বাংলাদেশ ও কানাডা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী নুর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বঙ্গবন্ধুর খুনীকে বহিষ্কারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য কানাডাকে প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন।
কানাডার সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এ ব্যাপারে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আইনি প্রতিবন্ধকতা এবং সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। তবে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ডিওন বিষয়টি কানাডা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে তুলে ধরবেন বলে আশ্বাস দেন।
বৈঠক সম্পর্কে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ডায়ানা খাদ্দাজ ই-মেইলে জানান, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপাদানগুলো নিয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, নিরাপত্তা, ব্যবসা সম্প্রসারন ও জলবায়ুর পরিবর্তনসহ পারষ্পরিক স্বার্থ এবং উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে দুই মন্ত্রী আলোচনা করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর খুনী নুর চৌধুরীর বহিষ্কার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যেমনটি আগেই বলেছি যে, দুই মন্ত্রী কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপাদানগুলো পর্যালোচনা করেছেন এবং পারষ্পরিক উদ্বেগ ও স্বার্থ বিষয়ে ধারাবাহিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর বাইরে আর কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।
তবে, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে নুর চৌধুরীর বহিষ্কার সংক্রান্ত বিষয় আলোচ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নুর চৌধুরীকে বহিষ্কারের পক্ষে নানা ধরনের যুক্তি তুলে ধরেন। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ব্যাপারে কানাডার বিদ্যমান আইন এবং আইনি সীমাবদ্ধতার কথাই বারবার তুলে ধরেন।
সূত্র মতে, গত মঙ্গলবার পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। স্টিফেন ডিওন গুলশান হামলার সময় আটক হওয়া তাহমিদ এর ব্যাপারে জানতে চান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী জানান, আদালত তাকে অভিযুক্ত করেনি এবং জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি ইতিমধ্যে টরন্টোতে চলে এসেছেন বলেও তারা জানতে পেরেছেন। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঙ্গীবাদ এবং চরমপন্থা দমনে প্রয়াজনীয় সহযোগিতা দিতে কানাডা সম্মত আছে বলে বৈঠকে জানান।
বৈঠক সম্পর্কে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ডিওনের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্রের মাধ্যমে ই-মেইলে স্টিফেন ডিওন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, এই সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়ন ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সম্পর্ক সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সূত্র: নতুনদেশ ডট কম।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ অক্টোবর, ২০১৬/মাহবুব