মুসলমানদের ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন সুসংহত করার অন্যতম বড় উপলক্ষ ঈদুল আযহা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সোমবার একযোগে নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, টেক্সাস, বস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ২৫ শতাধিক মসজিদের ব্যবস্থাপনায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষেই প্রায় সকলে ছুটেছেন পশুর খামারে, নিজের পছন্দের গরু-খাসি-ভেড়া ক্রয় করে কুরবানী দিতে।।
এবারে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে শরিক হয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো, সিটি কাউন্সিলের স্পিকার মার্ক ভিবেরিটোসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। হাজার হাজার মুসল্লী এতে নামাজ আদায় করেন। নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বলেন, সকল অধিবাসীর নিরাপত্তাসহ ধর্মীয় সম্প্রীতি অটুট রাখতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মুসলমান, হিন্দু, ইহুদি, খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মবিশ্বাসী মানুষেরা নিজ নিজ ধর্মকর্ম অবাধে করবেন-এই মূল্যবোধে বিশ্বাস আমরা। নিউইয়র্ক আজ বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিটিতে পরিণত হয়েছে, কারণ, এই সিটিতে মুসলমানেরাও নিরলসভাবে শ্রম দিচ্ছেন। মুসলমানদের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এখন মহান একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
নিউইয়র্ক অঞ্চলে ৫০ হাজারের অধিক বাংলাদেশী গরু-খাসি কুরবানী দিচ্ছেন বলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পশু খামার সূত্রে জানা গেছে। ফ্লোরিডা, মিশিগান, লসএঞ্জেলেস, ভার্জিনিয়া প্রভৃতি স্থানে বাংলাদেশী আমেজে প্রকাশ্য মাঠে গরু জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করা হয়। নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়ার জনবসতি এলাকায় এ ধরনের অনুমতি না থাকায় সকলেই পশু জবাইয়ের জন্যে নির্দ্ধারিত খামারে কুরবানির যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করছেন। তবে তা ধর্মীয় রীতি অনুযায়ীই করা হয় প্রতি বছর।
তবে আবহাওয়া ভালো থাকা সত্ত্বেও মুসলিম নর-নারীদের দলবেঁধে খুব একটা ঘুরতে দেখা যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশীদের ওপর একাধিকবার দুর্বৃত্তের হামলার ঘটনা ঘটে। এ কারণে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা যেন এখনো গ্রাস করেছে বাংলাদেশী মুসলিম সম্প্রদায়কে।
বিডি প্রতিদিন/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা