১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর দেশমাতৃকার সেরা সন্তান বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকেকে হত্যা করা হয়। জাতীয় চার নেতাকে স্মরণে পর্তুগালের প্রাচীন শহর পর্তোয় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিত হন। সেখানে আলোচনা সভা এবং নিহতদের স্মরণ ও জাতীয় কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরে পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল।
পর্তো আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন কিরন বলেন, ৪১ বছর আগে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে জাতীয় চার নেতাকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মানবতার শত্রু ও বঙ্গবন্ধুর হন্তারক বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যই কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করে।
বিডি প্রতিদিন/৪ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা-০৫