন বাবার বাড়িতে কন্যারূপে। তার সঙ্গে আসেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ। দেবাদিদেব শিবও বাদ যান না। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনে দুর্গতনাশিনীর আগমণে আনন্দে বিহ্বল সারা পৃথিবীর হিন্দু সম্প্রদায়ের মতো ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ও। এখানে পাশাপাশি সুইডেনের মাল্মো শহরের সনাতন সম্প্রদায়ের প্রবাসীরা যোগ দেন ।
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ আয়োজনে ডেনমার্কে উদযাপিত হলো সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। কোপেনহেগেনের হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন বাংলাদেশ কালটারাল এসোসিয়েসনের উদ্যোগে আয়োজিত দুর্গাপূজার বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল শাস্ত্রীয়মতে পূজা অর্চনা, অঞ্জলি, আরতি নৃত্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মহাপ্রসাদ বিতরণ। এখানে পাশাপাশি সুইডেনের মাল্মো শহরের সনাতন সম্প্রদায়ের প্রবাসীরা যোগ দেন ।
হিন্দু রমণীরা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। বিদায় বেলায় বেজেছে ঢাক-ঢোল-কাঁসার বাদ্য, উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে সংঘ প্রাঙ্গণ।ভক্তদের চোখের জলে ভাসিয়ে সপরিবারে মর্ত্যলোকে চলে গেলেন দেবী দুর্গা। সনাতন হিন্দু ধর্মাম্বলীদের বিশিষ্ট নাগরিক সুশান্ত দে, ননী গোপাল দাশ, সুভাষ ঘোষ, টিকলু দাশ ও হরেন্দ্র নাথ ঘোষ, সামি দাস ও দীপঙ্কর পালের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২০১২ সাল থেকে কোপেনহেগেন শহরে দুর্গাপূজা পালিত হয়ে আসছে।
শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চসজ্জা ছিল বেশ নান্দনিক। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের নৃত্য অনুষ্ঠান ছিল বেশ মনোগ্রাহী। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তিনদিনব্যাপী এই দুর্গোৎসবে অংশ নেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের ফাহমিদ আল মাহিদ, আবু সাইদ রবিন ও হিল্লোল বড়ুয়া প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ অক্টোবর, ২০১৫/ রশিদা