বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে সাসপেন্ড করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ বহাল থাকবে। শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের পুত্র লুৎফর রহমান সুইট ‘নবীন লীগ’ নামক একটি সংগঠন করেছেন। এর প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে। যদিও জয়কে তা জানানো হয়নি বা তার অনুমতিও নেয়া হয়নি। বেশ ক’মাস যাবত যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই সংগঠনের শাখা করাসহ বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ যায় শেখ হাসিনা এবং জয়ের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় জানতে পারে যে, নবীন লীগ নামক ঐ সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির সাথে সাজ্জাদও জড়িত। এ কারণে সাজ্জাদকে এহেন অপতৎপরতা থেকে বিরত হবার সাথে সাথে কথিত ঐ সংগঠন বিলুপ্তির নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সাজ্জাদ সে নির্দেশ পালন করেননি।’ এ প্রসঙ্গে ড. সিদ্দিকুর রহমান জানান যে, ‘নবীন লীগ নামক কথিত ঐ সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির জন্যেই সাজ্জাদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ই-মেইল নির্দেশনা পাবার পর অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ যে সব কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের প্রচারণা চালানো হয়েছিল, সেগুলো বিনাশর্তে প্রত্যাহারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিতরণ করেছেন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ। এটাই কি ঐ কারণ দর্শানোর জবাবের যথেষ্ঠ নয়- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সময় মত তারা সেটি করেননি।’
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের ডাকা কার্যকরী কমিটির বৈঠক দুটিতে যারা ছিলেন তাদের কাউকেই দেখা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা