প্রবাসের কর্মব্যাস্ততা মাঝে গ্রীষ্মের ছুটির শেষে বাড়তি ঈদ আনন্দের সাথে সবারই মনে ইচ্ছে জাগে নিজের এবং পরিবার আত্বীয় স্বজনকে নিয়ে সমূদ্র -পাহাড়, খোলা আকাশ আর বাতাস উপভোগ করতে। তা যদি হয়ে উঠে ঘড়ির কাটার সাথে সময়েকে মেনে চলা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পর্তোর উদ্দ্যোগে তাহলে সেটি তখন হয়ে উঠে আরো উৎসব মূখর এবং আনন্দের।
১৮ই সেপ্টম্বর রবিবার পর্তুগালের প্রথম রাজধানী পর্তো শহরের অদূরে সাগর, পাহাড় আর ফলের আচ্ছাদিত প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম ''বাক্যালাহো বুদ্ধ ইডেন পার্কে'' বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পর্তোর উদ্দ্যোগে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় বার্ষিক বনভোজন।
সকালে পর্তো শহর থেকে ২টি বাস এবং কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে একসঙ্গে বনভোজনের নির্ধারিত স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়। পথিমধ্যে সবাইকে সকালের নাশতা পরিবেশন করা হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় বাস গন্তব্য স্থানে পৌঁছালে সেখানে প্রবাসীদের সাথে যোগ দেন পর্তুগালের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ, কাউন্সিলর মৌসুমী রহমান, নোয়াখালী এসোসিয়েশন পর্তুগালের সভাপতি হুমায়ন কবীর জাহাঙ্গীর, আবুল কালাম আজাদ, নজরুল ইসলাম সুমন সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেত্রী বৃন্দ। ফুল এবং বিশেষ সম্মাননা পুরষ্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত এবং কাউন্সিলর সহ অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পর্তোর সভাপতি শাহ আলম কাজল, সাধারন সম্পাদক মামুন হাজারী, পর্তোর কমিউনিটি ব্যক্তিও নাইম জামশেদ, নাজির আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মোয়াজ্জম হোসেন মোহন, আবু তাহের অপু, রাকিব উদ্দিন, কাইয়ুম লিটন, সাংবাদিক মোরশেদ প্রমুখ।
এরপর দুপুরের খাবার শেষে সবাই উপভোগ করতে থাকেন প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম বাক্যালাহো বুদ্ধ ইডেন পার্ক। বনভোজনে আগত পরিবারগুলো ছেলেমেয়ে নিয়ে আনন্দ আড্ডা, নাচ-গান করে সকলে দল-মত সকল বেদাভেদ ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন। এ সময় ''বাক্যালাহো বুদ্ধ ইডেন পার্ক'' যেন এক ছোট বাংলাদেশে এ পরিনত হয়। পরে বনভোজনে আগত সকল শিশুদের নিয়ে শুরু হয় ছড়া গান, কবিতা, অভিনয় আর সকলের জন্য আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। এতে ছয়জন সৌভাগ্যবান বিজয়ী সহ অংশগ্রহণকারীদের মাঝে আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর