বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মরণে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নির্মিত হতে যাচ্ছে শহীদ মিনার। সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্কের লার্গোডিয়া কমিউনিটি কলেজে এ শহীদ মিনার নির্মিত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আবস্থিত বাঙালিদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন ছিল স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের। দীর্ঘদিন বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকই চেষ্টা করেও সফল হতে পারেন নি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি জাহিদ হাসান যখন নিউইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্ক এর আওতাধীন লার্গোডিয়া কমিউনিটি কলেজের ছাত্র ছিলেন তখন তিনিও চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেন নি।
পরবর্তীকালে তার ছোট ভাই রায়হান মাহমুদ লার্গোডিয়া কলেজ স্টুডেন্ট গভর্নেন্ট এসোসিয়েশন গভর্নর নির্বাচত হলে তার হাতে শহীদ মিনার নির্মাণের গুরত্ব তুলে ধরা সম্বলিত সেই প্রোফাইল এবং শহীদ মিনারের নকশা তুলে দেন। রায়হান মাহমুদ এসোসিয়েশনের কাছে বিলটি নতুন করে প্রস্তাব করেন।
সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্ক এর লার্গোডিয়া কমিউনিটি কলেজের স্টুডেন্ট গভর্নেন্ট এসোসিয়েশনের গভর্নর রায়হান মাহমুদ এ বিষয়ে জানান, আমি গভর্নর নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসানের সাথে আলোচনা করেছিলাম কিভাবে লার্গোডিয়া কলেজে শহীদ মিনার স্থাপন করা সম্ভব। এরই ধারাবাহিকতায় লার্গোডিয়া কলেজের স্টুডেন্ট গভর্নরদের সাথে দীর্ঘদিন আলাপ আলোচনার পরে আমি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রস্তাবটি স্টুডেন্ট গভর্নেন্টে এসোসিয়েশন এর নিকট পেশ করি।
শহীদ মিনার নির্মাণের বিলটি স্টুডেন্ট গভর্নেন্ট এসোসিয়েশনের কাছে পেশ করার পর ১২ জন গভর্নরের ভিতরে ৮ জন গভর্নর ওই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় এবং গত ২৫ শে জানুয়ারি বিলটি স্টুডেন্ট গভর্নেন্টে পাশ হয়। স্টুডেন্ট গভর্নেন্ট এসোসিয়েশনের যে ৮ জন প্রতিনিধি প্রস্তাবিত বিলে সম্মতি দিয়েছেন, তারা হলেন ফজলে রাব্বি, শেখ হাফিজ, জয়ি ফার্নান্ডেজ, ইয়ং জো , ইয়ংগরু জিয়াও, জিয়ায়ন লি ও ইয়াইউ ঝাউ।
এরই মধ্যে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য খরচ বাবদ ৮ হাজার ডলার স্টুডেন্ট গভর্নেন্ট এসোসিয়েশন থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শহীদ মিনারটি লার্গোডিয়া কমিউনিটি কলেজের 'ই' বিল্ডিং এবং 'এম' বিল্ডিংয়ের মাঝে খোলা চত্তরে ১০ ফিট বাই ১০ ফিট সাইজের তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।